খেলাধুলা করলে শারীরিক এবং মানসিক সুস্থ থাকা যায়
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। যুবকদের জন্য খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। খেলাধুলা করার মাধ্যমে একটি যুবসমাজ অনেক ধরনের খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে। পাশাপাশি শারীরিক মানসিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। যে যুবক খেলাধুলায় নিজেকে ব্যস্ত রাখে তাহলে তার বাজে কোন নেশা থাকলেও সেটি কেটে যাবে। আর যারা খেলাধুলা থেকে দূরে থাকে তাদের মধ্যে নানান ধরনের খারাপ অভ্যাস তৈরি হয় যেগুলো তার মানসিক এবং শারীরিক অনেক ক্ষতি করে। আজকে আমি আপনাদের সাথে খেলাধুলা করার গুরুত্ব শেয়ার করব।
যে যুবকরা খেলাধুলায় নিজেকে ব্যস্ত রাখে তারা কোন ধরনের নেশা এবং আজেবাজে কাজে নিজেকে বিরত রাখতে পারবে । কারণ কোন যুবক যখন ব্যস্ততা থেকে নিজেকে দূরে রাখবে তখনই তার মধ্যে নানান ধরনের কু পরাঞ্জনা তার মধ্যে আসবে এবং সে খারাপ কাজে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
রে যুবকরা খেলাধুলায় নিজেকে ব্যস্ত রাখে তারা মোবাইল এডিকশন থেকে দূরে থাকতে পারে। মোবাইল এডিকশন একটি খুবই মারাত্মক এবং বর্তমানে ভয়াবহ একটি এডিকশন পরিণত হয়েছে যুবকদের মাঝে। তারা যখন কোন কাজে ব্যস্ত থাকে তখন তাদের মোবাইল এডিকশন কেটে যায়। মোবাইল এডিকসন কাটানোর একটিমাত্র উপায় হচ্ছে নিজেকে ব্যস্ত রাখা সেটি খেলাধুলার মাধ্যমে নিজেকে ব্যস্ত রাখা যায়।
যে যুবকরা খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকে তারা মাদকের নেশায় আক্রান্ত হয় না। একটি যুবক তখনই মাদকের নেশায় আক্রান্ত হয় যখন সে কোন খারাপ সঙ্গের সাথে মিশে এবং নিজেকে ব্যস্ততা থেকে দূরে রাখে। খেলাধুলার মাধ্যমে একটি যুবক খুবই ব্যস্ত থাকে কারণ তার যখন অবসর সময় আসে সে খারাপ কাজে লিপ্ত না হয়ে খেলায় মনোযোগী হয়। যার কারণে সে কোন মাদকের নেশায় আক্রান্ত হয় না। খেলার মাধ্যমে একটি যুবসমাজকে আপনি মাদক থেকে দূরে রাখতে পারবেন।
যে যুবকরা খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকে তারা শারীরিকভাবে অনেক স্ট্রং থাকে। শারীরিকভাবে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই খেলাধুলার বিকল্প নেই। যখন আপনি অবসর থাকবেন সে সময়টি যদি আপনি খেলাধুলায় নিজেতে থাকেন তাহলে সব সময় আপনার শারীরিক অনেক সুস্থতা ফিল করবেন যা আপনি অযথা মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে সেটি হবে না। তাই সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম।
বর্তমানে একটি ব্যাপার অবশ্যই না বললেই নয় সেটি হল খেলাধুলার তেমন কোনো জায়গা নেই। যার কারণে যুবকরা খেলাধুলা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হচ্ছে। অনেক যুবকদের খেলার প্রতি আগ্রহ থাকার পরেও জায়গার অভাবে খেলতে পারছে না। কিন্তু যুবকদের ভালো রাখতে হলে এবং নেশা থেকে দূরে রাখতে হলে অবশ্যই খেলাধুলার জায়গা করে দিতে হবে। সবাই ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ
জি ভাই একদম ঠিক বলেছেন। আসলেই খেলাধুলা করলে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায়।তবে কি আর করার বর্তমানে ইয়াং জেনারেশন দেখা যাচ্ছে মোবাইলের পিছনে পড়ে আছে। তাদের যত খেলাধুলা বলেন সবই তো মোবাইলের মধ্যেই। এতে করে ফোন রেডিয়েশন এর শিকার হচ্ছে তারা। আবার শারীরিক বিকাশ ঘটছে না ফলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর একটা বিষয় হল এখন বর্তমানে খেলাধুলার জন্য মাঠের কমতি রয়েছে। একটা সময় অনেক বড় বড় মাঠ থাকতো। এখন দালানকোঠা উঠে সেই মাঠগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে অনেকেই খেলায় অনিহাপ্রকাশ করছে। আর সবাই দাবিত হচ্ছে মোবাইলের দিকে।ধন্যবাদ দারুন একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য।
একদমই ঠিক বলেছেন , যে ছেলেরা নিজেকে খেলা ধুলায় ব্যস্ত রাখে তারা মানসিক ভাবে অনেক স্ট্রং থাকে এবং মাদক থেকে তারা দূরে থাকে ৷ শীরিক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য খেলাধুলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ৷ যাই হোক , আপনি দারুন কিছু কথা শেয়ার করেছেন ৷ আপনার লেখা পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
খুব সুন্দর টপিক নিয়ে আজকের পোস্ট টি করেছেন আপনি।সত্যি খেলা ধুললার সাথে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বিদ্যমান।খেলা ধুলায় ব্যাস্ত থাকলে মাদক, ফোনে আসক্তি খারাপ চিন্তা ভাবনা এগুলো কাছে আসবে না।ঠিক বলেছেন খেলা ধুলা করার মতো মাঠ কিংবা পরিবেশ নেই বর্তমানে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।