।। মৃত্যুর কাছিকাছি পর্ব-০৩।। 10% shy-fox & 5% abb-school beneficiary।।
০৮ই জ্যৈষ্ঠ /১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
২১মে/২০২২ইং।
রোজঃ-শনিবার।
।। মৃত্যুর কাছাকাছি পর্ব-০২ এর পর।।
নমস্কার বন্ধুরা,
আমি @amitab বাংলাদেশ থেকে "আমার বাংলা ব্লগ " কমিউনিটির এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার বাংলা ভাষাভাষী সকল বন্ধুদের জানাই মধুমাসের উষ্ণ শুভেচ্ছা। আশারাখি সকলেই ভাল আছেন। আমিও ঈশ্বর কৃপায় মোটামুটি আছি। অদ্য আমি আপনাদের সামনে আমার জীবনের ঘটে যাওয়া মৃত্যুর কাছাকাছি পর্ব -০৩ নিয়ে হাজির হয়েছি। আশাকরি অনেকের জীবনে এটি কাজে আসবে।
ডায়াগনস্টিক সেন্টার চিত্র-০১
চেকআপ করার জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ব্লাড এবং ইউরিন দিচ্ছি।
শুরুতে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সকল বন্ধুদের উদ্দেশ্যে কিছু উপদেশ দিয়ে রাখছি। মানুষ মরণশীল, জন্মিলে মরিতে হবে, এটাই চির সত্য ও বাস্তব। কিন্তু এই মায়ার পৃথিবী ছেড়ে কেউই সহজে যেতে চায়না। এ পৃথিবীতে কেউ বেঁচে থাকে শতবর্ষ আয়ু নিয়ে, আবার কাউকে এই সুন্দর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হয় ৩০-৪০ বছরের মধ্যে। তবে দীর্ঘায়ু নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য চলার পথে মানুষের কিছু ভালো অভ্যাসই যথেষ্ট।
চিত্র-০২
ছেলেসহ অটো ভ্যানে চড়ে রংপুরে।
*এগুলো হচ্ছে-(০১) পারলে বাইরের খাবার একেবারে বর্জন করতে হবে। (০২) স্বাভাবিক খাবার নিয়মিত খাইতে হবে সঙ্গে শাকসবজি বেশি খেতে হবে। (০৩) নিয়মিত নিয়ন্ত্রিত ঘুম পারতে হবে। (৪) নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম হাটাহাটি করতে হবে। (০৫) একই ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠান বা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকা যাবেনা। (০৬) পারিবারিক, সাংসারিক, ও অর্থনৈতিক বিষয় খুব বেশি টেনশন করা যাবেনা। (০৭) অতিরিক্ত ধূমপান করা যাবে না ইত্যাদি।
চিত্র-০৩
রংপুর মেডিকেল মোড়ে ছেলেসহ ওভার ব্রিজের উপর একটি সেলফি।
*যাহোক এ বিষয়গুলো বলার পিছনে কারন একটি, তা হচ্ছে উপরে উল্লেখিত কারণের সবকটি আমার মাঝে বিদ্যমান ছিল। ফলে আমি আক্রান্ত হয়ে গেলাম উচ্চ রক্তচাপের একজন নিয়মিত রোগী। প্রায় এক যুগ হলো প্রতিনিয়তঃ আমাকে নিয়মিত উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ সেবন করে আসতে হয়। *আমি যেদিন ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ছিলাম, তোর আগের দুই দিন ঔষধ সেবন করি নি এবং আক্রান্তের পূর্বের রাত্রে সারারাত জেগে ছিলাম। ফলে নিজেই আক্রান্ত হয়ে গেলাম ব্রেন স্ট্রোকে। যাহোক এ কথাগুলো বলার কিছু নেই যথেষ্ট কারণ রয়েছে, আমার অনুরোধ, আমাদের "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির বন্ধুদের যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তারা অবশ্যই নিয়মিত পেশার চেকআপ করা সহ নিয়মিত ঔষধ সেবন করবেন। তা না হলে যেকোনো মুহূর্তেই আমার মতো ব্রেন স্ট্রোক করতে পারেন।
চিত্র-০৪
রংপুরে ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর ভিতরে আগত রোগীদের ভিড়।
*যাহোক গত দুদিন আগে প্রায় একমাস পর ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে রংপুরে উদ্দেশ্যে নিজেকে চেকআপ করার উদ্দেশ্যে ডাক্তারের কাছে যাওয়া। *কোথাও চলাচল করতে গেলেই কাউকে না কাউকে সঙ্গে নিতেই হবে এখনো একা একা চলাচল করতে পারিনা শরীর খুবই দুর্বল, পাশাপাশি মুখে সঠিক ভাবে কথা বলতে পারিনা, তাই ছেলেকে সঙ্গে নেওয়া। প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে অসংখ্য অসংগতি ও অনিয়ম। তবে আশা রয়েছে একটু সুস্থ হলেই এ বিষয়ে লেখার।
চিত্র-০৫
ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছেলে আমার রিপোর্টের অপেক্ষায় বসে।
যাহোক সকলেই দোয়া করবেন, ছেলেকে নিয়ে আমি রংপুরে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে, পুনরায় চেকআপ করে জানতে পারলাম আগের থেকে আরও একটু ইম্প্রুভ হয়েছে। এখন শুধু প্রবলেম আমার কথা বলাটা নিয়ে দোয়া করবেন যেন অতি তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারি। ঈশ্বরের নিকট কোটি কোটি প্রণাম যে, আমি এসটু করার সময় মাটিতে পড়ে যায় নি, ডাক্তার বার বার বলেছে মাটিতে পড়ে গেলে আমার মৃত্যু নির্ধারিত ছিল। সেজন্য ঈশ্বরকে বারবার কোটি প্রণাম জানাই।
চিত্র-০৬
ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সকাল ১০টি থেকে বিকেল ৩. ৩০ মিনিট পর্যন্ত ছেলেসহ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষায়।
*বর্তমানে আমার মোটরসাইকেল চালা নিষিদ্ধ। আর চালাতে পারি না, একদিন চেষ্টা করেছিলাম, দেখি পারি কিনা তো সত্যি সত্যি আগের মতো আর ব্যালেন্স করতে পারিনা। কোথাও গেলেই কাউকে না কাউকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হয়। যা হোক আপাতত ভালো আছি বেঁচে আছি এটি আমার জন্য অনেক পাওয়া।
চিত্র-০৭
ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীর অভিভাবকদের রিপোর্ট নিয়ে ছোটাছুটি।
বন্ধুরা, মৃত্যুর কাছাকাছি-০৩ পর্বে আপনাদের সামনে হাজির হওয়া শুধু আমার একটু ভালো থাকার কথা জানান দেয়া ও আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুদের উচ্চ রক্তচাপ থেকে সাবধানতা অবলম্বন করে চলাফেরা করার কথা বলার জন্য সামনে এসেছিলাম। সকলে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করবেন। পরিশেষে সকলের দীর্ঘ আয়ু অসুস্থ জীবন কামনা করে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মত বিদায়।
নাম | শ্রী ফণিভূষণ রায় অমিতাব। |
---|---|
User Id | @amitab |
Camera | Symphony Mobile phone. |
Mobile Phone Model | Z-35. |
Photo Location | Rangpur. |
My Address | Vendabari Prigonj Rangpur Bangladesh. |