বাণী অর্চনা ২০২৩
হ্যালো নমস্কার সবাইকে,
আমার বাংলা ব্লগ এর সকল সদস্যদের জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি ঈশ্বরের কৃপায়।
সবাইকে সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা। ছোটবেলা অনেক ধুমধাম করে সরস্বতী পূজা করতাম। আমরা যারা হিন্দু ধর্মালম্বী আছি তাদের কাছে সরস্বতী হলো বিদ্যার দেবী। যে কারণে ছাত্র জীবনে প্রতিবছর অনেক ধুমধাম আয়োজন করে সরস্বতী পূজা উদযাপন করতাম আমরা। সরস্বতী পূজাকে ঘিরে কত আয়োজন চলতো কেউ যেতাম কলা গাছ আনতে কেউ যেতাম ডেকোরেশনের কাপড় আনতে আবার কেউ বা কাঠের গুড়া (তুশ) নিয়ে এসে তাতে কালার করে মন্ডপের সামনে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করতাম। পূজার দিন সকালে অঞ্জলি দেয়ার ধুম পড়ে যেত। বিশেষ করে আগ্রহে থাকতাম কখন অঞ্জলি শেষ হবে অঞ্জলি শেষ হলে আমরা বোড়ই খেতে পারব। 😁 ছাত্র জীবনে সরস্বতী পূজা এভাবেই ধুমধাম করে উদযাপন করছি।
আজ আমি সরস্বতী পূজা ২০২৩ এ ঘুরতে যাওয়ার গল্প শেয়ার করবো।
https://w3w.co/skippers.such.cautious
আগে থেকে প্ল্যান ছিল সরস্বতী পূজায় ঘুরতে যাবো ঢাকা ইউনিভার্সিটির জগন্নাথ হলে। জগন্নাথ হলে অনেক সুন্দর সরস্বতী পূজা হয় আমি অনেকবার গিয়েছি কিন্তু প্রিয়াকে নিয়ে কখনো যাওয়া হয়নি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দুজনেই যে যার মত অফিসে চলে যাই। অফিস থাকার কারণে দুজনের কেউই সকালে অঞ্জলি দিতে পারেনি। দিনের মধ্যে কয়েকবার প্রিয়া ফোন দিয়ে বলছে আজ সরস্বতী পূজা কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাবা না। প্রতিউত্তরে আমি কিছুই বলিনি কারণ আমি আগে থেকেই প্ল্যান করেছি যে সরস্বতী পূজায় প্রিয়াকে নিয়ে এবার জগন্নাথ হলে পূজা দেখতে যাবো। ও বারবার আমাকে জিজ্ঞেস করার পরও আমি কিছু বলছি না চুপ করে আছি। প্রতিদিন অফিস শেষে প্রিয়া বাসার নিচে আমার জন্য অপেক্ষা করে কিন্তু আজ তার বিপরীত হলো, আমার জন্য অপেক্ষা না করে সে বাসায় উঠে গেল। তোমাকে ফোন দিয়ে বলল আমি বাসায় চলে গেলাম। আমি নিজে নিজেই হাসছিলাম যে বউটা আমার রাগ করে উঠে গেছে।
বাসার নিচে এসে ফোন দিলাম প্রিয়া বাসার কোন বাজার লাগবে কিনা? উত্তর সে বলল আমি জানিনা। 😁।
কিছুক্ষণ পরেই আমি সবজি কিনে বাসায় উঠলাম। বাসায় উঠে দেখি মন খারাপ করেছেন রান্না করছে। বাজারগুলো হাতে দিয়ে বললাম সবজি রান্না করো আমার ক্ষুধা লাগছে। এগুলো বলার পর তার মুখের দিকে তাকাতে পারছিলাম না মন এতটাই খারাপ করে ছিল যে মনে হচ্ছে এখন কেঁদে দিবে।
কিছুক্ষণ পর বললাম যে প্রিয়া তাড়াতাড়ি করো রেডি হও, আমরা বাহিরে যাবো। উত্তরে বলল কোথাও যাবো না আমার শরীর ভালো না জ্বর জ্বর লাগছে। আসলে তো জ্বর জ্বর না মন খারাপ করে বলছে যাবে না। আমি বললাম যে লাল জামাটা পড়ে নাও। পরে বউটা আমার উঠে রেডি হয়েছে। আমিও রেডি হয়ে নিলাম। রাত সাড়ে দশটায় দুজনে বের হলাম। একটা সিএনজি নিয়ে মিরপুর ১২ থেকে চলে গেলাম ঢাকা ইউনিভার্সিটির জগন্নাথ হলে। সে তো পুরাই অবাক আমাকে কোথায় নিয়ে আসছো। আমি হেসে বললাম তোমার যেখানে আসার অনেক শখ ছিল।
জগন্নাথ হলের ভিতরে ঢুকতেই সে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল পুকুরের ঠিক মাঝখানের সরস্বতী প্রতিমার দিকে। এত সুন্দর লাগছে যে বলে বোঝাতে পারবো না।
https://w3w.co/skippers.such.cautious
এরপর জগন্নাথ হলের স্থায়ী মন্দিরের প্রতিমা দর্শন শেষে আমরা মাঠে প্রবেশ করতেই প্রিয়া জোরে করে চিৎকার দিয়ে বলল ওয়াও এতো সুন্দর। আমি কখনো ভাবতেও পারিনি এত সুন্দর পূজা হয় এখানে।
https://w3w.co/hello.plums.committed
এরপর ক্রমান্বয়ে আমরা সকল মন্ডপ দর্শন করি। প্রত্যেকটা প্রত্যেকটার থেকে আলাদা, প্রত্যেকটাই এতটা সুন্দর যা বলে বঝানো যাবে না। এত সুন্দর কারুকাজ, আমরা শুধু তাকিয়েই দেখছিলাম।
জগন্নাথ হল মাঠের পূজা মন্ডপের ছবি কিছু ফটো শেয়ার করলাম।
https://w3w.co/hello.plums.committed
প্রত্যেকটা মণ্ডপের সামনে গেলাম এবং সরস্বতী প্রতিমার দর্শন করলাম। অনেক ভালো লাগছিল। মাঠের চারপাশ ঘিড়ে পূজা মন্ডপ আর মাঝখানে চলছে ডি,জে। গানগুলো শুনে নাচতে ইচ্ছে করছিলো। তাই দুজনে একটু নেচে নিলাম 😊।
https://w3w.co/hello.plums.committed
নাচানাচির পর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রেস্ট নিলাম। তারপর দুজনে মিলে ভেলপুরি খেলাম। ভেলপুরি খেয়ে আমরা আবার সেই পুকুরের দিকে এগিয়ে গেলাম। সেখানে একটা দোকান দেখে দাঁড়িয়ে পড়লাম। দুইটা একতারা, একটা চাবির রিং এবং প্রিয়ার জন্য একটা ফিঙ্গার রিং কিনলাম। কেনাকাটা শেষ করে আমরা জগন্নাথ হলের ক্যান্টিনের পাশ দিয়ে ঘুরে মেইন গেটে চলে আসলাম। তারপর জগন্নাথ হল থেকে বেরিয়ে সি এন জি এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সিএনজি আসার পর ওখান থেকে রওনা হয়ে আমরা বাড়িতে পৌছালাম তখন রাত আনুমানিক ২টা বাজে।
ঘুরে আমাদের অনেক ভালো লেগেছে বিশেষ করে প্রিয়া পুরোটাই সারপ্রাইজড। অনেক খুশি ছিলো সে।
আজ এই পর্যন্তই থাক সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
বিষয় | বাণী অর্চনা ২০২৩ । |
---|---|
ফটো ক্রেডিট | @amitroy |
ডিভাইস | রেডমি নোট ৮প্রো |
লোকেশন | জগন্নাথ হল, ঢাকা ইউনিভার্সিটি |
ভাই আপনি এক টানা 11 দিন থেকে কোনো পোস্ট করছেন না। এভাবে চলতে থাকলে আপনি কিন্তু ইন্যাক্টিভ লিস্টে চলে যাবেন। আশা করছি আপনি দ্রুত এক্টিভ হবেন।
Ji vaiya post korbo...