ব্যস্ততম জীবন
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সবাই অনেক ভালো আছেন। আজ আমি আমার জীবন সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরব, আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
বর্তমানে সবাই আমরা রোবটিক মত জীবন যাপন করছি। নিজের জীবনে খুশি অনুভব করতে পারি না কিংবা ও নিজের ইচ্ছামত কোন কিছু করতে পারি না। সবকিছুই নিজের ভবিষ্যতে সুন্দর করার জন্য এই সবকিছু সেক্রিফাইস করে যাচ্ছি। কিন্তু তারপরও দিন শেষে আমাদের এই জীবনটা অনেকটাই কষ্টময় হয়ে রয়েছে। এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে চাই আমাদের জীবনের এই দুঃখ কষ্টের পিছনে আমরা নিজেরাই দায়ী।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই অনেকটা ব্যস্ততম মধ্যেই কাটছেন। নিজের ইচ্ছে গুলো পূরণ হোক কিংবা না হোক নিজেকে সময় দেই কিংবা না দেই, অফিসের কাজ ভার্সিটির পড়া শুরু কিংবা অন্যান্য সমস্ত দায়িত্ব সময়ের মধ্যে আপনাকে পূরণ করতে হচ্ছে। কিন্তু নিজের জন্য সময় বের করা হচ্ছে না। তাইতো নিজের জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। নিজের কোন কাজ করে আপনি সুখ পাচ্ছেন না।
ব্যক্তিগতভাবে আমরা তো কত কিছুই চিন্তা ভাবনা করি, কিন্তু সেসব চিন্তা ভাবনার পরেও আমরা বাস্তবায়ন কিছু করতে পারি না। মাঝে মাঝে কল্পনার জগতে হারিয়ে যাই। কত কিছুই কল্পনা করি কত কিছু স্বপ্ন দেখি কিন্তু দিনশেষে ফলাফল শূন্য।
ব্যক্তিগতভাবে আমি জীবনকে একটি ট্রেনের সাথে তুলনা করি। একটি ট্রেন যেটি চলমান, প্রত্যেকটি স্টেশনে থামে সেখানে নতুন মানুষ ওঠে আবার পুরাতন যাত্রী নেমে যায়। এভাবে করেই ট্রেন তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যায়। ঠিক একইভাবে আমাদের জীবনের শুরু থেকে আমাদের জীবনে অনেকগুলো মানুষ আসবে মানুষ চলে যাবে কিছু মানুষের স্মৃতি আমাদের স্মৃতির পাতায় থেকে যাবে কিন্তু দিন শেষেসবাইকে মৃত্যুবরণ করতে হবে, মানে আমাদের ট্রেনের শেষ গন্তব্যে পৌঁছে যাব।
নিজেকে একটু ভালোবাসতে হবে নিজেকে সময় দিতে হবে। এই ব্যস্ততম জীবনে এত জীবন যুদ্ধ করছি কিসের জন্য?? নিজেকে ভালো রাখার জন্য! নিজের পরিবারকে ভালো রাখার জন্য! এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে চলতে হবে। আমার জীবনটা ও ট্রেনের মত। কিছুদিন বাসা থেকে ঘুরে আসলাম মনে হচ্ছে আমাদের আমার ট্রেনটি টি স্টেশনে আটকে ছিল। আবার ঢাকায় আসার পরে সেই ট্রেনটি চলতে শুরু করেছে।
ভার্সিটির অনেক চাপ চলছে, এছাড়াও অনেকগুলো এসাইনমেন্ট ল্যাব রিপোর্ট এবং আনুষঙ্গিক অনেক কাজ করা বাকি। এছাড়াও নিজস্ব পড়াশোনা রয়েছে সব মিলিয়ে অনেকটা হ জ ব র ল অবস্থার মধ্যে বিরাজ করছি। বিকালে একটু হাতিরঝিলে হাঁটতে বেরিয়েছি। তখনই এই পোস্টটি লিখছি জানিনা। এখান থেকে যাওয়ার পরে ফ্রি সময় পাবো কিনা! তাই এখানেই পোস্টটি লিখে বাসার দিকে রওনা দেব.....
আমাদের জীবন যতই ব্যস্ততম কাটুক না কেন নিজেকে একটু সময় দিতে হবে।২০১৫ সাল থেকেই এই ঢাকার জীবন যাপন করছি। এই ঢাকায় থাকা যে কত কষ্ট কর একজন ব্যাচেলার সেটি বুঝতে পারবে। অনেক সমস্যা রয়েছে, সবকিছু মানিয়ে নিয়ে চলছি এবং আর নিজের যুদ্ধে জয়ী হওয়ার চেষ্টা করছি। আজকের মত এখানেই শেষ করছি সবাইকে ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: ব্যস্ততম জীবন
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
বর্তমানে আমরা সবাই খুবই ব্যস্ত সময় পার করছি। আসলে আমরা ব্যস্ত সময় পার করছি আমাদের নিজেদেরকে ভালো রাখার জন্যই কিন্তু দিনশেষে ব্যস্ত সময় পার করার জন্য আমরা দিনশেষে ভালো থাকতে পারছি না। ব্যাচেলরদের ঢাকা থেকে জীবনযাপন করাটা অনেকটা কষ্টের। যদিও আমি এক বছর হলো ঢাকাই এসেছি তা থেকে এটা বুঝতে পেরেছি। ভাই আপনি ২০১৫ সাল থেকে ঢাকায় আছেন অর্থাৎ প্রায় আট বছর। নিজেকে সময় দেয়ার জন্য হাতিরঝিলে বেড়াতে গিয়েই বেশ সুন্দর একটি পোস্ট লিখে ফেলেছেন ভাই। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
জীবন নামের রেলগাড়ীটা পায় না খুঁজে স্টেশন। কারন পাবে কি করে?পরিবার পরিজন, অফিস, সংসার সব মিলিয়ে তো আর কুলিয়ে উঠতে পারে না। সেখানে নিজের জন্য সময় বের করার উপায় কোথায় ভাইয়া? এই ইট পাথরের নগরে কেউ তো কারো জন্য এগিয়ে আসে না। তাই নিজেকেই একলা চলতে হয়। ভাবতে হয় সবার কথা। আর এরই মাঝে হারিয়ে যায় নিজের সমস্ত ভালো লাগা আর মন্দ লাগা। চেষ্টা করলেই কি নিজের জন্য সময় বের করা যায?
জীবন যুদ্ধে আমরা সকলেই দৌড়াচ্ছি সিয়াম ভাই। তবে কেন দৌড়াচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তর হলো যে, জীবনে একটু ভালো থাকার জন্য বা আমার পরিবারকে ভালো রাখার জন্য যেটা আপনি বলেন আর কি। তবে এই দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে আসলেই কি আমরা নিজেদের ভাল রাখার মত সময় পাচ্ছি...? আমার মনে তো হয় না পাচ্ছি কেউই। সুতরাং সবারই একই অবস্থা। আসলে এভাবেই আমাদের সারা জীবন চলতে হবে। এই সমস্যার আদেও কি কোন সমাধান আছে আমার তো জানা নেই।
আসলেই আমরা দিনদিন এতোটা ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছি যে,একান্ত নিজের জন্য কোনো সময়ই নেই। আপনি জীবনটাকে ট্রেনের মতো মনে করেন। এটা বেশ দারুণ একটি যুক্তি ভাই। জীবনটা আসলে এমনই। আমিও মাঝে মধ্যে ভাবি এতো কিছু করে কি লাভ। কারণ আমরা তো পৃথিবীতে মেহমান হিসেবে এসেছি। এতো কিছু তাহলে কেনো করছি। যাইহোক শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের জন্য এবং মানসিক প্রশান্তির জন্য সময় বের করা উচিত। দারুণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা ঠিক যে আমরা দিন দিন সকলেই রোবটিক হয়ে যাচ্ছি। পরিবারের মানুষগুলোকে সুখে শান্তিতে রাখার জন্য, এরকম অনেক মানুষ আছেন যারা নিজের জীবনের সুখ গুলোকে বিসর্জন দিয়েছে। তবে আগামী দিনগুলো তোমার অনেক বেশি সুখময় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তোমার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। তবে মনে রেখো কষ্ট ছাড়া কেউ জীবনে সফল হতে পারেনি। কেউ কোনদিন পারবেও না।।তোমার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। ♥♥