।। সর্ষে বাটা টেংরামাছের ঝোল রেসিপি ।। 10% shy-fox & 5% abb-school beneficiary।।
১১/০৪/২০২২ইং।
।। সর্ষেবাটা টেংরামাছের ঝোল রেসিপি ।।
নমস্কার বন্ধুরা,
আমি @amitab আপনাদের নতুন বন্ধু বাংলাদেশ থেকে "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার বাংলা ভাষাভাষী সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশারাখি সকলেই ভাল আছেন। আমিও ঈশ্বর কৃপায় ভালো আছি। অদ্য আমি আপনাদের সামনে " সর্ষেবাটা টেংরা মাছের ঝোল রেসিপি " নিয়ে হাজির হয়েছি, আশা করি সকলের ভাল লাগবে।
উপকরন
| দেশি সর্ষে | ২০০গ্রাম। |
|---|---|
| টেংরা মাছ | ৩০০গ্রাম। |
| জিরা | ৩চামুচ |
| গুলমরিচ | ৭-৮টি। |
| পিঁয়াজ | মাঝারি ৩টি। |
| কাঁচা মরিচ | মাঝারি ১২-১৫টি। |
| লবন | পরিমান মত। |
| হলুদ | ২চামুচ। |
| সয়াবিন তৈল | আধাকাপ। |
ধাপঃ-০১
প্রথমে টেংরা মাছ গুলো ভালোভাবে কুটে পরিষ্কার করে একটি পাত্রে নিতে হবে। এরপর এতে ১ চা চামচ পরিমাণ লবণ এবং ১চা চামচ পরিমাণ হলুদ দিয়ে মেখে নিয়ে নিতে হবে। এরপর কমপক্ষে পাঁচ মিনিট রেখে দিতে হবে।
ধাপঃ-০২
কাঁচামরিচ গুলো ছিড়ে, পিয়াজ গুলো কুচি করে এবং জিরা ও সরিষা গুলো মিহি করে বেটে নিতে হবে।
ধাপঃ-০৩
এবারে মাছগুলো হালকা তেলে, হালকা তাপে আধা ভাজা করে নিতে হবে।
ধাপঃ-০৪
এবারে মাছগুলো আধা ভাজা হওয়ার পর একটি প্লেটে উঠিয়ে নিতে হবে।
ধাপঃ-০৫
এবারের দুই থেকে তিন চামচ তেল দিয়ে পিয়াজ কুচিগুলো এবং কাঁচামরিচ গুলো ভেজে নিতে হবে।
ধাপঃ-০৬
এরপর এতে ১চা চামচ পরিমাণ করে লবণ এবং হলুদ দিতে হবে।
ধাপঃ-০৭
এবারে এগুলো ব্রাউন কালার হতেই সরিষাবাটা গুলো দিতে হবে।
ধাপঃ-০৮
সরিষাবাটা গুলো দেয়ার পর দু একবার নেড়ে চেড়ে হাফ লিটার পরিমাণ জল দিতে হবে।
ধাপঃ-০৯
এবারের ৩-৪ মিনিট ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।
ধাপঃ-১০
এবারে আধা ভাজা টেংরা মাছ গুলো ঝুলে ছেড়ে দিতে হবে। এরপর ৩-৪ মিনিট চুলার আগুন দিয়ে ঝোল কষিয়ে নিলেই কাঙ্খিত রান্না হয়ে গেল।
ধাপঃ-১১
এবারে রান্না হওয়া তরকারি চুলা থেকে নামানোর ঠিক ১ মিনিট পূর্বে জিরাবাটা গুলো দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
ধাপঃ-১২
**এবারে পরিবেশনের জন্, একটি পরিবেশন পাত্রে মজাদার "সরষে বাটা টেংরা মাছের ঝোল" উঠিয়ে নিলাম।।
বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের রেসিপি, সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ এ পর্যন্তই শুভরাত্রি।।
| নাম | শ্রী ফণিভূষণ রায় অমিতাব। |
|---|---|
| user id | @amitab |
| camera | Symphony Mobile phone. |
| model | z-35 |
| ঠিকানা | পীরগঞ্জ-রংপুর-বাংলাদেশ। |
টেংরা মাছ আসলে অনেক বেশি মজার। আজকে আপনি সরিষা বাটা দিয়ে টেংরা মাছ রান্না করেছেন ভাই। আপনার রান্ন টা বেশ ভালো লেগেছে। আর এটা খেতেও খুবই মজার হবে সেটাও কিন্তু বোঝা যাচ্ছে ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুব সুন্দর করে সর্ষে বাটা টেংরামাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। খুব অসাধারণ হয়েছে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এত অসাধারন রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
গতকাল আমিও টেংরা মাছের একটি রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। তবে আমি করেছি আলু দিয়ে টেংরা মাছ ভুনা। সরষে বাটা দিয়ে টেংরা মাছ আমি আগে কখনো খাইনি। আপনার রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে খুবই সুস্বাদু, তাই আমিও এটি একদিন অবশ্যই বাসায় ট্রাই করে দেখব। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর রেসিপি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। এভাবে কখনো বাড়িতে রেসিপি প্রস্তুত করা হয়নি। বিশেষ করে টেংরা মাছ তো অনেক দিন খাওয়া হয়না।
সরষে বাটা দিয়ে ইলিশ মাছের রেসিপি খেয়েছি কিন্তু সরষে বাটা দিয়ে যে টেংরা মাছ রান্না করা যায় সেটা আগে জানা ছিল না। সরষে বাটার সাথে টেংরা মাছের রেসিপি সাথে আজকে প্রথম পরিচিত হলাম।
সর্ষে বাটা দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রেসিপি অনেক দিন হলো খাইনা।আসলে এটার স্বাদের তুলনা হইনা।আপনার রেসিপি দেখে লোভ লাগছে অনেক।খুব সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে টেংরা মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। সুন্দরভাবে রেসিপিটি তৈরি করার পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
সর্ষে বাটা টেংরামাছের ঝোল রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আমি কখনো সরিষা বাটা টেংরা মাছের রেসিপি তৈরি করিনি। তবে আপনার উপস্থাপন দেখে শিখতে পারলাম। পরবর্তীতে তৈরি করব শুভকামনা রইল।
আমার বাংলা ব্লগ মানেই ইউনিক কিছু। আমার বাংলা ব্লগে এসে আমি অনেক নতুন নতুন রেসিপি দেখেছি। এরমধ্যে আপনার আজকের সরষে ট্যাংরার রেসিপি টাও ছিল। রেসিপি টা ভালো তৈরি করেছন। বেশ লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
সরষে বাটা এবং টেংরা মাছের ঝোল রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার এই রেসিপি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর রেসিপি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।