।। দিনাজপুর জেলার আত্রাই নদী ও ব্রিজের ফটোগ্রাফি।। 10% shy-fox beneficiary।।
২২ই সেপ্টেম্বর/২০২২ইং।
রোজঃ বৃহস্পতিবার।
বন্ধুরা, নমস্কার/আদাব
আমি @amitab বাংলাদেশ থেকে "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার বাংলা ভাষাভাষী সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশারাখি সকলেই ভাল আছেন, আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আত্রাই নদী ও ব্রিজে কিছু বিশেষ মুহূর্ত পার করার কথা ও কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে নিয়ে হাজির হয়েছি। আশাকরি আপনাদের সকলকে ভাল লাগবে।
।। নদী ও ব্রিজের পরিধি ও অবস্থান।।
আত্রাই নদীটি ঠাকুরগাঁ, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলার ভিতর দিয়ে প্রভাবিত হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল-করোতোয়া নদী থেকে (মুন্সিপাড়া, খানসামা, দিনাজপুর।) এর প্রতিটি স্থল-গঙ্গাপ্রসাদ, সদর, দিনাজপুর হয়ে ভারতে। নদী তীর দৈর্ঘ্য প্রায়-৮০ কিলোমিটার, দিনাজপুর অংশ। গড় প্রস্থ প্রায়-১৮০ মিটার।
বিএনপি সরকারের আমলে দিনাজপুরের খানসামায় আত্রাই নদীর উপর দিয়ে "জিয়া সেতু " নামে এ সেতুতে নির্মাণ হয়। বর্তমানে এটি "এলজিইডি সেতু" নামে পরিচিত। সেতুটি র দৈর্ঘ্য প্রায়=৪৯৮ মিটার, অর্থাৎ প্রায় আধা কিলো মিটার। সেতুটি নির্মাণ হওয়ার কারণে দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারী এই সার জেলার মানুষের একটি সেতু বন্ধন তৈরি হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার, বাই বাসে গিয়েছিলাম দিনাজপুর জেলার সেই খানসামা উপজেলায়। উদ্দেশ্য ছিল আমার এক সহকর্মীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। যাওয়ার সময় ভীষণ ক্লান্তি বোধ করছিল। আমার পীরগঞ্জ থেকে দূরত্ব প্রায় দেড়শ কিলোমিটার। সকাল সাতটায় বাড়ি থেকে বের হয়ে বেলা একটাই গিয়ে পৌঁছলাম সেখানে। প্রচন্ড গরম আর তাপদাহে ত্রাহী ত্রাহী অবস্থা আমার।
খানসামা উপজেলা সদরে পৌঁছানোর পর বেলা প্রায় দুইটা পর্যন্ত আমার সেই সহকর্মীর মোবাইল ফোন সুইচ অফ। ফল ভীষণ একটা অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়ে গেলাম। একাধিকবার ট্রাই করে না পেয়ে শেষে বাসায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্ব মুহূর্তে আর একবার ট্রাই করি। ঠিক বেলা দুইটাই মোবাইলে সৃষ্টি অন পাই আমি। কিছুটা স্বস্তি বোধ ফিরে আসে আমার। যাই হোক শেষে আমার সেই কলিগ আমাকে বলেন যে-উপজেলা সদর থেকে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার দূরে আত্রাই নদী পার হয়ে পশ্চিমপাড়ে এলেই আমি তার দেখা পাব।
দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে একটি অটো রিক্সা ভাড়া করে রওনা দিলাম সেই আত্রাই নদীর পশ্চিম পাড়ে। নদীর পাড়ের কাছে গিয়েই দেখতে পেলাম অপূর্ব সুন্দর একটি ব্রিজ দাঁড়িয়ে আছে নদীর মাঝখানে। নদীটিও চমৎকার লাগছে আমার কাছে। নদী ও ব্রিজের দৃষ্টিনন্দন অপরূপ সৌন্দর্যে দেখেই নিমিষেই আমার সারাদিনের ক্রান্তি দূর হয়ে গেল। যে কোন নদী ও নদীতে সেতু দেখলে আমার ভীষণ ভালো লাগে। নদীর সেই অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য ও নীল আকাশ একসঙ্গে মিশে গিয়ে যেন মিতালী করছে।
নদী ও নদীর উপরে নির্মিত অপরূপ সুন্দর এই বৃষ্টি দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না। অটোরিকসাওয়ালা ভাইকে অনুরোধ করে, দার করে রেখে নদী, নদীর উপরে নির্মিত ব্রিজ, নদীর সঙ্গে মিতালি করছে নীল আকাশ, কিছুক্ষণ সময় দিয়ে ব্রিজের উপর মুক্ত হওয়া সহ উপভোগ করলাম নদীর সেই অপরূপ সৌন্দর্যকে। সাথে মোবাইল ফোনটা বের করে আপনাদের সৌজন্য কয়েকটি সেলফিসহ অপরূপ দৃশ্য ক্যাপচার করলাম।
তারপর নদীর পশ্চিম পাড়ে গিয়ে আমার সহকর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। সাক্ষাত শেষে প্রায় সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আমার ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে সময় কাটিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। অবশ্য রাত্রি যাপনের জন্য অনেক অনুরোধ করেছেন সহকর্মী। কিন্তু রাতে যাপন করা সম্ভব হয়নি।
সন্ধ্যা ছয়টা রওনা দিয়ে রাত্রি প্রায় এগারোটার দিকে বাসায় এসে পৌঁছলাম। বেশ ভালো লাগলো দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আত্রাই নদীর উপর নির্মিত এল জিডিই ব্রিজ ও নদীর অপরূপ সৌন্দর্য।
বন্ধুরা, এই ছিল আজকে আমার দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আত্রাই নদী ও ব্রিজের ফটোগ্রাফি। আজ এ পর্যন্তই, আবার কথা হবে আগামীকাল অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন, শুভ সন্ধ্যা।।
নাম | শ্রী ফণিভূষণ রায় অমিতাব। |
---|---|
User Id | @amitab |
Camera | Symphony Mobile phone. |
Mobile Phone Model | Z-35. |
Photo Location | khansama dinajpur. |
My Address | Vendabari Prigonj Rangpur Bangladesh. |
এই ব্রিজের উপর দিয়ে কয়েকবার যাওয়া আসা করেছি।তবে ব্রিজের সৌন্দর্যের চেয়ে একটি বিষয় বেশ খারাপ লাগে যে নদীতে সবসময় পানি থাকে না।তবে যাইহোক ব্রিজটা বেশ উপকারী।আর আপনার সহকর্মীর সাথে দেখা হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
সত্যি তাই। আমিও বেশি পানি দেখলাম না। আমার কাছেও একটু অবাক লাগলো। নদীটি একদম শুকনো মৌসুমের ন্যায় সামান্য পানি নিয়ে পড়ে আছে। তবে আমার কাছে পরিবেশটা খুবই উপভোগ্য ছিল। মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আএাই নদীর ভৌগলিক অবস্থা স্থান কাল সময় গভীরতা দৈর্ঘ্য সবকিছু বেশ সুন্দরভাবে দিয়েছেন। তবে ঐ সময়ে যদি কারো ফোন বন্ধ পায় তাহলে সেটা কিন্তু সত্যি অনেক বিরক্তিকর। শেষ পযর্ন্ত কাজ শেষ করে বেশ অনেক রাতে বাড়ি ফিরেছেন। সত্যি নদী এবং ব্রীজটা বেশ সুন্দর।।
জি ভাই কষ্ট হলেও নদী ও ব্রিজ দেখে আমার সকল ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে। তারপর সুষ্ঠুভাবে সহকর্মীর সঙ্গে সাক্ষাত করে বাড়িতে ফিরতে পেরেছি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আসলে দাদা স্থানটি আমার কাছে অচেনা ছিল। তবে আজকে আপনার ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সুন্দর বর্ণনার পড়ে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলাম। জানতে পারলাম দিনাজপুরের এই এত সুন্দর ব্রিজ ও নদী সম্পর্কে।
জায়গাটি আসলেই ভালো লেগেছে আমার। আমার পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সকলের কাছে নদী ও ব্রিজটির ভৌগলিক অবস্থান তুলে ধরতে পেরেছি এতেই বিশাল সান্তনা। মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।