তীব্র শীতে জনজীবন দুর্বিষহ
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। আমার মত আপনাদেরও হয়তো কারো কারো এই শীতকাল অনেক পছন্দ তবে শীতকাল পছন্দ হলেও সাধারণ মানুষের জনজীবন যে কতটা দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে সেই বিষয়ে আমরা অনেক কম ধারনা রাখি।
বর্তমানে বাংলাদেশের শীতের অবস্থা বলা বাহুল্য, কারণ এই বিষয়টা আমরা কম বেশি সবাই ফেস করছি। এই শীতের মধ্যে জীবনযাত্রার মান যে কতটা দুর্বিসহ হয়ে যাচ্ছে সেই বিষয়ে আমরা ভালোভাবে বুঝতে পারছি বিশেষ করে যারা অফিসে ডিউটি করেন বা অফিসে যান এই শীতের মধ্যে অফিস করাটা অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং বিষয়ে হয়ে যায়। তীব্র শীত তার উপর তীব্র কুয়াশা সব মিলিয়ে একটা হ য ব র ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও যারা ট্রাভেলিং করেন বা কিংবা বিভিন্ন কাজে বহু দূরের পথ বাসের ট্রাভেল করতে হয় তাদের জন্য বিষয়টা আরো ভয়াবহ এবং দুর্যোগপূর্ণ হতে পারে।
শীতকাল আসলেই সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে, কারণ তীব্র কুয়াশায় খুব বেশি দূর পর্যন্ত দেখা যায় না। এছাড়াও যেগুলো লং ডিস্টেন্সে বাস চলে সেগুলো কিন্তু অনেক বেশি স্পিডে চলে। বিশেষ করে ১০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে তারা ছুটে চলে। এমত অবস্থায় দুর্ঘটনা হওয়াটা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যায়। শীতকাল আসলেই আমি মূলত রাতের বেলা ট্রাভেলিং থেকে অনেকটাই দূরে থাকি। কারণ রাতের বেলা কুয়াশার তীব্রতা খুব বেশি থাকে আর তাছাড়া রাতের বেলা খুব বেশি দূর পর্যন্ত দেখাও যায় না তাই খুব খুব বেশি প্রয়োজন না হলে রাতের বেলা ট্রাভেলিং করি না।
আমাদের সবারই বাসায় মোটা মোটা লেপ কম্বল রয়েছে। বিছানায় মোটা মোটা ঝাঁজিম রয়েছে কিন্তু আপনারা কি কখনো ভেবে দেখেছেন এই শীতে যারা রাতে রাস্তায় ঘুমায় তাদের কি অবস্থা হচ্ছে! যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত রয়েছে যারা দিন আনে দিন খায় তাদের অবস্থা আরো ভয়াবহ। একদিকে সব জিনিসের দামের ঊর্ধ্বগতি অন্যদিকে এই শীতের তীব্রতা। তারা খাওয়া-দাওয়া করে বেঁচে থাকবে নাকি শীতের পোশাক কিনবে সেটাই বুঝে উঠতে পারে না। ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে গেলেই আপনি এরকম হাজার হাজার পথ শিশু কিংবা সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের দেখতে পারবেন, যারা এই শীতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেও নিজের জন্য একটি সোয়েটার কিনতে পারছে না।
আপনি প্রতিদিন যে রাস্তায় যাতায়াত করেন সেই রাস্তায় একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখবেন তো কতজন সুবিধা বঞ্চিত মানুষ রয়েছে, হতদরিদ্র মানুষ রয়েছে। তাদের কথা কি আমরা একবারও ভেবে দেখেছি? তাদের এই শীতের কি অবস্থা হচ্ছে!! আমরা মোটা মোটা সোয়েটার এবং মোটা মোটা জ্যাকেট পরেও এই শীতের তীব্রতা অনুভব করছি তাহলে তাদের কি অবস্থা হচ্ছে সেই বিষয়টিও আমাদের ভাবা দরকার। এইতো মাত্র অফিস থেকে আসলাম কিন্তু মনে হচ্ছে এখনো রাত রয়েছে। কারণ এত তীব্র কুয়াশা পরেছে যা বলার মত নয়। সামনের ১০ ফুটের কি রয়েছে সেই বিষয়টিও ঠিকভাবে দেখা যাচ্ছে না।
আপনাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে ততটুকু দিয়েই সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের সাহায্য করার চেষ্টা করুন হয়তো আপনার উসিলায় কেউ ভালোভাবে রাত যাপন করতে পারবে এই কনকনে ঠান্ডার মধ্যেও। এছাড়াও খুব বেশি প্রয়োজন না হলে রাতে বাসে ট্রাভেল করবেন না। কারণ বর্তমানে রাস্তার অবস্থা খুব বেশি একটা ভালো নয়। যে পরিমাণে কুয়াশা পড়েছে তাতে করে দুর্ঘটনা হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। আজকের মত এখানেই শেষ করছি, সবাই সতর্ক থাকবেন, নিজের পরিবারের প্রতি যত্ন নিবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: তীব্র শীতে জনজীবন দুর্বিষহ
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
আমাদের গাংনী মেহেরপুরে প্রচন্ড ঠান্ডা ভাইজান। দিনকাল এমন হয়ে গেছে সকাল বেলায় পুকুরে মাছ খাওয়া পাখি তাড়াতে যেতে হয়, এখন যেন আর যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না ঠান্ডার কারণে। আপনার জনসচেতন মূলক পোস্ট কিন্তু আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে আমরা এই সমস্ত বিষয়গুলো চোখে দেখেও না দেখার ভান করি কিন্তু আমরা ঠিকই শীত নিবারণের জন্য, ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য গরম কাপড় পরিধান করি। কিন্তু একটু যদি পথের সে সমস্ত হতদরিদ্র মানুষের দিকে সহায়তার দৃষ্টিতে তাকায়, তাহলে হয়তো অন্যরকম ভালোলাগা অনুভব করতে পারতাম।
দারুন একটি সচেতনা মূলক পোস্ট আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আজকাল তো শীত একেবারে ঝেকে বসেছে। শীত আর কুয়াশার কারনে তো বাহিরে বের হওয়া টাই বেশ কষ্টের। আমার মনে হয় আমি এমন শীত এর আগে দেখিনি। আর এমন তীব্র শীতে আমাদের কে একটু সচেতন হয়েই থাকতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটি সচেতনতা মূলক পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভাই এবার সারা বাংলাদেশে প্রচন্ড শীত পরেছে। এই তীব্র শীতে জনজীবন একেবারে দুর্বিষহ হয়ে গিয়েছে। কুয়াশা বেশি থাকলে রাতের বেলা লং জার্নি করা খুব রিস্ক। কারণ রাস্তা ঘাটে দূরপাল্লার বাস এবং ট্রাক দুর্ঘটনা ঘটতে প্রায়ই দেখা যায়। সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের কথা ভাবলে আসলেই খুব খারাপ লাগে। এই শীতে তারা কিভাবে রাস্তা ঘাটে ঘুমায়, ভাবতেই অবাক লাগে। তাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকে ও ধন্যবাদ ভাই।