ব্যস্ততম শুক্রবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী শুক্রবার একটি ছুটির দিন এবং এই শুক্রবারে সবাই বিশ্রাম করে কিন্তু আমার ক্ষেত্রে বিষয়টা সম্পূর্ণ ভিন্ন, বরঞ্চ শুক্রবারে আমার কার্যক্রম গুলো আরো বেড়ে যায়। যা সত্যিই অনেক প্যারা দায়ক হয়ে থাকে।
আমার কাছে শুক্রবার মানেই হচ্ছে ভার্সিটি। ভার্সিটির জন্য প্রেজেন্টেশন কিংবা ক্লাস কিংবা পরীক্ষা। কোন না কোন কিছু থাকবেই। আবার এদিকে ভার্সিটি যেতে হলে অফিসের টাইম শিডুল আমার পরিবর্তন করতে হয়। যেটা আসলে কষ্টকে আরও বেশি বাড়িয়ে দেয়। যা সত্যিই অনেক কষ্ট করে একটি বিষয় হয়ে ওঠে। অফিস থেকে সপ্তাহিক ছুটি নিয়েছি শুক্রবার করে কিন্তু দুঃখের বিষয় ঈদের যে ছুটি দিবে জন্য সে সব ছুটিগুলো আগেই আমাদের করিয়ে নিচ্ছে, অর্থাৎ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একদিনও ছুটি পায়নি।
আজকে প্রায় ছয়টার সময় বাসা থেকে বেরিয়ে ছিলাম এবং ঠিক ইফতারের আগ মুহূর্ত বাসায় পৌঁছালাম। যদিও আমার ক্লাস শেষ হয়ে গেছে তিনটার মধ্যেই কিন্তু এরপরেই বসুন্ধরা সিটিতে গিয়েছিলাম একটি গিফট কেনার জন্য। আপনারা অনেকেই জানেন গত ১৮ তারিখ আমার মায়ের জন্মদিন ছিল, কিন্তু দুঃখের বিষয় এখন পর্যন্ত আমার মাকে কোন গিফট করতে পারেনি। তাই চিন্তা ভাবনা করলাম যেহেতু হাতে সময় ছিল তাই আজ কিছু গিফট কিনেই বাসায় ফিরবো। তবে আমি জানতাম আম্মুর বর্তমানে কোন বিষয়টি প্রয়োজন। বর্তমানে আম্মুর প্রেসার অনেকটাই উঠানামা করে যার কারণে সব সময় প্রেসার এবং সবকিছুই চেক আউট করতে হয়।
এছাড়াও আমার মায়ের স্মার্টওয়াচগুলো অনেক পছন্দের। তাই আম্মুর পছন্দের একটি স্মার্টওয়াচ কিনে ফেললাম। আমি জানতাম আম্মুর জন্য এটাই বর্তমানে পারফেক্ট একটি গিফট হবে। যদিও আমি এটা জানি যে একদম ১০০% একই অনুযায়ী ব্লাড প্রেসার কিংবা অন্যান্য এক্টিভিটিসগুলো শো করে না কিন্তু ৯০ শতাংশ কিংবা ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত একুরেট পাওয়া যায় যে স্মার্ট ওয়াচটি কিনেছি। অনেকগুলো রিভিউ দেখি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যাইহোক সেই বিষয়ে বিস্তারিত একটি পোস্ট করে আমার মাকে সারপ্রাইজ দিব, যেহেতু কথাটা বলেই দিয়েছে তাই আম্মুকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে দেবো, তাহলে হয়তো মা একটু বেশি খুশি হবে।
আগামী সপ্তাহ থেকে আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যার বদৌলতে এই সময়টা অনেকটাই চাপের মধ্যে যাচ্ছে। যেমনটা বিভিন্ন ধরনের ভাইবা, ক্লাস টেস্ট এবং প্রেজেন্টেশন গুলো দিতে হচ্ছে। আজকেও দুইটা সাবজেক্টের ভাইভা ছিল এবং একটি সাবজেক্ট এর প্রেজেন্টেশন ছিল যা। সত্যিই অনেকটাই প্যারাময় ছিলো এবং আপনারা তো বিষয়গুলো ভালোভাবেই বোঝেন। একসাথে এত কিছু থাকলে মাথা এমনি কাজ করে না তার উপর রমজান মাস চলছে।
মাত্র ইফতার করে এই পোস্ট লিখতে বসলাম। আমি যে আজ রাতে একটু ভালো হবে ঘুমাবো সেটারও হয়তো সুযোগ পাবো না। কারণ আজকে সকালে ডিউটি ছিল কিন্তু সেই ডিউটি টা রাতে নিয়েছি অর্থাৎ একটু পরেই আমাকে আবার ডিউটিতে যেতে হবে। এর মধ্যে কমিউনিটির কাজগুলো সবগুলোই কমপ্লিট করে রাখতে হবে। জীবনটা কেন যেন রোবটিক হয়ে গিয়েছে, তাই না। আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন তাদের কাছে একটি সাজেশন চাইবো বর্তমানে এই চাকরি ছেড়ে দেওয়া কি আমার জন্য ঠিক হবে কিনা? এই বিষয়টি অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন তাহলে আমি চির কৃতজ্ঞ থাকব। আজকের মত এখানে শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: ব্যস্ততম শুক্রবার
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
জি শুক্রবার ছুটির দিন হলেও আমারও কাছে ব্যস্তই লাগে ৷ কারন সারা সপ্তাহ জুড়ে তারপর নিজের জন্য কাজ করা ৷ যা হোক আপনার যে পেশার বা চাপ যাচ্ছে সেটা বুঝতেছি ৷ মাঝে মধ্যে কি মনে হয় জানেন ৷ জীবন মানেই বুঝি ব্যস্ততা ৷ আপনার মায়ের ব্লাড পেসার শুনে খারাপ লাগলো ৷ আপনার মায়ের সুস্থতা কামনা করছি ৷ সেই সাথে আপনার ব্যস্ততা কেটে যাগ এমনটাই প্রতার্শা ব্যাক্ত করছি ৷
ধন্যবাদ ভাই, চেষ্টা করি যেস সবাই ভালো থাক।
এর আগে কয়েকটি পোস্টে আপনার ব্যস্ততময় জীবনের গল্প তুলে ধরেছিলেন। শুক্রবার যে দিনটি সবাই একটু আরাম আয়েশ করতে চায় । আপনার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভার্সিটি আবার পরীক্ষার পেশার সব মিলিয়ে অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে পার করছেন। রোজা থেকে এত ব্যস্ত সময় পার করা সত্যি অনেক কষ্টের বিষয়টি ভালই উপলব্ধি করতে পারছি ভাই। যাইহোক, এর সফলতা যেদিন পাবেন সেদিন আর এই কষ্টগুলো কষ্ট মনে হবেনা।
কি আর করার ভাই, এরই নাম জীবন।
শুরুতে বলবো এই ব্যস্ততা সারা জীবন তোমার থাকবে না।বিএসসি টা কমপ্লিট হয়ে গেলেই তোমার ভার্সিটি ঝামেলা থেকে তুমি অনেকটা রিলাক্স পাবে।আর তখন তোমার জবের প্রমোশন টাও হয়ে যাবে। অন্য কোন ভাল জায়গায় অ্যাপ্লিকেশন করতে পারো।এরপর তুমি সিদ্ধান্ত নেবে এই জবটা তোমার করা দরকার নাকি না। চোখ বন্ধ করে সুদূরপ্রসারী চিন্তা করে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিবা। ভেবে নিবা চাকরি ছাড়লে তোমার কি কি সুবিধা না ছাড়লে কি কি অসুবিধা সবকিছু মিলিয়ে সিদ্ধান্ত তোমার।মহান আল্লাহ তা'আলা তোমার প্রতি সহায় হোন অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা তোমার জন্য।
ঠিক আছে।
আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছিলাম এজন্য দ্বিতীয়বার আবার মন্তব্য করতে হলো।যদিও তোমাকে বলেছিলাম এ সময় আমার জন্য বাড়তি কিছু গিফট কেনার দরকার নাই। রমজান মাস অনেক খরচ করে ফেলেছ অলরেডি তুমি। তারপরেও আমার সার্বিক কথা চিন্তা করে যখন তুমি গিফট কিনেই ফেলেছ এজন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।হ্যাঁ আমি অনেক বেশি খুশি হয়েছি। কারণ এই গিফটটা আমার খুব পছন্দের।
তোমাকেও ধন্যবাদ।
আসলেই ভাই শুক্রবারে আপনার ব্যস্ততা আরও বেড়ে যায়। আপনি আসলেই বিশ্রাম করার সময় পান না। চাকরি,পড়াশোনা এবং কমিউনিটির কাজ,সবমিলিয়ে প্রচুর চাপ হয়ে যাচ্ছে আপনার। তবুও বলবো চাকরি না ছাড়তে। প্রতিটি মানুষকে জীবনে কখনো না কখনো প্রচুর কষ্ট করতে হয়,আর আমার মনে হয় আপনার এই দিনগুলোই হচ্ছে সবচেয়ে কষ্টের দিন। আপনার আগামী দিনগুলো অবশ্যই খুব ভালো কাটবে। সেটা ভেবেই সবকিছু এভাবে কন্টিনিউ করুন। যাইহোক আপনার আম্মুর গিফটটা দারুণ হয়েছে। পরীক্ষার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
আমি ও ছারতে চাই না ভাই, তবে একটা কথা কি ভাই! আমি ও মানুষ, এতো কিছুর পরে ও ২ বেলা খাবার রান্না করে খেতে হয়। সব মিলে নিজেকে অনেক অসহায় মনে হয়।
ব্যাচেলর লাইফটা আসলেই কষ্টের ভাই। সেটা কোরিয়াতে থাকা অবস্থায় আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি। যদিও মাঝেমধ্যে রান্না করতাম এবং বেশিরভাগ সময় কোরিয়ান খাবার খেতাম অফিসের রেস্টুরেন্টে। ভাই মনে সাহস রাখুন। আমি নিশ্চিত আপনার খুব ভালো সময় আসবে অতি শীঘ্রই। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল ভাই।
চাকরি ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করলে আপনাকে কয়েকটা বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। চাকরি ছাড়া আপনি চলতে পারবেন কীনা। কারণ এখান থেকে প্রতি মাসে একটা অর্থ আসে আপনার। দ্বিতীয়ত যে অবস্থা জব মার্কেটের পরবর্তীতে কোন ভালো জব পাবেন কীনা এইটা। এইরকম কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার পর আপনার চাকরি ছাড়ার বিষয়টি ভাবা উচিত। আর শুক্রবার আসলেই আপনার উপর একটা চাপের সৃষ্টি করে। আপনার বিগত পোস্ট গুলো পড়ে এটা সম্পর্কে আমার পূর্ণ ধারণা হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাই, মন্তব্যের জন্য।
আপনি নিজেই যদি ভালো না থাকতে পারেন তাহলে চাকরি করে কি হবে ভাইয়া। নিজের ভালো থাকাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সবকিছু সামলে উঠতে না পারেন তাহলে আমার মনে হয় একটু ভালো থাকার জন্য হলেও চাকরি থেকে সরে আসা উচিত। মানসিক প্রশান্তি অনেক বেশি দরকারি। যাইহোক ভাইয়া আপনার মায়ের জন্য স্মার্টওয়াচ চিনেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আশা করছি আপনার মা অনেক খুশি হবেন।
আপনাকে ও ধন্যবাদ আপু, আসলে আমি চাই সবাই খুশি থাকুক।
ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম শুক্রবার দিনটা আপনার এক প্রকার যুদ্ধ করে পার করতে হয়। কিন্তু এই যুদ্ধ হয়তো আপনার জীবনে সারাজীবন স্থায়ী থাকবে না। একদিন না একদিন তার অবসান হবে আর আপনার জীবনে প্ররম শান্তি ফিরে আসবে এই দোয়া কামনা করি। চাকরি করা কিংবা না করার বিষয় সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। তবে আমি বলবো যদি আপনি নিজেকে একজন পরিশ্রমী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান তাহলে জীবনে চাকরিটাও খুব প্রয়োজন। হয়তো অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য আপনার এমন মনে হচ্ছে কিন্তু যখন ছেড়ে দেবেন তখন দেখবেন এই চাকরিটা আপনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যাই হোক মায়ের জন্য গিফট কিনেছেন আর তা তো বলেই দিলেন তাহলো তো আর সারপ্রাইজ রইলো না। মায়ের কখন কোন জিনিস প্রয়োজন তা একমাত্র সন্তানই ভালো বলতে পারে।
ধন্যবাদ আপু, আসলে আমি ও চাই না চাকরি টা ছাড়তে, হয় তো ছাড়বো ও না, কিন্তু আজ থেকে ৫-১০ বছর পর হয় তো আমাকেই খুজে পাওয়া যাবে না।