সোশ্যাল মিডিয়াতে যে কাজটি করা যাবে না
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। বর্তমানে সবাই আমরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এত অবাধে ব্যবহার করি যে কোনটা করা উচিত কোনটা করা উচিত না সেটা হয়তো আমরা জানিনা। সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন কিছু ব্যাপার আছে যেগুলো করা একদমই ঠিক নয়। যা আমাদের ব্যক্তিত্বকে নষ্ট করে দিতে পারে। আজকে আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে যে কাজটি করা যাবেনা সেটি নিয়ে কথা বলবো।
সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা আমাদের জীবনের অনেক কষ্টের বা ইমোশনাল ব্যাপার গুলো শেয়ার করে থাকি। হয়তো আমরা আমাদের ইমোশন গুলো শেয়ার করার মাধ্যমে নিজেকে একটু হালকা ফিল হয়। কিন্তু এই ব্যাপারটির মাধ্যমে নিজেকে ছোট করা হয় সেটা আমরা হয়তো নিজেরাও জানি না। সোশ্যাল মিডিয়া কখনোই ইমোশন শেয়ার করা জায়গা নয়।
সোশ্যাল মিডিয়াতে একেক জন একেক রকম মানুষ আমাদের ফ্রেন্ডলিস্টে থাকে। আপনি হয়তো একটা ব্যাপার বুঝাতে চেয়েছেন কিন্তু তারা হয়তো অন্যভাবে বুঝবে যার ফলে আপনার ব্যক্তিত্ব নিয়ে অনেক সময় প্রশ্ন তুলবে। আপনি যে ইমোশনাল ব্যাপারটা তুলে ধরেছেন হয়তো সেটা কিছুক্ষণ পরেই কেটে যাবে কিন্তু তাদের মনে এটা থেকে যাবে যে আপনি হয়তো এখনো আপনার জীবনে এই ব্যাপারটি সাফার করছেন।
তাই সোশ্যাল মিডিয়াতে কখনোই নিজের দুঃখ কষ্ট শেয়ার করবেন না। নিজের কোন সমস্যা হলে সেটা অবশ্যই আপনার প্রিয় মানুষদের সাথে শেয়ার করুন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে এই সকল ইমোশনাল ব্যাপার গুলো শেয়ার করে নিজেকে মানুষের কাছে ছোট করবেন না। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু কিছু মানুষ প্রতিনিয়ত নিজের সব অভিজ্ঞতাই শেয়ার করে তবে আমার মনে হয় তিক্ত অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার না করাই ভালো কারণ সেগুলো থেকে আপনার পার্সোনালিটি নিচে নেমে যায়।
সোশ্যাল মিডিয়াতে যারা নিজেদের ইমোশন শেয়ার করে, আমি মনে করি তারা এক ধরনের বোকা। নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলো সবসময় নিজের ভিতরই রাখা উচিত। এই ব্যাপারগুলো লোকের সাথে শেয়ার করলে সেটা খুব বেশি একটা ভালো কোন ব্যাপার হয় না। তাছাড়া আমাদের আশেপাশের আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধুবান্ধব যারা ফেসবুকে থাকে তারা সবাই এগুলো ভালো চোখে দেখেনা। আসলে এই ইমোশন ব্যাপারটা হয়তো কিছু সময় পর ঠিক হয়ে যায় আমাদের মন থেকে, এটা সত্যি। তবে যারা ফেসবুকে এই ব্যাপার গুলো দেখে তাদের মনে থেকে যায় বহুকাল।