।। আমার আবেগ আপ্লুত একটি মুহূর্ত ।। 10% shy-fox beneficiary।।
২১শে আশ্বিন ১৪২৯ বাং।
৮ই অক্টোবর/২০২২ইং।
রোজঃ শনিবার।
বন্ধুরা, নমস্কার/আদাব
আমি @amitab বাংলাদেশ থেকে "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার বাংলা ভাষাভাষী সকল বন্ধুদের জানাই শরৎ ঋতুর অপরূপ সৌন্দর্য কাশফুলের শুভেচ্ছা। আজকে আমি আপনাদের সামনে আমার আবেগ আপ্লুত একটি মুহূর্তের কথা জানানোর জন্য আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
।। আমার আবেগ আপ্লুত একটি মুহূর্ত ।।
প্রত্যেকটা মানুষের পেশাগত জীবনে অপ্রত্যাশিত কিছু প্রাপ্তি চলে আসে। আর সেই বিশেষ মুহূর্তে কারো থাকে উচ্ছাস, আনন্দ, উল্লাস ও কাহারো থাকে আবেগ আপ্লুত খুশির কান্না। আর সেই মুহূর্তটি সারা জীবনের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে মনের মাধুরীতে। তেমনি অপ্রস্তুত ও অপ্রত্যাশিত হবে আমার জীবনে একটি আবেগ আপ্লুত একটি মুহূর্ত ছিল আমাদের সকলের প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগের ৬৮ তম পর্বটি।""<br আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ শুরু করেছি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। অর্থাৎ বর্তমানে আমার কাজের বয়স চলছে প্রায় নয় মাস। এরমধ্যে গত ১৯শে এপ্রিল/২০২২ ইং তারিখে আমি ব্রেন স্টক করি। অর্থাৎ আমার বাংলা ব্লগে কাজ শুরু করার ৩ মাসের মধ্যে আমার ব্রেন স্ট্রোক হয়। এতে আমার মুখের জবানে জড়তা ও ডান হাত প্রায় অবশ হয়ে পরে। থমকে যাই আমার জীবন যাত্রার মান। ব্লোগিং জগৎটা আর দশটা মানুষের জন্য স্বাভাবিক হলেও আমার জন্য এটি একটি কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
দীর্ঘ দুমাস চিকিৎসার পর একটু স্বাভাবিকতায় ফিরে আসি। এখনো পূর্ণাঙ্গ সুস্থ হতে পারিনি। এরপরেও অসুস্থ শরীর নিয়ে বাড়িতে বসে বসে ব্লগ লেখার চেষ্টা করে চলেছি। যাইহোক এরই মধ্যে আমার বাংলা ব্লগের কয়েকটি কনটেস্ট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে অংশগ্রহণ করেছি। এর ওই ধারাবাহিকতায় শারদীয় দুর্গা উৎসবের পূর্ব মুহূর্তে @rme দাদা একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। আর সেই প্রতিযোগিতার নাম হচ্ছে-"শারদীয়া কনটেস্ট-১৪২৯।"এই কনটেস্টে সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে মা দুর্গার প্রতিমা দর্শনের ফটোগ্রাফি সহ শারদীয় উৎসবের বিবরণ উল্লেখ করতে হবে। প্রতিযোগিতার পোস্টটি দেখেই খুব আফসোস হচ্ছিল আমার। কারণ এবারে আমার নিজের বাড়িতেই মা দুর্গার পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এ কারণে বাহিরে কোথাও যেতে পারবো না মায়ের প্রতিমা দর্শন করে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারবো না।
আমার ধারনা ছিল মা দুর্গার একটা প্রতিমা দিয়েই প্রতিদিন এই ফটোগ্রাফি ও পূজার বিবরণ দিয়ে কখনোই বিজয়ী হওয়া যাবে না। পুরস্কার টা আমার কাছে বড় ব্যাপার না, বড় ব্যাপার ছিল মা দুর্গার শারদীয় উৎসব কনটেস্ট। বাহিরে যেতে না পারলেও আমার বাড়িতেই মায়ের পুজোর অনুষ্ঠান নিয়েই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করলাম। অনেকের এই কনটেস্টের পোস্ট পড়েছি সেই সাথে মায়ের সুন্দর সুন্দর প্রতিমা দর্শন করেছি। আমি মা দুর্গার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কনটেস্ট এর নিয়ম মেনে নিজ বাড়িতে শারদীয় উৎসবের বিবরণ ভক্তিসহকারে সামান্যতম উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি মাত্র।
এর মধ্য কমিউনিটি মডারেটর @swagata21দিদির প্রত্যেকটা কন্টেস্টের পোস্ট ও দেখেছি। চমৎকার ছিল দিদির পোস্টগুলো যেমনি উপস্থাপন তেমনি সাজানো ফটোগ্রাফি। নিঃসন্দেহে দিদি প্রথম স্থানের দাবিদার। যাইহোক গত বৃহস্পতিবার বরাবরের ন্যায় ৬৮ তম হ্যাংআউট এ স্বাভাবিক নিয়মেই জয়েন করি। হ্যাং আউট পর্বে শুরুতেই শুভ ভাই, হাফিজ ভাই সহ এডমিন মডারেটর দের বক্তব্যর শেষে শ্রদ্ধেয়@rme দাদার কন্টেস্টের বিজয়ীদের নাম শুভ ভাই ঘোষণা করতে গিয়ে যখন আমার নামটি ঘোষণা করলেন, সত্যি তখন আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলাম, আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম, এই প্রথমবার আমার বাংলা ব্লগের কন্টেস্টে বিজয়ী হতে পেরে খুশিতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলাম। সত্যি সত্যি আমি আমার অনুভূতি জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমার বাংলা বলক প্ল্যাটফর্মে আমার এই প্রাপ্তি সারা জীবনের জন্য স্মৃতি হয়ে থাকবে।
সেদিনের সেই আবেগ আপ্লুত মুহূর্তে আমার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারিনি। আজকে আমি আমার লেখনীর মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সর্বপ্রথম@rme দাদাকে। সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কমিউনিটির সংশ্লিষ্ট সকলকে। আমার বাংলা ব্লগ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যে প্ল্যাটফর্ম সর্বদা সৃজনশীলতাকে মূল্যায়ন করে থাকে। নিরপেক্ষতা, জবাবদিহিতা, সুশৃংখলতা সহ সকল ব্লগারদের উপরে তুলে নেয়ায় যার একমাত্র উদ্দেশ্য।।
দীর্ঘ দুমাস চিকিৎসার পর একটু স্বাভাবিকতায় ফিরে আসি। এখনো পূর্ণাঙ্গ সুস্থ হতে পারিনি। এরপরেও অসুস্থ শরীর নিয়ে বাড়িতে বসে বসে ব্লগ লেখার চেষ্টা করে চলেছি। যাইহোক এরই মধ্যে আমার বাংলা ব্লগের কয়েকটি কনটেস্ট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে অংশগ্রহণ করেছি। এর ওই ধারাবাহিকতায় শারদীয় দুর্গা উৎসবের পূর্ব মুহূর্তে @rme দাদা একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। আর সেই প্রতিযোগিতার নাম হচ্ছে-"শারদীয়া কনটেস্ট-১৪২৯।"এই কনটেস্টে সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে মা দুর্গার প্রতিমা দর্শনের ফটোগ্রাফি সহ শারদীয় উৎসবের বিবরণ উল্লেখ করতে হবে। প্রতিযোগিতার পোস্টটি দেখেই খুব আফসোস হচ্ছিল আমার। কারণ এবারে আমার নিজের বাড়িতেই মা দুর্গার পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এ কারণে বাহিরে কোথাও যেতে পারবো না মায়ের প্রতিমা দর্শন করে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারবো না।
আমার ধারনা ছিল মা দুর্গার একটা প্রতিমা দিয়েই প্রতিদিন এই ফটোগ্রাফি ও পূজার বিবরণ দিয়ে কখনোই বিজয়ী হওয়া যাবে না। পুরস্কার টা আমার কাছে বড় ব্যাপার না, বড় ব্যাপার ছিল মা দুর্গার শারদীয় উৎসব কনটেস্ট। বাহিরে যেতে না পারলেও আমার বাড়িতেই মায়ের পুজোর অনুষ্ঠান নিয়েই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করলাম। অনেকের এই কনটেস্টের পোস্ট পড়েছি সেই সাথে মায়ের সুন্দর সুন্দর প্রতিমা দর্শন করেছি। আমি মা দুর্গার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কনটেস্ট এর নিয়ম মেনে নিজ বাড়িতে শারদীয় উৎসবের বিবরণ ভক্তিসহকারে সামান্যতম উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি মাত্র।
এর মধ্য কমিউনিটি মডারেটর @swagata21দিদির প্রত্যেকটা কন্টেস্টের পোস্ট ও দেখেছি। চমৎকার ছিল দিদির পোস্টগুলো যেমনি উপস্থাপন তেমনি সাজানো ফটোগ্রাফি। নিঃসন্দেহে দিদি প্রথম স্থানের দাবিদার। যাইহোক গত বৃহস্পতিবার বরাবরের ন্যায় ৬৮ তম হ্যাংআউট এ স্বাভাবিক নিয়মেই জয়েন করি। হ্যাং আউট পর্বে শুরুতেই শুভ ভাই, হাফিজ ভাই সহ এডমিন মডারেটর দের বক্তব্যর শেষে শ্রদ্ধেয়@rme দাদার কন্টেস্টের বিজয়ীদের নাম শুভ ভাই ঘোষণা করতে গিয়ে যখন আমার নামটি ঘোষণা করলেন, সত্যি তখন আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলাম, আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম, এই প্রথমবার আমার বাংলা ব্লগের কন্টেস্টে বিজয়ী হতে পেরে খুশিতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলাম। সত্যি সত্যি আমি আমার অনুভূতি জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমার বাংলা বলক প্ল্যাটফর্মে আমার এই প্রাপ্তি সারা জীবনের জন্য স্মৃতি হয়ে থাকবে।
সেদিনের সেই আবেগ আপ্লুত মুহূর্তে আমার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারিনি। আজকে আমি আমার লেখনীর মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সর্বপ্রথম@rme দাদাকে। সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কমিউনিটির সংশ্লিষ্ট সকলকে। আমার বাংলা ব্লগ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যে প্ল্যাটফর্ম সর্বদা সৃজনশীলতাকে মূল্যায়ন করে থাকে। নিরপেক্ষতা, জবাবদিহিতা, সুশৃংখলতা সহ সকল ব্লগারদের উপরে তুলে নেয়ায় যার একমাত্র উদ্দেশ্য।।
বন্ধুরা, এই ছিল আজকে আমার আবেগ আপ্লুত একটি মুহূর্ত নিয়ে কিছু কথা। আজকে এ পর্যন্তই, আবার কথা হবে আগামীকাল অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় শুভরাত্রি।
নাম | শ্রী ফণিভূষণ রায় অমিতাব। |
---|---|
User Id | @amitab |
Camera | Symphony Mobile phone. |
Mobile Phone Model | Z-35. |
My Address | Vendabari Prigonj Rangpur Bangladesh. |