।। ৩১ বছর পর ১৫ কলেজ বন্ধুর সাথে কফি আড্ডা।।10% shy-fox beneficiary।।
৪ঠা শ্রাবণ /১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
১৯ই জুলাই/২০২২ইং।
রোজঃ-মঙ্গলবার
বন্ধুরা, নমস্কার/আদাব
আমি @amitab বাংলাদেশ থেকে "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার বাংলা ভাষাভাষী সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশারাখি সকলেই ভাল আছেন। আমিও ঈশ্বরের কৃপা ও আপনাদের আশীর্বাদে একরকম আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আমার কলেজ জীবনের ১৪ বন্ধুর সঙ্গে ৩১ বছর পর পুনর্মিলনী ও কফি আড্ডা নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের সকলকে ভাল লাগবে।
।। ৩১ বছর পর ১৫ বন্ধুর কফি আড্ডা।।
১২ জুলাই বেলা তিনটা বাজে, প্রচন্ড গরম, সেদিন রংপুরে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস । এক সপ্তাহ ধরে রোদ্রের প্রচন্ড তাপমাত্রার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। আমিও বাসায় শুয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। বিছানায় রাখা আমার মোবাইল ফোনটি কয়েকবার ভাইব্রেশন শব্দ হলেও ইচ্ছাকৃতভাবে ফোনটি রিসিভ করলাম না।
চিত্র-০১
৫-৭ মিনিট পর একের পর এক ভাইব্রেশন শব্দ করে আবারো অগণিতবার ফোনটি বাঁচতে লাগলো বাধ্য হয়ে রিসিভ করতে বাধ্য হলাম। হ্যালো বলতেই, ওপার থেকে ভেসে আসলো, "এই শালা, কোথায় রে তুই," আমি তো হতভম্ভ হয়ে গেলাম।" কথা শেষ না হতে হতেই বলে উঠলো, "এই আমি পলাশ, ধর মিঠুর সঙ্গে কথা বল, আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওপাশ থেকে আবারও ভীষণ গালিগালাজ। "এই তুই ফোন ধরিস না কেনরে ? তোর আজ হাড্ডি ফাটাবো, ইত্যাদি------------ইত্যাদি।
চিত্র-০২
আমি অনেকক্ষণ পর গালিগালাজের ধরন শুনে কিছুটা আন্দাজ করলাম, এই শালা কলেজ লাইফের বন্ধু কালো মিঠু হতে পারে। অমনি আমিও আন্দাজ করে শুরু করলাম, এই শালা তুই কালো মিঠু নাকি রে ? ওপার থেকে হা---হা শব্দে বলে উঠলো শালা চিনতে পারছিস তাহলে ? আমি বলে উঠলাম, এতদিন পর, কোথায় রে তোরা ? ওপার থেকে বলে উঠলো, আমরা তোর ভেন্ডাবাড়িতে "ঝিলমিল রেস্তোরাঁয়।" আমি বললাম, বাসায় চলে আয়, ওরা বলল-"না তুই ঝিলমিলে চলে আয়।"
চিত্র-০৩
তারপরে তাড়াহুড়ো করে উঠে পড়ে একটু ফ্রেশ হয়ে চলে গেলাম ঝিলমেলে। গিয়ে দেখি একেবারে মিলন মেলা, ১৯৯১ইং সনের ইন্টারমিডিয়েটের কলেজ বন্ধু-পলাশ, কামরুল,শ্যামল, রনি, রেজাউল, বুলবুল, তিতাস, আরিফুজ্জামান, স্বাধীন, পল্লব, পল্টন, ইমরান, ইকবাল ও কাওসার সকলে একত্রিত হয়েছে। ইন্টারমিডিয়েট পাস করার পর আমরা ছিন্ন ভিন্ন হয়ে পড়ি, কেউবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কেউবা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, কেউবা রংপুর কারমাইকেল কলেজ ইত্যাদিতে।
চিত্র-০৪
ওরা ঝিলমিল রেস্তোরায় দুপুরের লাঞ্চ করার পর আমার নিকট ফোন দিয়েছে। আমি গিয়ে সবাইকে একসঙ্গে দেখতে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছি। ৩১ বছর পর এভাবে আমার ভেন্ডাবাড়িতে সবাইকে একসঙ্গে পাব কোনদিন ভাবিনি। যা হোক আমার একটু যাইতে দেরি হওয়াতে ওরা আমাকে বকুনি দিল।।
চিত্র-০৫
যাই হোক আমি সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে প্রথমে ঠান্ডা খাওয়াইয়ে সবাইকে ঠান্ডা করে দিলাম। তারপর জমে উঠলাম ৩১ বছরের সেই কলেজ জীবনের সেই স্মৃতি বিজড়িত প্রত্যেকেরই কাহিনীয় ঘটনাগুলো পুনরাবৃত্তি আলোচনায়। খুবই আনন্দিত হলাম যে, এরা প্রত্যেকেই ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি রত রয়েছেন।
চিত্র-০৬
দীর্ঘ তিন ঘন্টা ধরে ওদের সঙ্গে ঝিলমিল প্রস্তরায় খোশগল্প আড্ডায় কাটিয়ে দিলাম। পরিশেষে সবাইকে পুনরায় পটেটো ফ্রাই ও কফি পান করিয়ে কফি আড্ডার সমাপ্তি ঘটালাম।
চিত্র-০৭
সবাইকে বাসায় নিয়ে আসার জন্য অনেক অনুরোধ করলাম তারা বাসায় সময় দিতে পারল না। কারণ তারা সবাই মিলে ঈদ উপলক্ষে আমাদের এখানে শালবন, ইকোপার্ক ও ঝিলমিল পার্কে ঘুরতে এসেছিল। এখান থেকে আবার সবাই মিলে চলে যাবেন করতোয়া নদীর উপরে ডঃ ওয়াজে ব্রিজ দেখতে।।
চিত্র-০৮
বন্ধুরা , এই ছিল আজকে আমার ৩১ বছর পর কলেজ জীবনের বন্ধুদের সঙ্গে কফি আড্ডার বিবরণ। অনেক ভালো লাগলো এবং সময় কাটল সকল বন্ধুদের একসঙ্গে পেয়ে। আজকে এ পর্যন্তই সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মত এখানেই বিদায়। আবার দেখা হবে আগামীকাল অন্য কোন বিষয় নিয়ে।
নাম | শ্রী ফণিভূষণ রায় অমিতাব। |
---|---|
User Id | @amitab |
Camera | Symphony Mobile phone. |
Mobile Phone Model | Z-35. |
Photo Location | Vendari jhilmil Park. |
My Address | Vendabari Prigonj Rangpur Bangladesh. |
আমার তো খুবই ভালো লাগলো। আপনাদের এতগুলো বন্ধু অনেকদিন পর একত্রিত হয়ে সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে। হয়তো জীবনটা এমনই,একসাথে লেখাপড়া করা বন্ধু বিভিন্ন কর্ম ব্যস্ততায় বিভিন্ন দিকে চলে যায়। যাদের সাথে একত্রিত হওয়া বড় কঠিন হয়ে যায়। তবে তার মধ্য থেকে চেষ্টা করে ১৫ জন একত্রিত হতে পেরেছেন এটা বড় সৌভাগ্যর বিষয় ছিল।
মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। সত্যিই এটা অনেক কঠিন ব্যাপার ছিল।
দীর্ঘ ৩১ বছর পর সাক্ষাৎ। ভাবা যায়। এরই মধ্যে কতগুলো সময় পেরিয়ে গেছে হায়রে সময় হায়রে জীবন। আসলে আমি তো ভেবেই অবাক কল্পনা করতে পারছিনা। ভাই আপনার লেখাগুলো পড়ে ও শেয়ার কৃত ফটোগ্রফ গুলো দেখে দু চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না পুরনো শৈশবে ফিরে গেলাম কতদিন ধরে বাল্যকালে সে বন্ধুদের দেখিনা।
স্কুল লাইফ ও কলেজ লাইফের বন্ধুদের এভাবে পাওয়াটা আসলেই মুশকিল। মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ভাই খুবই ভালো লাগলো আপনাদের এতগুলো বন্ধু অনেকদিন পর একত্রিত হয়ে সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আসলে এই আনন্দঘন মুহূর্তের সময় গুলো এতটা রঙিন ও উচ্ছ্বাসিত হয় যা কল্পনারও বাইরে। আর এই সময়টা যেন খুব দ্রুত চলে যায় মন যেন চায় যে সারাদিন সবাই একসাথে আড্ডা দেই। তবে হয়তো জীবনটা এমনই,একসাথে লেখাপড়া করা বন্ধু বিভিন্ন কর্ম ব্যস্ততায় বিভিন্ন দিকে চলে যায় তা আমরা কেউ চাইলেও একসাথে থাকতে পারবো না। এই ক্ষেত্রে সকলের সাথে একত্রিত হওয়া বড় কঠিন হয়ে যায়। তবে ব্যস্ততার মাঝেও আপনারা চেষ্টা করে ১৫ জন একত্রিত হতে পেরেছেন এটা বড় সৌভাগ্যর বিষয় ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ৩১ বছর পরের আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলেই বাস্তবতা বড় কঠিন জিনিস। কর্মব্যস্ততার কারণে সকল বন্ধুরা বিভিন্ন জায়গায় ছিটকে রয়েছে। সবাইকে একসঙ্গে পেয়ে আসলেই খুবই উচ্ছাসিত হয়েছিলাম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এত বছর পরেও যে আপনাদের বন্ধুত্ব টিকে রয়েছে সবাই সবাইকে চিনতে পেরেছেন একসাথে দেখা করেছেন এটা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আর ওই শালা ছাড়া তো বন্ধুরা কথাই বলতে পারে না 😁। হাজার বছর টিকে থাকুক আপনাদের এমন বন্ধুত্ব। আশা করি আপনারা সব বন্ধুরা মিলে খুব সুন্দর একটি আনন্দঘন সময় কাটিয়েছেন। আপনাদের সব বন্ধুদের জন্য শুভকামনা রইল।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। হ্যাঁ সত্যি সত্যি অনেক মজা করেছি। এত বছর পর বন্ধুদের পেয়ে খুবই আনন্দিত ।
এত বছর পর বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে নিশ্চয় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়লেন। বন্ধুর সাথে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দুর্দান্ত হয়েছে । এত চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এতটা বছর পর এতগুলো বন্ধু একসাথে হতে পেরেছে এটা সত্যিই চমৎকার একটি বিষয়, আমরা এখনই বন্ধুদের একত্রে করতে অনেকটা কষ্ট করতে হয়, বন্ধুদের সাথে কাটানো স্মৃতি গুলো মনে পড়ে যায়। শুভকামনা রইল আপনার জন্য দোয়া করি সুস্থ থাকুন।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।