সময় এবং মাধ্যাকর্ষণ || ১ম পর্ব
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সবাই অনেক ভালো আছেন। আজ অনেকদিন পর একটি বিজ্ঞানভিত্তিক সিরিজ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। এই সিরিজে আমরা সময় এবং গ্রাভিটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করব। মডার্ন সাইন্স এই সময় এবং গ্রাভিটি কে কিভাবে দেখে, সেই বিষয়ে আমরা আলোচনা করব। তবে চলুন শুরু করা যাক।
আপনারা অনেকেই জেনে থাকবেন, মহাবিশ্বকে স্পেস ফেব্রিক আমরা বলে থাকি এবং এই সম্পূর্ণ মহাবিশ্বকে আমরা একটি কাপড়ের সাথেই তুলনা করি এবং এই মহাবিশ্বের যেখানে যেখানে কোন ভর বিশিষ্ট বস্তু থাকে তখন সেই জায়গাটি অনেকটা কার্ভ হয়ে যায় অর্থাৎ নিচের দিকে আকর্ষণ করে।
এই বিষয় নিয়ে অনেক আগে থেকেই গবেষণা চলছে এবং আমি মনে করি যারা বিজ্ঞান লাভার রয়েছেন তারা এই বিষয়টি অনেক ভালোভাবেই বোঝেন। মনে করেন আপনি একটি কাপড়ের তৈরি একটি গোলক নিলেন এবং সেখানে একটি ভারী বস্তুর রেখে দিলেন তাহলে ফলশ্রুতি কি আসবে? যেখানে ভারি বস্তু রয়েছে সেই দিক দিয়ে নিচের দিকে নেমে আসবে, এটাই মূলত গ্রাভিটি। পৃথিবীর যেমন সমস্ত বস্তুকে তার কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করছে কিংবা মহাবিশ্বের যে কোন বস্তু অন্য একটি বস্তুকে আকর্ষণ করছে, এটাই মূলত গ্রাভিটি। এতদিন পর্যন্ত আমরা সেটাই জেনে আসছি, তবে বিশ্বাস করুন এই বিষয়টি তে ও ভুল রয়েছে, সে বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে জানব।
যারা বিজ্ঞান নিয়ে ইন্টারেস্ট রাখেন তারা সবাই জেনে থাকবেন, যেখানে গ্রাভিটি রয়েছে সেখানে অবশ্যই সময়ের কথা আলোচনা করা হয়। কিন্তু এই বিষয়টি কেন? আমরা অনেকেই জানি বা বিভিন্ন সাইন্স ফিকশন মুভিতে দেখেছি যেখানে গ্রাভিটি অনেক বেশি সেখানে সময় অনেক স্লো কাজ করে, তাহলে সময় ও কি কার্ভ হয়ে যায় গ্রাভিটির মতো? প্রশ্নটা আসতে পারে না!!
স্পেস ফেব্রিক শুনতে অনেকটা স্বাভাবিক মনে হলেও টাইম স্পেস ফেব্রিক শুনতে অনেকটাই জটিলতর হতে পারে। আমরা সবাই ব্ল্যাকলের কথা একটু চিন্তা করি। ব্ল্যাক হোল তার আশেপাশের সমস্ত বস্তুকে নিজের দিকে টেনে নেয় এবং স্পেসে অনেক বড় একটি কার্ভ তৈরি করে যার গ্রাভিটি থেকে বেঁচে বেরোনো প্রায় অসম্ভব। এত কিছুর মাঝে যদি সময় যুক্ত হয় এবং সময় কার্ভ হয়ে যায় তাহলে সেটা কেমন হবে। যদি গ্রাভিটি সময়ের উপর নির্ভরশীল এবং সময় গ্রাভিটির উপর নির্ভরশীল তাহলে কি বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে জানেন? আর যদি জেনেই থাকেন তাহলে বিজ্ঞানীরা এই অদ্ভুত একটি বিষয়কে কিভাবে তারা এক্সপ্লেন করছেন? সেটাই হচ্ছে মুখ্য বিষয়।
আমরা মোটামুটি সকলেই জানি, গ্রাভিটি এমন একটি অদৃশ্য শক্তি যা নিজের বস্তুর কেন্দ্রের দিকে সবসময় অন্য বস্তুকে আকর্ষণ করে। মহাবিশ্বের কোন বস্তুর অন্য একটি বস্তুকে আকর্ষণ করে কিন্তু মজার বিষয় হলো বিজ্ঞানীরা এই মডেলকে নাখোজ করে দিয়েছে। অর্থাৎ এই মডেল রিজেক্ট হয়ে গিয়েছে। তাহলে অনেকের মতেই প্রশ্ন জাগতে পারে, এটা আবার কবে হল! আমরা এখনো কিন্তু বইয়ে এই এক্সপ্লানেশন গুলোই পড়ে আসছি এবং গ্রাভিটি এভাবেই কাজ করে এটা আমরা এখনো পড়ে আসছি। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে কেন আমরা ভুল বিষয়গুলো পড়ছি বা বিজ্ঞানীরা কেন বারবার এই বিষয়গুলোকে চেঞ্জ করছেন? তারা কি নিজেই এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে বুঝতে পারছেন না!
বিজ্ঞানীরা অবশ্যই এই বিষয়টি জানেন কিন্তু এই বিষয়ে তারা কি বলছেন? একটি বিষয় দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞানীরা একই সময় সব কিছু জানতে পারেন নি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের মতবাদ এসেছে। তখন সেই মতামত অনুযায়ী বিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিভিন্ন ধরনের সূত্র আবিষ্কার করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে যখন অন্য একটি বিষয়ে এসেছে তখন সেই বিষয়টি বাঁচানোর জন্য আবার নতুন একটি বিষয় তারা আবিষ্কার করে ফেলেছেন। এভাবে করেই বিজ্ঞানের প্রত্যেকটা সেক্টরে এতটাই জটিলতম অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যার কারনে সাধারণ মানুষের বুঝতে পারাটাই অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আচ্ছা এতোক্ষন পরেও যারা আমার এই পোষ্টের মূল উদ্দেশ্যটা কি বুঝতে পারেননি, তাদের জন্য একটু সহজ করে দিচ্ছি। আসলে স্পেস টাইম ফেব্রিক কিভাবে কাজ করে? কিংবা এই গ্রাভিটির পিছনে কে মূলত দায়ী! এছাড়াও টাইম ডাইলেশন নিয়েও কথা বলব। এই বিষয়গুলোই এই পোস্টে আলোচনা করা হবে।
এই পোস্টটি এখনই শেষ করব কিন্তু শেষ করার আগে সবার উদ্দেশ্যে একটি প্রশ্ন করে যেতে চাই। মনে করুন আমাদের এই পৃথিবীতে গ্রাভিটি নেই! মনে করতে তো কোন সমস্যা নেই, সেই ছোটবেলা থেকেই কত কিছু ধরে ধরে ম্যাথ করেছি, এছাড়া বিজ্ঞানের অনেক কিছু টিকিয়ে আছে এই মনে করার উদ্দেশ্যেই। তাই মনে করুন পৃথিবীতে গ্রাভিটি নেই। তাহলে আমাদের অবস্থা কি হবে? যদি আপনাদের ইমাজিনেশন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে সেগুলো লিখতে পারেন। পরবর্তী পর্বে খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশিত হবে ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: সময় এবং মাধ্যাকর্ষণ || ১ম পর্ব
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
ভাইয়া খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে ভাইয়া বিজ্ঞান সম্পর্কে তেমন একটা বিস্তৃত ধারণা আমার নেই। তবে এ ধরনের বিজ্ঞানসম্মত লেখাগুলো পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে। যাহোক ভাইয়া, আপনার পোস্টের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, আমি খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসার চেষ্টা করব।