নীলফামারীতে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন || [10% ʙᴇɴᴇғɪᴄɪᴀʀɪᴇs ғᴏʀ @sʜʏ-ғᴏx🦊]
২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস হিসেবে সম্পূর্ণ বাংলাদেশের এই দিনটি উদযাপিত হয়। ভাষাশহীদদের স্মরণে দিবসটিও পালন করা হয়। এই দিনটির কথা কোন বাঙালি কখনোই ভুলতে পারবো না। ২৫ শে মার্চ কালো রাতে নির্বিশেষে সবার উপর অত্যাচার চালানো হয়। অপারেশন সার্চলাইট নামের সেই বিষয়টি মানে নি কোন বাধা, যাকে পেয়েছ তাকে মেরেছে। সেখানে কোনো শিশু কোন মহিলা রেহাই পায়নি তাদের নির্যাতন থেকে। এই দিবসটি আমরা এভাবেই স্মরণ করি। এই দেশের ইতিহাস রয়েছে, নিজের মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। এরকম ইতিহাস পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। এজন্য আমি নিজেকে বাঙালি বলতে সত্যিই অনেক গর্ববোধ করি এবং আমি সবসময় নিজের মাতৃভাষা কে শ্রদ্ধা করি।
আজ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নীলফামারীতে বেশকিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সেগুলোই আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
এই দিনে সম্পন্ন বাংলাদেশ ছুটি থাকে তাই নীলফামারীর সব সরকারি-বেসরকারি অফিস গুলো আজ বন্ধ রয়েছে। রাত বারোটার দিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয় আমাদের চৌরঙ্গী চত্তর স্মৃতিসৌধে। শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন সংগঠন রাতের বেলায় সেখানে ফুল দিয়ে তাদের স্মরণ করে এবং শহীদ মিনারে মোমবাতি দিয়ে তাদের জন্য প্রার্থনা করেন যদিও রাতের ছবিগুলো আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারিনি। এরপর শুরু হয় মূলত সকাল বেলার কার্যক্রম।
সকাল সাড়ে ৭ ঘটিকার নীলফামারীতে কুচকাওয়াজ শুরু হয় যাকে আমরা আঞ্চলিক ভাষায় পিটি প্যারেড বলি। আমিও ছোট বেলায় স্কাউটে ছিলাম এবং যখন কলেজে পড়ি তখন রোভার মেট এ ছিলাম। দীর্ঘদিন যাবত এই সংগঠনগুলোর সাথে আমি ছিলাম। এখনো এই সংগঠনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা কাজ করে। ছোটবেলায় যখন এই সংগঠনের সাথে কাজ করতাম সত্যি নিজেকে অনেক ধন্য মনে হত এই সংগঠনগুলো মানুষের স্বার্থে কাজ করতো এবং সম্পূর্ণ বিনা পয়সায়।
যাইহোক কুচকাওয়াজে অনেক ধরনের স্কুল-কলেজ সেখানে অংশগ্রহণ করে। আমি অনেকগুলো ছবি তোলার চেষ্টা করেছি যদিও বেশির ভাগ ছবি জুম করে তোলা হয়েছে। কারণ মাঠের ভিতরে তখন জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ ছিল। তারপরও আমি আপনাদের সাথে কিছু ছবি শেয়ার করছি। এরপর শুরু হয় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ছোট ছোট নাটকগুলো পরিদর্শন করা।
এই ছোট ছোট নাটক গুলো দেখতে সত্যি অসাধারণ লাগে স্কুল-কলেজের ছাত্ররা বিভিন্ন ধরনের সাজে সেজে সবার সামনে সেই নাটকগুলো উপস্থাপন করছে। সত্যিই অসাধারণ। যাইহোক আমি সেগুলো নাটক গুলো সামনে থেকে দেখেছি এবং কিছু ছবি তোলার চেষ্টা করেছি। তাদের যারা সেই ছোট ছোট নাটকে অংশগ্রহণ করেছিল তাদের ছবিগুলো আমি দিয়ে দিচ্ছি।
আমাদের এইসব এইসব অনুষ্ঠানগুলো আগে নীলফামারী জেলা স্টেডিয়ামে হতো কিন্তু সেখানে কিছু কারণবশত গত দুই বছর ধরে নীলফামারী বড় মাঠে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। নিরাপত্তার জন্য এখানে এম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের সকল ইউনিট উপস্থিত ছিল। যাইহোক নিরাপত্তার দিক থেকে আমি কোনো কমতি দেখি নি। সবকিছু সঠিক ভাবে, সুন্দর ভাবে পালিত হয়েছে এবং বাংলাদেশের সব জায়গায় বাংলাদেশের পতাকা আকাশে উড়বে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: নীলফামারীতে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
আশা করি ভাইয়া ভাল আছেন? স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল।
প্রথমে সকল শহীদদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ।তাদের আত্মদান কখনো ভুলবো না আমরা। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের মুহূর্ত গুলো খুব সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করেছেন। এবং আমাদের মাঝে খুব চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। আলোকচিত্র গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
আপনাকে ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ভাই, এখানে আরো অনেক অনুষ্ঠান হয়েছিলো কিন্তু সেগুলোতে উপস্থিত থাকতে পারিনি, ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমেই আপনাকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। এক রক্ত সাগরের বিনিময় আমাদের এই স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা আজ 51 তম বছর পার হয়ে গেল। বাংলার ইতিহাসে ঐতিহাসিক এই দিনটি নানা উদযাপিত হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে নীলফামারীতে আপনি দারুন একটি অনুষ্ঠানে সাক্ষী হলেন। এই দিনটিকে ঘিরে অনেক নাটক-সিনেমা হত বৃহস করে যখন বাসায় থাকতাম ছোটবেলায় যুদ্ধের সিনেমা দেখতাম। শেষের দুই ছবিটি আমার খুব ভালো লেগেছে একজন মনে হয় বঙ্গবন্ধুর চরিত্র অন্যজন মুক্তিযোদ্ধা যা আমাদের স্বাধীনতার চিত্র ফুটে তুলে। এত সুন্দর একটি অনুষ্ঠান আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি আপু ঠিক বলেছেন, তবে আজ দিন টি অনেক ভালো কেটেছে।
অসাধারণ কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখলাম। অনেক সুন্দরভাবে সবাই পালন করেছে আজকের দিনটি।
আপনি ও কিন্তু ভালই মজা নিলেন। এই ধরনের অভিনয়, নিত্য দেখিনা আজ কতো দিন। তবে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাই।
আমাদের এদিকে প্রতিবারেই এমন ভাবে পালন করা হয় আপু।
প্রথমেই মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই ❤️
দিনটি বেশ মনের মতো করে কাটিয়েছেন মনে হলো। পুরো স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বেশ ভালোই উপভোগ করলেন আর আমাদের দেখার সুযোগ করে দিলে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
খুব ভালো থাকুন দোয়া রইল 🥀
এই সময় গুলো বন্ধুদের সাথে কাটানোর মজাই আলাদা ভাই।
আপনাকে এই স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল ভাই .যে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের তাদের রক্তের বিনিময়ে এই বাংলার স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন সেই সকল শহীদদের প্রতি অনেক অনেক দোয়া ও শ্রদ্ধা রইল আর আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই।
আপনাকেও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা, ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
প্রথমেই জানাই মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা, ভাইয়া আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন, আপনার মত আমি আজকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন গুলো উপভোগ করেছি, আমাকেও ছোট ছোট নাটক গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে ভাইয়া, এমন নাটক গুলো আজকে আপনি অনেক গুলো দেখেছেন ভাইয়া, এবং অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, আপনার জন্য অনেক অনেক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।
আপনাকেও মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা, আমি বেশিক্ষন ছিলাম না, সকাল ১১ টার দিকে বাসায় চলে আসি, যে গরম পরেছিলো আজ।
জ্বি ভাইয়া আজকে খুবেই রোদ পরছিলো, তবে আমি এস্টেডের ভিতরে ছিলাম, তাই অনেক সময় নিয়ে অনুষ্ঠান গুলো উপভোগ করতে পেড়েছি।
সকল ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই, অনেক শান্তি পেলাম ভাই। আজ আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের নীলফামারীর মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন খুব সুন্দর হয়েছে। নীলফামারী বড় মাঠকে অনেক মিস করি এখনও। আপনার মাধ্যমে আবার সেই দিনের কথা স্মরন করিয়ে দেয় , যখন আমি হাইস্কুলের ছাত্র ছিলা্ম আর এই দিন গুলোকে অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে নিতাম। প্রতিটি ছবি আমার কাছে মূল্যবান কারন এটি আমার দেশের মাটি আর আমার জন্ম স্থানের ছবি। যেখান আমার বাল্যকাল বেড়ে উঠা। ধন্যবাদ সিয়াম ভাই আপনার একটি সুন্দর ব্লগের জন্য। শুভকামনা জানাই আপনাকে
ঠিক বলেছেন ভাই, নীলফামারীর অনেক কিছু আমিও মিস করি।
এই ২৬ মার্চ নিয়ে আগে কতো প্লানিং থাকতো বলে শেষ করা যাবে না। তবে আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে কিছু ফটোগ্রাফি দেখে পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে গেলো। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমাদের স্কুল থেকে যুদ্ধের নাটক তৈরি করতো৷ আমি শুধু রজাকারের পাঠ করতাম। হাহাহাহা
আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসকে ঘিরে সব সময় ব্যস্ত থাকতাম, কতনা সুন্দর ছিলো সেই দিন গুলো।
বাড়িতে ভালোই স্বাধীনতা দিবস পালন করলেন।সিয়াম ভাই স্বাধীনতা দিবসের অসংখ্য শুভেচ্ছা নেবেন। অনেক রক্ত ঝরিয়ে তবেই পাওয়া এই স্বাধীনতা। সমস্ত শহীদদের জন্য রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।
আপনাকেও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ভাই, দিন টি অনেক ভালো কেটেছে ভাই,
জ্বি ভাই, আমরা সেই ইতিহাস কখনই ভুলবো না।
বাহ আপনাদের এলাকায় তো ছাব্বিশে মার্চ বেশ ঘটা করে পালন করা হয় দেখছি। আমাদের জেলায় ১৬ই ডিসেম্বর এই ধরনের আয়োজন হয়। ঘোরাফেরা করে সময়টা ভালোই কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।
হ্যা ভাই, প্রতিবারেই এমন ভাবে পালন করা হয়, বন্ধুদের নিয়ে ঘুরার মজাই আলাদা।