অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না [10% ʙᴇɴᴇғɪᴄɪᴀʀɪᴇs ғᴏʀ @sʜʏ-ғᴏx🦊]

যখন আমরা ছোট থাকি তখন আমাদদের পছন্দ রুচিবোধ এক রকম থাকে আবার যখন আমরা প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যাই তখন আমাকে পছন্দ এবং রুচিবোধের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন আসে। এটা আসলে একটি ভালো দিকক। । তবে মাত্রাতিরিক্ত করলে সেটি আবার আনস্মার্ট বা ওভার স্মার্ট ম্যান হিসেবে গণ্য করা হয়। যখন আপনি একটি কাজ মাত্রা অতিরিক্ত করে ফেলেন তখন সে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হয় না।

আত্মবিশ্বাস এবং অহংকার এর মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নাই। আপনি যদি পার্থক্যটা বুঝতে পারেন তাহলে খুব সহজ হবে আপনার জন্য। আত্মবিশ্বাস হলো, এই কাজটি আমি করতে পারব। আর অহংকার হল, শুধুমাত্র আমি এই কাজটি করতে পারবো। আসলে এই দুটি মধ্যে তেমন কোনো মূল পার্থক্য নেই। যদি আপনি পার্থক্যটা সঠিকভাবে বুঝতে পারেন তাহলেই আপনি বিচক্ষণ ব্যক্তি হিসেবে গন্য হবেন। অহংকার এর বিষয়টা আমি কেন এখানে নিয়ে আসলাম জানেন? কারণ অহংকার থেকে বড় বড় ভুলের সৃষ্টি হয় এবং এখান থেকেই মূলত মানুষ নিজেকে বড় ভাবতে শুরু করে। আসলে বিষয়গুলো একটু সূক্ষ ভাবে চিন্তা করলে বুঝতে পারা যায়। আসলে যেসব কাজকর্মগুলো আমরা করি সেগুলো কতটুকু সমাজের চোখে ভালো।

আমি আমার এই ছোট্ট জীবনে অনেক মানুষের সাথে চলাফেরা করেছি তারা নিজের অজান্তেই এমন কিছু কাজকর্ম করে থাকে যেটা সত্যিই গ্রহণযোগ্য নয়। মানুষের চোখে ফোকাস হওয়ার জন্য তারা অ্যাডভান্স কিছু করে যা করে নিজের কাছে মনে হয় তারা স্মার্ট কিন্তু আসলে যে সেগুলো তাদের জন্য উল্টো বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, সেটা তারা বুঝতে পারে না। আমরা স্কুল-কলেজে সবাই পড়েছেন মোটামুটি, প্র্যাকটিক্যাল খাতা জমা দেওয়ার সময় স্যারের নামে অনেক প্রশংসা করতে হয় এবং সেটি হচ্ছে মূলত তেল দেওয়া। এটা আমরা সবাই কমবেশি করেছি নিজের লাভের জন্য। আবার যারা জব করেন তারাও বসের নামে মিথ্যা প্রশংসা করতেই বেশি ভালোবাসেন। বেশি প্রশংসা করলে হয়তো তাকে বস প্রমোশন দিবে। আসলে এই সব কিছু একটি লিমিট পর্যন্ত করলে ভালো হয় কিন্তু সবসময় তেলের উপর রাখলে তেল গরম হয়ে আপনাকে পুড়িয়ে ছাই করে দিতে সক্ষম। তাই অতিরিক্ত কোন কিছু করা থেকে সবসময় বিরত থাকাই শ্রেয়।

কিছু নৈতিক শিক্ষা আছে যেগুলো পরিবার থেকে আমাদের শিখতে হয় আরো কিছু শিক্ষা আছে যেগুলো নিজেকেই নিজে শিখতে হয়। নিজেকে আপনি কীভাবে উপস্থাপন করবেন সেটি সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত বিষয় কিন্তু স্মার্টনেস দেখাতে গিয়ে ওভার স্মার্টনেশ দেখানোর আসলেই অতিরিক্ত। আপনি যখন কোন বিষয়ে রিয়েক্ট করেন তখন আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে সেই রিয়েক্ট টি যেন বেশি না হয়ে যায়। কোন কিছু বিষয় বেশি করা মানেই মানুষ আপনাকে ভালো চোখে দেখছে না এ বিষয়টা সব সময় মাথায় রাখবেন এবং চেষ্টা করবেন একটি লিমিটের মধ্যে থাকার জন্য। আপনি যদি কোন বিষয় যোগ্য হন তবে সেটি আপনার কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করার চেষ্টা করুন। অনৈতিক তেল মেরে নিজের নাম টি ফোকাসে আনার থেকে না আনাই উত্তম। আপনি যে তেল মারেন বস ও তা বুঝতে পারে, শুধু মাত্র বস আমাদের বুঝতে দেয় না।

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.........