।। চাঁদের রাতে নিম্নবিত্তের ঈদ বাজার।। 10% shy-fox & 5% abb-school beneficiary।।
২০ই বৈশাখ/১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
৩মে/২০২২ইং।
রোজঃ-মঙ্গলবার।
।।চাঁদের রাতে নিম্নবিত্তের ঈদ বাজার।।
নমস্কার বন্ধুরা,
আমি @amitab বাংলাদেশ থেকে "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার বাংলা ভাষাভাষী সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক। আশারাখি সকলেই ভাল আছেন। আমিও এক রকম আছি। অদ্য আমি আপনাদের সামনে "চাঁদের রাতে নিম্নিনবিত্তদের ঈদ বাজারের কিছু কথা" নিয়ে হাজির হয়েছি, আশা করি সকলের অন্তরে নাড়া দিবে।
।। নিম্নবিত্তদের ঈদ বাজার চিত্র-০১।।
photo Location আপনারা সকলেই জানেন আমি প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে অসুস্থ। গত দুই দিন হল আমার একটি ঔষধ ফুরিয়ে গেছে। আমার নিজ বাজার ভেন্ডাবাড়ীতে ঔষধটি না পেয়ে বিকেলে এক বন্ধুর মটর বাইকে চেপে নিয়ে গেলাম খালাশপীর বাজারে। আমার বাড়ি থেকে তা প্রায় ১০ কিলোমিটার দূর হবে। ঔষধটি নেওয়ার পর বাজারে লক্ষ্য করলাম সবাই প্রায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন বাজার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেছে। কথা হয় উপরের ছবিতে কালো জামা পরিহিত টুকুরিয়ার আবুল ভাইয়ের সঙ্গে। তিনি তাহার ছোট ছেলে রুবেলের জন্য ফুটপাতের দোকানে একটি জামা খুঁজছেন।
।। নিম্নবিত্তদের ঈদ বাজার চিত্র-০২।।
photo Location কথা হয় লাল কালো গেঞ্জি পরিহিত জাফর পাড়ার মশিউর ভাইয়ের সঙ্গে। সেও তাহার ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য নতুন জামা খুঁজছেন এই ফুটপাতের দোকানে। নিজের এবং স্ত্রীর জন্য এখন পর্যন্ত কিছু কেনা হয়নি।
।। নিম্নবিত্তদের ঈদ বাজার চিত্র-০৩।।
photo Location উপরের ছবিতে কয়েকজন নিম্নবিত্ত পরিবারের লোকজন কেউবা বয়লার মুরগি, কিউবা হাঁস কিনেছেন। এখন শুধু আদা রসুন পিয়াজ নিলেই হয়।
।। নিম্নবিত্তদের ঈদ বাজার চিত্র-০৪।।
photo Location উপরের ছবিতে কিছু নিম্নবিত্ত আগের মানুষের ঈদের টুপি সহ সুরমা আতর নিচে দেখা যাচ্ছে।
।। নিম্নবিত্তদের ঈদ বাজার চিত্র-০৫।।
photo Location উপরের দোকানটিতেও কিছু নিম্নআয়ের মানুষ কে চাঁদের রাতে ঈদের কিছু পোষাক নিচে দেখা যাচ্ছে। আমাদের গ্রাম্য ভাষায় ঈদের আগের দিনকেই ছাদের রাত বলা হয়।
।। নিম্নবিত্তদের ঈদ বাজার চিত্র-০৬।।
photo Location উপরের ছবিতে কাদিরাবাদ এর রফিক ভাইয়ের শুধু একটি লুঙ্গি নিলেই হয়ে যায়। কোন রকমে ঈদের সেমাই সহ অন্যান্য খরচ করে ফেলেছেন।
।। নিম্নবিত্তদের ঈদ বাজার চিত্র-০৭।।
photo Location উপরের দোকানটিতে কিছু নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের সুরমা আতর কিনতে দেখা যাচ্ছে। স্বল্প পরিসরে তাদেরও অন্যান্য খরচ হয়ে গেছে।
।। নিম্নবিত্তদের ঈদ বাজার চিত্র-০৮।।
photo Location উপরের ছবিতে সুজার কুটি গ্রামের দিনমজুর আলিম চাচা তার নাতিকে নিয়ে ঘুরছেন ফুটপাতের দোকানে। স্বল্পমূল্যে কিছু একটা কিনবেন বলে।
।। নিম্নবিত্তদের ঈদ বাজার চিত্র-০৯।।
photo Location উপরের ছবিতে ফুটপাতের একটি কসমেটিক এর দোকানে কিছু মহিলাকে মেহেদী সহ চুরি মালা ফিতা কিনতে দেখা যাচ্ছে।
।। নিম্নবিত্তদের ঈদ বাজার চিত্র-১০।।
photo Location উপরের ফুটপাতের শ্যামলের দোকানে দিনমজুর আলাউদ্দিন চাচাকে খোলা সেমাই চিনি কিনতে দেখা যাচ্ছে।
।। নিম্নবিত্তদের ঈদ বাজার চিত্র-১১।।
photo Location উপরের ছবিটিতে খালাশপীর বাজারের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত আয়ের অধিকাংশ মানুষদের ঈদবাজার করতে দেখা যাচ্ছে। যাহোক এসব দেখার পর বন্ধুর মোটর বাইকে চেপে আসার আগে কথা হয় কয়েকজন দোকানের সঙ্গে। তারা যা বললেন, তাতে আমি খুবই মর্মাহত। তারা বললেন-আজকে হচ্ছে চাঁদের রাত। অর্থাৎ গ্রাম্য ভাষায় ঈদের আগের দিন। যারা বিত্তশালী তারা এক সপ্তাহ থেকে ও আগে ঈদের মার্কেট শহরের মার্কেটগুলোতে করে ফেলেছেন। আজকে যারা মার্কেটে ঘোরাফেরা করছে তাদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত আইয়ের মানুষ। তবে আজকে আর কিছু না হোক, নতুন একটা অভিজ্ঞতা পেলাম, তা হল চাঁদের রাত। এটা আমার জানা ছিল না।
।। নিম্নবিত্তদের ঈদ বাজার চিত্র-১২।।
photo Location যাহোক সেরেে বাড়িতে ফিরছিলাম। কাদিরাবাদ বনবিট পার হওয়ার পর পথিমধ্যেদেখা হয়ে গেল বিধবা ভিখারিনী রাবেয়া বেগমের সঙ্গে। কিন্তু দেখা হওয়ার পরেই মনটা আরো বেশী খারাপ হয়ে গেল। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভিককে যাকাত সহ মাত্র ১৩৫ টাকা রোজগার করেছেন। তা দিয়েই শুধু সেমাই লাচ্চা ও পান সুপারি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। ঘরে নেই পোলাওয়ের চাল, খাবারের কোন মাংসের ব্যবস্থা। পরিবারের সদস্যদের কারো কোন জামা-কাপড় কিনতে পারেনি। যা হোক এই মুহূর্তে সাহায্য করার মত সামর্থ্য আমার নেই। বন্ধুর নিকট কিছু অর্থ ধার নিয়ে, তার হাতে গুঁজে দিয়ে সান্ত্বনার বাণী দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম। হায়রে ঈদ! সারা বাংলাদেশে এই রকম হাজারো রাবেয়ার অভুক্ত থেকেই কেটে যাবে ঈদ।।
বন্ধুরা এই ছিল আজকে আমার "নিম্নবিত্তদের ঈদ নিয়ে কিছু কথা। সকলে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, এই কামনা করে আজ সকলের জন্য রইল ঈদ মোবারক।।
নাম | শ্রী ফণিভূষণ রায় অমিতাব। |
---|---|
আইডি নাম | @amitab |
camera | Symphony Mobile phone. |
model | z-35 |
ঠিকানা | পীরগঞ্জ-রংপুর-বাংলাদেশ। |
এসব দেখলে মাঝে মাঝে ঈদের আনন্দ টা পানসে হয়ে যায়।কতজন কত নামই দামি কত কিছু কিনে,কেবল নিমনবিত্তরা তাদের ইচ্ছে গুলোকে পরেরবার পূরণ করবে বলে সান্তনা দেয়।😢
এ সমাজ পরিবর্তনের জন্য। সবাই একটু করে এগিয়ে আসলে। আজকে এসব দেখতে হতো না। কিন্তু আমাদের সাধ আছে সাধ্য নেই।
ভাইয়া প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করছি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে মধ্যবিত্তদের ঈদ উদযাপনের কেনাকাটার মুহূর্ত উপস্থাপন করেছেন। সেই সাথে আপনি এত সুন্দর ভাবে প্রতিটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। যখন আমি আপনার লেখাগুলো পড়ছিলাম তখন কেন জানি মনের মাঝে আলাদা রকম অনুভূতি তৈরি হয়েছিল। সবাই যে যার মত চেষ্টা করে এই দিনটি পালন করার জন্য। পরিবারের জন্য নতুন কিছু কেনার চেষ্টা করে সবাই। তার ছেলেমেয়েদের জন্য নতুন কাপড় কেনার চেষ্টা করে সবাই। সবকিছু মিলিয়ে সবাই চায় এই দিনটিকে ভালো ভাবে উদযাপন করার জন্য। অনেক সুন্দর ভাবে এই পোস্টটি সাজিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
নিম্নবিত্তদের দেঝলে আসলে খুবই কষ্ট লাগে। আসলে আমাদের সকলের উচিত তাদের কিছু কিছু ঈদ উপহার দেওয়া তাহলে তাদের অনেকের ইচ্চা পূরণ হবে। সবাই মিলে ভালো ভাবে ঈদ পালন করা সম্ভব হবে।
আমিও চাই এমন দৃশ্য সকলের মাঝে ফুটে উঠুক। যাদের অনেক টাকা পয়সার হয়েছে তারা মার্কেট করে বেড়ায় শপিংমলে টাকা উড়িয়ে বেড়ায়। কিন্তু ভুলে থাকে এমন হত দরিদ্র মানুষদের কথা। অনেকটা আবেগি মন চলে আসছে। যাইহোক, খুব ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর সচেতনমূলক পোস্ট দেখতে পেরে