উইন্ডো শপিং

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সবাই অনেক ভালো আছেন। গত শুক্রবার আমার খালাতো বোনের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এই বিয়েকে ঘিরে কোন ধরনের কোন আপডেট আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি ভেবেছিলাম ঢাকায় এসে পরবর্তীতে আমি সেই বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

নীলফামারীতে গিয়ে সর্বপ্রথম বন্ধু-বান্ধবের সাথে একটু আড্ডা দিয়েছিলাম এরপরেই বিভিন্ন ধরনের শপিং হয়েছে করা হয়েছিল। যদিও বিয়ের সব শপিং আগে থেকেই করা হয়েছিল তারপরও আমার নিজের জন্য কিছু শপিং বাকি ছিল কারণ নীলফামারীতে যে পরিমাণে ঠান্ডা পড়েছে সেই পরিমাণ ঠান্ডা সহ্য করার মত কোন কাপড় আমি নিয়ে যাইনি। অনেকদিন পর পরিবারের মানুষজন সব একত্রিত হয়েছে এবং সবার সাথে কিছু সময় কাটানোতে পেরেছি বলে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আসলে সেই ২০১৮ সালেই আমার আরও একটি খালাতো বোনের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং সেই সময়েও সমস্ত পরিবারের সমস্ত মানুষ একত্রিত হয়েছিলাম, এবারও ঠিক একই রকম হয়েছিলো।

তবে আমাদের পরিবারের মানুষজন যতই দূরে থাকি না কেন আমাদের একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ আছে এবং সেখানেই সবার সাথে কুশল বিনিময় এবং তাদের সাথে খোঁজখবর রাখা হয়। যাইহোক আমি যেদিন প্রথম নীলফামারীতে গিয়েছিলাম সেদিন আর কোথাও বের হওয়া হয়নি পরবর্তী দিনে দুলাভাই ফোন করে বলল তিনি নাকি কিছু শপিং করবে এবং আমারও কিছু কেনাকাটা বাকি ছিল তাই আমিও সেই দুলাভাইয়ের সাথে নীলফামারির কিছু শোরুমে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমি সাধারণত কাপড় অনেক কম কিনি, মানে যতটুক প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই কিনি এবং ততটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখি। কারণ এই বিষয়েও অনেক ধরনের নীতি রয়েছে আমাদের ধর্মে সে বিষয়ে যাচ্ছি না, তো আমার একটি জ্যাকেট খুব দরকার ছিল।

প্রথমে একটি দোকানে ঢুকে আমার দুলাভাইয়ের বেশ কিছু জামা কাপড় পছন্দ হয়েছিল। ওই সাধারণত তিনি নিজের জন্যই পোশাক কিনতে এসেছিল এবং তার ওয়াইফ বা আমার বোনের জন্য কাপড় আগে থেকেই তিনি ঢাকা থেকে শপিং করে এনেছিল। একটা কথা কি জানেন, আসলে মেয়েরা কাপড় বা এই গহনা-গাটির বিষয়ে একটু বেশি সেনসিটিভ। তাদের সবকিছু ম্যাচিং লাগবে এবং সবকিছু আগে থেকে রেডি করতে হয় কিন্তু আসলে ছেলে মানুষের কোন একটা হলেই হল। ঠিক তেমনি আমাদের ছেলেদের তেমন কোন কেনাকাটা হয়নি কিন্তু বাসার যত মেয়ে রয়েছে বা ছোট বোন বা তাই বলেন না কেন সবারই কিন্তু কেনাকাটা আগে থেকেই হয়েছিল।

বেশ কিছু দোকানে ঘুরাঘুরি করা হয়েছিল। এছাড়াও আমার দুলাভাই শার্ট, প্যান্ট এবং একটি জুতা নিয়েছিল। সাধারণত বাটা থেকেই জুতা নিয়েছিল। দুলাভাইয়ের শপিং শেষ হইলে আমি যখন আমার শপিং করতে যাব তখন এক একটা জ্যাকেটের দাম শুনেই মাথায় রাগ উঠে যাচ্ছিল। সাধারণ একটা জ্যাকেটের দাম তিন থেকে চার হাজার টাকা কিভাবে হতে পারে। অনেক আর রাগ হয়েছিল পরবর্তীতে রাগ করেই জ্যাকেটটা না কিনে বাসায় ফিরে আসি। বাসায় এসে আম্মুকে বিষয়গুলো জানালাম পরে আম্মু একটি জ্যাকেট আলমারি থেকে বের করে দিল। পরে বলল এই জ্যাকেটটা চীন থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল।

যাইহোক রাগের মাথায় যেই কাজটি করেছি সেটা ভালোই করেছি এবং কিছু টাকা ও বেঁচে গেছে। যাই হোক এই ছিল আমার উইন্ডো শপিং এর গল্প। আসলে windowshoping এর নাম কেন দিয়েছে জানেন! আমি যতদূর পর্যন্ত জানি উইন্ডো শপিং অর্থ শুধুমাত্র ঘোরাঘুরি করা সবকিছু দেখা কিন্তু কোন কিছু কেনাকাটা না করা।হাহাহাহাহা। জানিনা আমার এই ধারণাটা কতটুকু সঠিক কিংবা ভুল! আপনারাও যদি জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই বিষয়টি মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না। আজকের মত এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: উইন্ডো শপিং

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......