ব্যস্ততম শুক্রবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আজকে আমি ব্যস্ততম শুক্রবার নিয়ে বিশেষ কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করব এই কথাগুলো আপনাদের ভালো লাগবে এবং আমার ব্যস্ততা সম্পর্কে একটু ধারনা হবে, তবে চলুন শুরু করি।
বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থার কারণে প্রায় এক মাস আরো বেশি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এতে করে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষাটা ও একমাস পিছিয়ে গেছে। এখন যখন সব ভার্সিটি খুলে দেওয়া হয়েছে এখন আমাদের সেই ফাইনাল পরীক্ষাটা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আবারও বিভিন্ন জায়গায় বন্যা কবলিত মানুষের জন্য সাধারণত পরীক্ষাটা অফলাইনে না নিয়ে অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগেও একবার অনলাইনে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন আপনি যদি একটি ছাত্র হোন তাহলে খুব সহজেই গুগলের সাহায্য নিতে পারেন কিংবা সিটের সাহায্য নিতে পারেন। তবে এই বিষয়টা খুব একটা সহজতর বিষয় হয় না। কারণ পরীক্ষাগুলো ভিডিও ক্লাসের মাধ্যমেই নেওয়া হয় এবং স্যারেরা সবসময় আমাদের উপর নজর রাখেন। কিন্তু তারপরও ছাত্ররা তো যেভাবেই হোক একটু সুযোগ খুঁজে বেড়ায়।
আজ আমাদের সকাল থেকেই অনলাইন সেশনাল পরীক্ষা ছিল। ফাইনাল পরীক্ষা গুলো এক সপ্তাহ পরে থেকে নেওয়া হবে। কিন্তু আমাদের কোন সেশনাল পরীক্ষা এর আগে নেওয়া হয়নি। তাই যতগুলো সাবজেক্ট রয়েছে প্রত্যেকটা সাবজেক্ট এই আজকে ল্যাব রিপোর্ট, অ্যাসাইনমেন্ট এবং ক্লাস টেস্ট দিতে হয়েছে। যা প্রত্যেকটা ছাত্রর জন্য অনেক কষ্টকর বিষয় হয়ে গেছে। সেই সকাল আটটা থেকে একদম বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা পরীক্ষা এবং ক্লাস টেস্ট দিয়েছি। সত্যি কথা বলতে একটানা এভাবে করে ক্লাস টেস্ট এবং পরীক্ষা দেওয়াতে মাথার ভারসাম্যটা অনেকটা হারিয়ে গেছে, হা হা হা। অনেকটাই ক্লান্ত মনে হচ্ছে কিন্তু আসলে ঘুমাবার সুযোগ পায়নি, বিভিন্ন ধরনের কাজে আটকে পড়ে গিয়েছিলাম।
এছাড়াও মাঝে মাঝে শরীর ক্লান্ত থাকলেও অসময় ঘুম আসেনা না। শুধুমাত্র বিছানার একপাশ থেকে অন্য পাশে ছোটা ছোটি করতে হয়। তারপরও আমি একটু শুয়ে থাকার চেষ্টা করেছিলাম। পরবর্তীতে আমাদের দাদা আজকে আমাদের সকলের জন্য অনেক সুখকর একটি সংবাদ জানিয়েছিলেন। আপনারও ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন এনাউন্সমেন্ট এর মাধ্যমে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির অফিশিয়াল মিম কয়েন আজকের লঞ্চ হয়েছিল। সে বিষয়ে ছোটখাটো মিটিং হয়েছিল এবং দাদা আমাদের সাথে তার আইডিয়াগুলো শেয়ার করেছিলেন। আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি নতুন কিছু আমরা আবিষ্কার করব।
সব মিলিয়ে আজকের সারাদিন অনেকটা ব্যস্ততম কাটলেও দাদার অ্যামাউন্সমেন্ট এর মাধ্যমে সেই সব ক্লান্তি দূর হয়ে গিয়েছে এবং অনেকটাই এক্সাইটিং কাজ করছে নিজের মধ্যে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একটি নতুন অংশ প্রকাশিত হলো আজ, এই আনন্দ আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। এতটাই এক্সাইটেড আমি এই বিষয়ে। আশা করা যায় অনেক ভালো কিছু হবে এই উদ্যোগের মাধ্যমে। সেই সাথে আমাদের সকলের দাদাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদেরকে নিয়ে এত গভীর পরিকল্পনা করার জন্য। আপনাকে স্যালুট জানাই দাদা এবং আপনার প্রত্যেকটা সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই।
আজকে এতটাই ব্যস্ত ছিলাম রান্নাবান্না করার কোন সময় পাইনি এবং আজকে কাকতালীয়ভাবে আমার এক বন্ধুর জন্মদিন ছিল। সেই সুবাদে সেখানেই আজকের লাঞ্চ এবং ডিনার করা হয়েছিল। সেই বন্ধু এবং আমি একই বিল্ডিংয়ে থাকি আলাদা আলাদা ফ্লাটে। সবমিলিয়ে আজকের দিনটা বেশ উপভোগ করেছিলাম এবং আমি চাই জীবনের প্রত্যেকটা দিন যাতে এভাবে করেই কাজ করে যেতে পারি, কখনো যেন অলসতা আমাকে গ্রাস না করতে পারে। কিন্তু তারপরও নিজেকে যতই মোটিভেট রাখার চেষ্টা করি না কেন দিন শেষে অলসতা কেন জানি গ্রাস করে ফেলে। যাইহোক আজকের মত এখানে শেষ করছি আপনারা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: ব্যস্ততম শুক্রবার
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
তাহলে তো এবারের শুক্রবারে আরও ব্যস্ততম সময় কাটিয়েছেন ভাই। আপনার শুক্রবার মানেই ব্যস্ততা আরও বেশি। আর এখন তো পরীক্ষার চাপ, তাই আরও বেশি ব্যস্ত সময় কাটছে আপনার। ভাগ্যিস আজকে আপনার বন্ধুর জন্মদিন ছিলো, নয়তো এতো ব্যস্ততার মাঝেও রান্না করতে হতো আপনাকে। যাইহোক পরীক্ষার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।
ঠিক সময়ে বন্ধুর জন্মদিন ছিল বলেই রান্না করার কাজটা আর করতে হলো না ভাইয়া। অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা আমার নেই। তবে আমার কাছে মনে হয় অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার শেষ সুবিধা আছে। যাই হোক ভাইয়া জীবন মানেই হচ্ছে ব্যস্ততা। ব্যস্ত তো থাকতেই হয় ভাইয়া।