।। রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ পর্ব--৬ ।।10% shy-fox & 5% abb-school beneficiary।।
২৭ই বৈশাখ/১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
১০মে/২০২২ইং।
রোজঃ-মঙ্গলবার।
ঈদ আনন্দে করতোয়া নদী পাড়ে মেলা ভ্রমণ
ঈদ হল সারা বিশ্বের মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় ও আনন্দের উৎসব। আর এই ঈদের উৎসবকে ঘিরেই ১৯৩১ ইং সনে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম অন্যতম একটি গান রচনা করেছিলেন। গানটি হল "ও মন রমজানের ঐ শেষে এলো খুশির ঈদ।" ধর্ম যার, যার, উৎসব সবার।
করতোয়া নদী পাড়ের মেলা চিত্র-০১
করোতোয়া নদীর উপরে নৌকায় চড়ে আমার ছোট মেয়ে তৃষ্ণা রানী রায় তমা ও বন্ধু মাহফুজুর রহমান সহ একটি সেলফি।
ঈদ আনন্দ ভ্রমন বিবরনের আগে আপনাদের সকলের অবগতির জন্য কিছু কথা না বললেই নয়। আমি কিন্তু বর্তমানে একজন সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষের মত নই। বর্তমানে আমি একজন ব্রেন স্টোকের রোগি। বর্তমানের একটু চলাচল করতে পারলেও আগের মত আর স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে পরছি না, তাই অনেকে বলতে পারেন যে, রেষ্টে না থেকে এ সকল আনন্দ উৎসবে কেন? মুলত এটিও আমার চিকিৎসার একটি আংশ। ডাক্তার বলছেন কোন টেনশন করবেন না। যেখানই আনন্দ উৎসব হবে পারলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে অংশ গ্রহনের চেষ্টা করবেন। তাই এটি আমার একটি সুস্থ হবার প্রায়াস মাত্র। বন্ধুরা সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন আর নিজেরা ভালো থাকবেন।
করতোয়া নদী পাড়ের মেলা চিত্র-০২
করতোয়া নদী পাড়ের মেলায় নাগর দোলায় চড়ছে দর্শনার্থীরা
ঈদ আনন্দ ভ্রমণ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৫টি ভ্রমণ কাহিনী উপস্থাপন করেছি। সে গুলো হচ্ছে (১) ভেন্ডাবাড়ী ঝিলমিল পার্ক, (২) মিঠাপুকুরের রাবার বাগান, (৩) মিঠাপুকুরে শালবাগান এবং (৪) ভেন্ডাবাড়ীর সোনামতি নদীপারের মেলা এবং (৫) দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আশুরা বিল ও ঐতিহ্যেবাহী কাঠের সেতু ভ্রমণ কাহিনী। **আজ আপনাদের নিয়ে যাবো রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ৬নং টুকুরিয়া ইউনিয়নের শেষ প্রান্তো দিয়ে বয়ে চলা করতোয়া নদী পাড়ের মেলা ভ্রমনে।
করতোয়া নদী পাড়ের মেলা চিত্র-০৩
করতোয়া নদীর নির্মিত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সেতু। সেতুর নিচে নদীতে আগত দর্শনার্থীদের নৌকা নিয়ে নদীতে ঘোরার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে
যাহোক বন্ধুরা, ঈদের চতুর্থ দিনে, বন্ধু মাহফুজার ও মেয়ে সহ ঈদ আনন্দে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম করোতোয়া নদী, নদীর উপরে নির্মিত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সেতু এবং ড.এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও নদীপারের মেলা ঘুরতে*
করতোয়া নদী পাড়ের মেলা চিত্র-০৪
এখানে আগত অনেক দর্শনার্থী করতোয়া নদীতে নৌকায় উঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে
আমার বাসা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার প্রতিি ঈদে এখানে হাজার হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। ঈদ উপলক্ষে এখানে মেলা বস। প্রতিদিন ইহা ছাড়াও সারাবছর বিকেল করে অসংখ্য দর্শনার্থীকে দেখতে পাওয়া যায়।
করতোয়া নদী পাড়ের মেলা চিত্র-০৫
এটি ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নিচে করোতোয়া নদীর পাড়
করতোয়া নদী পাড়ের মেলা চিত্র-০৬
এটি ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং সেতু মোড়
যাহোক গিয়ে মেলায় গিয়ে মেয়ে আমার খুবই আনন্দিত। ও কোন দিন নৌকায় চড়ে নি বা নদীও দেখেনি। আজকে এখানে এসে সে নদীতে ঘুরিয়ে বেরিয়েছে আমাদের সঙ্গে।
করতোয়া নদী পাড়ের মেলা চিত্র-০৭
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সেতুর পূর্বভাগে দর্শনার্থীদের একাংশ
মেলাতে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম ঘটছে। এলাকার লোকজন অটোরিকশা এবং দূর-দূরান্তের দর্শনার্থী গন আসছে, কিউবা প্রাইভেটকারে , কিউবা মাইক্রো বাসে, কেউবা যাত্রী বাসে।
করতোয়া নদী পাড়ের মেলা চিত্র-০৮
করোতোয়া নদীর পাড়ের উপরে নির্মিত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ চত্বর
আমরা সকাল ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ঘোরাফেরা করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। স্থানীয়রা অনেকেই বলছে এখানে বিকেল বেলায় হাজারো দর্শকের সমাগম ঘটে।
করতোয়া নদী পাড়ের মেলা চিত্র-০৯
করোতোয়া নদী পাহাড়ের উপরে আগত দর্শনার্থীদের একাংশ
করতোয়া নদী পাড়ের মেলা চিত্র-১০
মেয়ে সহ করতোয়া নদী পাড়ের মেলার সামনে একটি সেলফি
যাহোক এসে বেশ ভালই লাগলো । একসঙ্গে তিনটি দর্শনীয় স্থান দেখতে পারলাম । ১. করোতোয়া নদী ২.ড.এম এ ওয়াজেদ মিয়া সেতু এবং ৩.ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।
বন্ধুরা, আজ এ পর্যন্ত্যই, "ঈদ আনন্দে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ৬ টুকুরিয়া ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে বয়ে চলা করতোয়া নদী পাড়ের মেলা, ড.এম এ ওয়াজেদ মিয়া সেতু ও ড.এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ও ইন্জিনিয়ারিং কলেজের ভ্রমন কাহিনী।" আবার কথা হবে নতুন কোন কন্টেইন্ট নিয়ে। সে পর্যন্ত সাথেই থাকুন এই প্রত্যাশায় সকলের সুস্বাস্থ্যে কামনায়, সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। "ঈদ মোরারক।"
নাম | শ্রী ফণিভূষণ রায় অমিতাব। |
---|---|
User Id | @amitab |
Camera | Symphony Mobile Phone. |
Model | Z-35 |
Address | Vendabari Pirganj Rangpur Bangladesh. |
ঈদ উপলক্ষে আপনি যতটা ঘোরাঘুরি করেছেন সত্যি বলতে এতটা ঘোরাঘুরি আমি নিজেও করি নাই। আপনি দেখছি দারুণ উপভোগ করেছেন ঈদের মেলা গুলো। করতোয়া নদীর নাম শুনেছি। এর পাড়ে এমন সুন্দর একটি মেলা ভ্রমণের আকাঙ্কা সৃষ্টি হয়ে গেল। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো ছিল। দারুণ সময় কাটিয়েছেন করতোয়া নদীর পাড়ের মেলায়।
করতোয়া নদীর পাড়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। করোতোয়া নদীর পাড়ের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।
ভাই সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত আপনি করোতোয়া নদীপারের মেলায় সময় কাটিয়েছেন। বেশ অনেকটা সময় কাটিয়েছেন দেখছি। যেহেতু নদীরপাড় সেহেতু খোলামেলা আবহাওয়ায় এই মেলাটি খুবই মনমুগ্ধকর পরিবেশ ও অনেকটাই স্বাচ্ছন্দে সময় পার করেছেন তা বেশ বুঝতে পারছি। রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ পর্ব ৬ আপনি খুবই সুন্দর একটি প্রাকৃতিক দৃশ্যের মাঝে মেলার রূপ বৈচিত্র কে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার ঈদ উপলক্ষে প্রত্যেকটা পর্ব আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি খুব মনোযোগ সহকারে আপনার ফটোগুলো এবং লেখা পড়েছি। আসলেই আপনি ঈদের দিন টা সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন। আপনার জন্য সুস্থতা কামনা করি।
করতোয়া নদীর পাড়ে এত সুন্দর একটা মেলা বসেছে দেখে ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটা মেলায় অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আপনার ঈদ নিয়ে প্রতিটি পর্ব দারুন লেগেছে। আজকের ঈদের পর অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এত সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।