হাসির গল্প “অনলাইন ফলোয়ার”এর প্রথম পর্ব ।।[১০% লাজুক শিয়ালের জন্য]
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।আসলে আমরা সকলেই কম বেশী কোন না কোন কাজে ব্যস্ত।শত ব্যস্ততার মাঝে জীবনটা চলে যাচ্ছে।কাজ করতে করতে অনেক সময় মনের মাঝে একঘেয়েমী ভাব চলে আসে।শরীরকে চাঙ্গা করার জন্য চা যেমন প্রয়োজন।তেমনি মনকে প্রফুল্ল করার জন্য বিনোদন এবং গল্প দরকার। আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারও হাসির গল্প “অনলাইন ফলোয়ার”এর প্রথম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি ।আশাকরি গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার এক প্রতিবেশী বললেন,মানুষের কথা শুনে তাজ্জব হয়ে যাই।কিভাবে তারা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করে ? আমি হলে তো পাগল হয়ে বনবাসে চলে যেতাম। আমি বললাম,চাইলেই আজকাল আপনি বনবাসে যেতে পারবেন না।কারণ এখন বনই তো খুজেঁ পাবেন না।যেভাবে গাছপালা কেটে মরুভুমি বানানো হচ্ছে।
প্রতিবেশী বললেন, ভাইরে, এটাতো একটা কথার কথা বললাম।তবে বাস্তবতা হচ্ছে, আমি সত্যি সত্যি বুঝতে পারছি না মানুষ এত এত ফলোয়ার নিয়ে কিভাবে নরমাল থাকে। আমি হলে তো…… এবার আমি প্রতিবেশীকে থামালাম।বললাম ঘটনা খুলে বলার জন্য।তিনি হালকা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন,ভাইরে, খুলে বলার কিছু নেই।তারপরও আপনি যেহেতেু বলছেন, তাই বিস্তারিত বলি।
আমার একমাত্র ফলোয়ার হচ্ছে আমার বউ। আমি কোথায় যাই,কি করি, তার সঙ্গে কথা বলি, সব ফলো করে ।এই এক ফলোয়ার এর যন্ত্রণায় আমার জীবন প্রায় তেজপাতা। আর যাদের হাজার হাজার লাখ লাখ ফলোয়ার, তারা বেঁচে আছে কিভাবে? আমি বললাম, তারা বেঁচে আছে মানইজ্জতের সঙ্গে। কারণ যার যত ফলোয়ার, তার তত ইজ্জত। তবে সমস্যা হচ্ছে, ইজ্জত ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ।
আপনার ফলোয়ারের আধিক্য দেখে যে পাড়ার মুদি দোকানদার ইজ্জত করবে,বাকিতে জিনিস দিবে বা স্পেশাল ডিসকাউন্ট দিবে,তা কিন্তু না।সুতরাং আপনিও বলতে পারেন- আমি এই ফলোয়ার লইয়া কী করিব? এমন সময় আমার এক বন্ধু বলল, শুনলাম আজকাল নাকি ফলোয়ার এই আছে, এই নেই।ব্যাপারটা কি?
আমি বললাম, মনে করেন এটা করনার মত একটা ব্যাপার।করনার যেমন কিছুদিন পর পর একটা ঢেউ আসে,ফলোয়ারের বিষয়টাও হয়তো এখন থেকে এমনই হবে।কিছুদিন থাকবে,কিছুদিন থাকবে না।আবার এমনও হতে পারে,করনা তাড়াতে যেমন টিকা দিতে হয়,তেমনি ফলোয়ারের জন্য টিকা দিতে হতে পারে।তবে ফলোয়ার তাড়াতে নয় বরং বাড়াতে অথবা ধরে রাখতে।
আমার এক বড় ভাই বললেন,অনলাইনে ফলোয়ার নাকি কোন কাজে আসে না তারপরও মানুষ মানুষ ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য এমন ব্যতিব্যস্ত হয় কেন? আমি বললাম, ব্যতিব্যস্ত হওয়ার একটাই কারণ, ফলোয়ার।ফলোয়ার শব্দটা আজকাল এমন একটা জরুরী জিনিসের নামের পাশাপাশি উচ্চারিত হচ্ছে, সবাই ধরে নিচ্ছে,একদিন বুঝি ওই জরুরি জিনিসটার মতই হয়ে যাবে ফলোয়ার জিনিসটা।
বড় ভাই জানতে চাইলেন,সেই জরুরি জিনিসটা কি? আমি বললাম, সে জিনিসটা হচ্ছে এমন এক জিনিস,যেটা ছাড়া গরমে আপনি বাচঁতেই পারবেন না। শুনেন না মানুষ বলে “ফ্যান- ফলোয়ার”। আমার ধারণা, সবাই মনে করে সিলিং ফ্যানের মতই জরুরী জিনিস হচ্ছে ফলোয়ার। এই জন্য এই জিনিস বাড়ানোর জন্য এত ব্যস্ততা আর কি।
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
সবাইকে ধন্যবাদ
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাই বেশ মজার গল্প ছিল।গরমে ফ্যান প্রয়োজনীয় তাই ফ্যানের সাথে যুক্ত থাকায় ফলোয়ার শব্দ টা এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে এটা পড়ে বেশ কিছুক্ষণ হেসেছি।আপনার সেন্স অফ হিউমার দারুন ভাই। ধন্যবাদ ভাই মজার গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আমার জন্য দোয়া করবেন ভাইয়া, যাতে আরো সুন্দর ও অর্থবহ গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি।
আপনার পুরো পোস্টটি পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো। অনলাইন ফলোয়ার গল্পটি অনেক মজা ছিলো। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। আরো রোমাঞ্চকর সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে উপহার দিবেন আশা করি। গল্পটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্যও শুভ কামনা রইল।
আপনার তৈরি গল্পটি বেশ অসাধারণ ছিল। বর্তমানে সবাই ফ্যান-ফলোয়ার আর বাড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আপনি ঠিকই বলেছেন অনলাইনের ফলোয়ার করোনার ঢেউয়ের মতোই।
আমার লিখা গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগল।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
এটা চমৎকার ছিল ভাই আমার ফলোয়ার একমাএ আমার বউ তাতেই আমার জীবন অতিষ্ট হা হা। কিন্তু যত বেশি ফেসবুক ফলোয়ার তত বেশি ভিউজ তত বেশি টাকা। সেজন্যেই তো সবাই ফলোয়ার এর পাগল। ভালো লিখেছেন ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
বেশ মজার গল্প লিখেছেন ভাইয়া। বউকেও ফলোয়ার বানিয়ে দিয়েছেন। সত্যি সত্যি বুঝি আপনার জীবনটাকে যথেষ্ট ভাবে তুললো। কিন্তু সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে সিলিং ফ্যানের মতই জরুরী জিনিস হচ্ছে ফলোয়ার। ফলোয়ারের সাথে সিলিং ফ্যানের যুক্তিটা বেশ মজা লেগেছিল। দারুন লিখেছেন।
মাঝে মধ্যে একটু সমস্যা হয়।তবে মানিয়ে চলতে হয় আপু।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
আপনার ফলোয়ারের গল্পটির প্রথম পর্ব পরে বেশ মজা লাগলো। আসলে ফলোয়ার শব্দটি বর্তমানে ভাইরাল অবস্থা । কিছু কিছু লোকজন এইট ফলোয়ার দিয়ে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। আবার কিছু কিছু লোকজন না বুঝে এই ফলোয়ারদের পিছন পিছন ছুটছে। যাই হোক দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ভালো লিখেছেন।