।। পীরগঞ্জের বড়-বিলা বৈশাখী মেলা।। 10% shy-fox & 5% abb-school beneficiary।।
০৬ই জ্যৈষ্ঠ /১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
১৯মে/২০২২ইং।
রোজঃ-বৃহস্পতিবার।
।।পীরগঞ্জের বড়-বিলা বৈশাখী মেলা।।
নমস্কার বন্ধুরা,
আমি @amitab বাংলাদেশ থেকে "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির বাংলা ভাষাভাষী সকলকে জানাই গ্রীষ্ম ঋতু মধু মাসের শুভেচ্ছা। আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ঈশ্বর কৃপা ও আপনাদের আশীর্বাদে মোটামুটি আছি। বৈশাখ মাস আসলেই বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ধুমধাম করে উদযাপিত হয় বৈশাখী মেলা, কিন্তু গত ২ বছর পূর্বে বাংলাদেশে করোনার কারণে কোন এলাকাতেই বৈশাখী মেলা উদযাপন হয়নি। কিন্তু এবছর করো না কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার কারণে এ সমস্ত বিষয়ে শীতলতা এসেছে। পুরো বৈশাখ মাস ধরেই রংপুরের পীরগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে ধুমধারাক্কা ভাবে পালন হয়ে গেল বৈশাখী মেলা। অদ্য আমি আপনাদের সামনে সেই বৈশাখী মেলা নিয়ে হাজির হয়েছি, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
বৈশাখী মেলা চিত্র-০১
উপরের চিত্রে বৈশাখী মেলায় অধীর কাকা সহ একটি সেলফি।
সেদিন ছিল ৯ এপ্রিল/২০২২ইং ২৬ শে চৈত্র/১৪২৯ বঙ্গাব্দ। পেশাগত দায়িত্ব কারণে গিয়েছিলাম পীরগঞ্জে। পীরগঞ্জে হঠাৎ করে দেখা আমাদের গ্রামের অধির কাকার সঙ্গে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম পীরগঞ্জে কেন? উনি বললেন বড়বিলার মেলায় এসেছিলাম। দুই বছর হল কোন মেলায় যাই না, আমারও খুব যেতে মনে ইচ্ছে হচ্ছে। অধিকার কাকে বললাম, চলেন আরেকবার ঘুরে আসি মেলা থেকে। উনি আমার কথায় সঙ্গে রাজি হয়ে গেলেন।
বৈশাখী মেলা চিত্র-০২
উপরের চিত্রটি অধির কাকা হেঁটে হেঁটে মাটির তৈরি জিনিসপত্র দেখছেন।
আমি আমার মোটরবাইকে অধিকার নিয়ে চলে গেলাম বড়বিলার বৈশাখী মেলা দেখতে। গিয়ে দেখি একটি সত্যি সত্যি মেলা বসেছে বড় বিলার পাড়ের উপরে সেই মেলা। পীরগঞ্জের এই বিলটি ঐতিহ্যবাহী বিল। কয়েক শত একর খাস জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে এবিলিটি। শিবিরের সঙ্গে একটি ছোট আকারের নদী এসে সংযোগ হয়েছে। নদীর নাম আখিরা নদী। বিলের মুখেই নদীতে একটি সরকারিভাবে সুইস গেইট নির্মাণ করা হয়েছে।
বৈশাখী মেলা চিত্র-০৩
উপরের চিত্রটি একটি লোহার তৈরি গৃহস্থলী কামারের দোকান
প্রতিদিন বিকেল করে এই সুইচগেট অনেক দর্শনাথী ভিড় থাকে । যাহোক যা বলছিলাম-দুই বছর পর বৈশাখী মেলায় হাজার হাজার দর্শনার্থী আসছে আর যাচ্ছে । অসংখ্য দোকানপাট মেলায়, মেলাতে কেউ কিনছে রসুন পিয়াজ, কেউ কিনছে মাটির হাড়ি পাতিল, কেউ কিনছে রান্নার কাজে লোহার গড়া কামারি জিনিস।
বৈশাখী মেলা চিত্র-০৪
উপরের চিত্রের দোকানটি একটি মিষ্টির দোকান।
মেলা বসেছে হরেক রকম কসমেটিকসের দোকান। বসেছে ঐতিহ্যবাহী জিলাপি দোকান সহ হরেক রকম মিষ্টির দোকান। বিক্রি হচ্ছে প্রচন্ড ভাবে, কেউ মেলায় মিষ্টান্ন খেয়ে আবার বাড়ির জন্য নিছেন। এখানে একটি মাজার রয়েছে, কেউ আবার মাঝারি টাকা পয়সা দান করছেন।
বৈশাখী মেলা চিত্র-০৫
উপরের চিত্রে দেখা যাচ্ছে গ্রামের অসংখ্য মানুষ রসুন বিক্রি করতে এসেছে।
মেলায় ঘুরতে ঘুরতে আমি ওদের কথা সহ গুড় ও চিনির জিলাপি খেলাম। বাড়ির জন্য আমিও জিলাপি সহ কিছু রসুন কিনলাম। এটিই হচ্ছে এবছরের প্রথম বৈশাখী মেলা। কিল্লাম কিছু বাচ্চাদের জন্য খেলনা।
বৈশাখী মেলা চিত্র-০৬
উপরের চিত্রটি মিষ্টির দোকান মাটিতে উনুন করে মিষ্টান্ন তৈরিতে ব্যস্ত দেখা যাচ্ছে।
মেলাতে প্রচুর লোকের সমাগম, সাইকেল বা মোটরসাইকেল রাখার জন্য একটি গ্যারেজ করেছে কিন্তু আগত সমস্ত লোকের সাইকেল বা মোটরসাইকেল রাখার কোনো জায়গা নেই। জায়গা না পেয়ে আমরা আমাদের মোটরসাইকেলটি রাস্তায় রেখেছি।
বৈশাখী মেলা চিত্র-০৭
উপরের চিত্রের দোকানটি একটি বিভিন্ন ডালের দোকান।
মেলায় লক্ষ্য করলাম বেশ কিছু দোকান নারীরাই দিয়েছেন। মেলাটি একেবারে গ্রামের সঙ্গে তাই নারীর সমাগমে বেশি। স্থানীয় লোকজনদের কাছে শুনলাম এটি একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা। এই মেলায় পুতুল নাচ সার্কাস মোটরসাইকেল খেলা সহ বিভিন্ন আইটেম থাকে।
বৈশাখী মেলা চিত্র-০৮
উপরের চিত্রে লোকটি গুহামহুরী বিক্রি করছেন।
*কিন্তু করোনাকালীন সময়ের কারণে মেলাটি বন্ধ থাকায় এবারে এসবের আয়োজন ছিল না। আগামী বছর থেকে ভালোভাবে করবে মেলাটি। যদি করোনার কোন নিষেধাজ্ঞা না থাকে।
বৈশাখী মেলা চিত্র-০৯
উপরের চিত্রের দোকানগুলি বিভিন্ন কসমেটিকসের দোকান।
যাহোক মেলাটিকে ঘুরেফিরে বেশ ভালই লাগলো, বেলাউজ গড়িয়ে গেল, আমার আবার বেশি দেরি না করে, মেলা থেকে বের হয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
বৈশাখী মেলা চিত্র-১০
উপরের চিত্রটি চিনির খাজা বাতাসা দোকান।
বন্ধুরা, আজ এ পর্যন্ত্যই, " রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা সদরের বড়-বিলার বৈশাখী মেলার কথা।" আগামীকাল আবার কথা হবে "রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ১২নং মিলনপুর ইউনিয়নের গোপালপুরের বৈশাখী মেলার কথা" সে পর্যন্ত সাথেই থাকুন এই প্রত্যাশায় সকলের সুস্বাস্থ্যে কামনায়, সবাইকে শুভেচ্ছা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে এখানেই বিদায়।
নাম | শ্রী ফণিভূষণ রায় অমিতাব। |
---|---|
User Id | @amitab |
Camera | Symphony Mobile phone. |
Model | Z-35. |
Photo Location | pirgonj Borobila. |
Address | Vendabari Prigonj Rangpur Bangladesh. |
একদম ঠিক বলেছেন বৈশাখ মাস আসলেই আমাদের দেশের আনাচে-কানাচে মেলার ধুম লেগে যায়। গত দুই বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ থাকার পর এবার সব জায়গায় আনন্দের মাত্রাটা একটু বেশি ছিল। ফটোগ্রফি গুলো দেখে বুঝতে পারছি মেলাটি জমজমাট হয়েছিল। আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। কষ্ট করে ফটোগ্রাফি গুলো দেখার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন বৈশাখ মাস আসলেই আমাদের দেশের আনাচে-কানাচে মেলার ধুম লেগে যায়। গত দুই বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ থাকার পর এবার সব জায়গায় আনন্দের মাত্রাটা একটু বেশি ছিল। ফটোগ্রফি গুলো দেখে বুঝতে পারছি মেলাটি জমজমাট হয়েছিল। আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মেলা দেখতে আমারও খুব ভালো লাগে ।আপনার প্রত্যেকটি ছবি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এত চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনার জন্য বৈশাখী মেলার পোস্টটা দেখার জন্য। আপনার জন্য আগামী দিনের শুভেচ্ছা রইল।
কোনও মেলায় যে কখনো পেঁয়াজ-রসুন এগুলো বিক্রি হয় এটা কখনো দেখিনি । রংপুরের মেলা তো দেখছি সম্পূর্ণ অন্যরকম । আমাদের এদিকের মেলা হয় কিছুটা ভিন্ন ধর্মী । এই ধরনের মেলা দেখার সৌভাগ্য আগে কখনো হয়নি । ধন্যবাদ আপনাকে ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। এগুলো গ্রামের মেলা আমাদের এদিকে গ্রামের মেলায় এগুলো পাওয়া যায়। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।