বসুন্ধরা সিটিতে একদিন
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। গত দুদিনের ঝড় শেষে এখন পরিবেশ একদম শান্ত কিন্তু তারপরও কোন কোন জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ এখনো ঠিক হয়নি। কোন কোন জায়গায় ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। আমাদের এলাকায়ও প্রায় ৩০ ঘণ্টার মতো বিদ্যুৎ ছিল না। এমতাবস্থায় অনেকগুলো কাজ পড়েছিল তবে সবগুলো কাজ করে ফেলেছি। আজ আপনাদের সাথে বসুন্ধরায় কিছু সময় অতিবাহিত করার গল্প বলবো। তবে চলুন শুরু করি।
এইতো গত কিছুদিন আগে বসুন্ধরায় গিয়েছিলাম একটি ব্যক্তিগত কাজ। সেখানে যাওয়ার পরেই বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। বসুন্ধরা সিটিকে আবার পুনরায় নতুনভাবে ডিজাইন করা হচ্ছে, যেটা আসলেই অনেকটাই ভালো একটি দিক। বিশেষ করে বসুন্ধরা সিটির আট তলায় নতুন একটি শোরুম হয়েছে এবং তার ডিজাইনগুলো অত্যাধুনিক লেগেছে আমার কাছে। লাইটিং থেকে শুরু করে উপস্থাপনা এবং সব মিলিয়ে ডিজাইনগুলো এতটাই চমৎকার লাগছিল না দেখলে হয়তো আপনার ঠিক ভাবে বুঝতে পারবেন না।
আপনারা হয়তো অনেকেই জেনে থাকবেন আগে বসুন্ধরা সিটি ১ ও ৪ ফ্লোরে বিভিন্ন ধরনের মোবাইলের শপ এবং গেজেটের দোকান ছিল কিন্তু সে শপ গুলোকে সরিয়ে বসুন্ধরা সিটির বেসমেন্ট ১ এবং বেসমেন্ট দুই ফ্লোরে শিফট করা হয়েছে। এইতো রোজার ঈদের আগে সেখান থেকে এই মোবাইলটি কিনেছি, তবে মোবাইলের গ্লাসটি ভেঙে গিয়েছিল। সরিয়ে নতুন একটি গ্লাস লাগানোর জন্যই সাধারণত বসুন্ধরায় গিয়েছিলাম।
আমি আবার একটু গ্যাজেটপ্রেমী মানুষ। মার্কেটে কোন কোন নতুন নতুন গেজেট আসছে এবং সেই সেই গ্যাজেট গুলো আমাদের দৈনন্দিন কাজে কিভাবে আমরা সহজেই ব্যবহার করতে পারি সেসব বিষয়ে আগ্রহ আমার অনেক বেশি থাকে। মোবাইলের গ্লাস প্রটেক্টরটি ঠিক করে বসুন্ধরার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকলাম অর্থাৎ উইন্ডো শপিং করতে থাকলাম। আসলে একা একা তো কোন কিছুই ভালো লাগে না কিন্তু তারপরও একা একাই যাওয়ার চেষ্টা করি। এছাড়াও কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম নতুন একটি পিসি কিনব তবে সেটা হয়তো এখন হয়ে উঠবে না। আরো বেশ কয়েক মাস সময় নিয়ে পিসিটি বিল্ড করব। তারপরও সেই পিসিবিল্ড এর জন্য আগ্রহ কিন্তু কম নয়। অনেক ছোটবেলা থেকেই একটি স্বপ্ন ছিল। একটি মনের মত পিসি বিল্ড করব এবং এই পিসিতে প্রায় সব ধরনের কাজই করা যাবে।
বসুন্ধরা এবং যমুনা ফিউচার পার্ক এই দুই জায়গায় অনেক ভালো ভালো পিসি বিল্ড হয়। এছাড়াও আইডিবি ভবন রয়েছে। যেহেতু বসুন্ধরা সিটিতে গিয়েছিলাম তাই বসুন্ধরা সিটিতে গিয়েই ইনফরমেশন কালেক্ট করার চেষ্টা করেছে, মোটামুটি একটি আইডিয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বসুন্ধরা সিটিতে ঘন্টাখানিদের মত ছিলাম। পরবর্তীতে বের হয়ে আবার নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। যেহেতু শুক্রবার ভার্সিটি থাকে। ভার্সিটির শেষে খুব বেশি একটা ঘোরাঘুরি করার এনার্জি থাকে না, তারপরও ব্যক্তিগত কিছু কাজে এ গিয়েছিলাম।
সব মিলিয়ে অনেক ভালো একটা সময় উপভোগ করেছি এবং বসুন্ধরা কে নতুনভাবে সাজতে দেখেও অনেকটাই ভালো লাগছিল। আশা করা যায় এক-দেড় বছরের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে নতুন কাজ শেষ হয়ে যাবে। আজকের মত এখানেই শেষ করছিো আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: বসুন্ধরা সিটিতে একদিন
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
বসুন্ধরা সিটিতে অনেকদিন ধরে যাওয়া হয় না। সর্বশেষ খুব সম্ভবত বছর খানেক আগে গিয়েছিলাম। তবে বসুন্ধরা সিটিতে ঘুরাঘুরি করতে আমার খুব ভালো লাগে। যাইহোক বসুন্ধরা সিটি নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে সেখানে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি ও অনেক দিন পরে এলাম, ভালোই সময় অতিবাহিত করেছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
মোবাইলের গ্লাস চেঞ্জ করার জন্য বসুন্ধরা সিটিতে গিয়ে বেশি কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। দৈনন্দিন জীবনে যেহেতু ইলেকট্রনিক জিনিসের অনেক প্রভাব পড়ে গিয়েছে তাই দিন দিন অনেকেই হয়ে উঠছে গ্যাজেট প্রেমী। যাইহোক নতুন নতুন গ্যাজেট সম্পর্কে জানতে আপনার আগ্রহ জাগে জেনে ভালো লাগলো। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।