হ-য-ব-র-ল জীবনের গল্প (৫ম পর্ব)

এই পর্বে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব জীবনের প্রত্যেকটি বিষয় ব্যালেন্স করে কিভাবে চলতে হয়। যদিও আমি সবকিছু ব্যালেন্স করে চলতে পারিনা কারন পরিবার, নিজের পড়াশোনা কমিউনিটির কাজ সব কিছু মিলিয়ে মাঝে মাঝে হিমশিম খেয়ে যাই। তারপরও চেষ্টা করি সবকিছু একটি নিয়ম এর মত কাজ করতে। আমি একটি রুটিন অনুযায়ী আমার কাজগুলো আমি সব সমাধান করার চেষ্টা। করি তারপর ট্রাভেলিং বা ঢাকা থেকে বাসায় গেলে এই নিয়মের বেঘাট ঘটে কিন্তু তারপরও আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করি সব কিছু সময়ের মধ্যে করার জন্য।

মাঝে মাঝে দেখা যায় কাজের চাপের জন্য বাসায় ফোন দিতে পারি না। এর জন্য মাঝে মাঝে আম্মু রাগ করে। যেটা স্বাভাবিক বিষয় কিন্তু আসলে কেউ বুঝতে পারে না যে আসলে কতটা চাপের মধ্যে থাকি। বিশেষ করে বর্তমানে অনেক চাপ যাচ্ছে। কিছুদিন পরে আমার পরীক্ষা রয়েছে, এদিকে কমিউনিটির কাজ রয়েছে। আবার বিভিন্ন ধরনের এসাইনমেন্ট, ক্লাস টেস্টে। আমি একটু সময় পাচ্ছিনা যে নিজেকে একটু সময় দেওয়া।

তবে একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জীবনের প্রত্যেকটি অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ। সব অধ্যায় কে সমান গুরুত্ব দিয়ে সমানতালে এগিয়ে যেতে হবে। আপনি যদি কোনো একটির বেশি গুরুত্ব দেন এবং অন্যদিকে যদি কম গুরুত্ব দেন তাহলেই আপনার জীবনে সমস্যার শুরু হবে। যাই হোক সবকিছু ব্যালেন্স করে নিয়ে চলাটাই হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ। যদি একটি কে ছেড়ে দিয়ে অন্যটিতে সবসময় পরে থাকেন তাহলে অন্য জিনিসটি আপনার হবে না। বিশেষ করে যদি আমি এখন পড়াশোনার কাজ করি তাহলে কমিউনিটির অনেক কাজ পিছিয়ে যাবে। তাই সবসময় চেষ্টা করি নিয়মমাফিক পড়াশোনা করার, জন্য কমিউনিটির কাজ করার জন্য আবার পরিবারকেও সময় দেওয়ার জন্য আগে। কিন্তু এটা খুব একটা বেশি পারতাম না যদিও আমি এখন চেষ্টা করছি সবকিছু ব্যালেন্স করার জন্য।

এই বিষয়গুলো আমরা তখনই অনুধাবন করতে পারে যখন কোথাও থেকে কোন নেগেটিভ রিভিউ আমরা পাই অর্থাৎ যদি কখনো বকা শুনি তাহলে। আমরা সেই বিষয়ে আরও সচেতন হয়ে যাই বিশেষ করে বাসায় যখন ফোন দিতাম না আম্মু অনেক মন খারাপ করত। এটাই আমার অনেক খারাপ লাগে যদিও দিনে ২-৩ বার কথা হতো কিন্তু তারপরও আমি প্রতিদিনই প্রায় তিন চারবার করে ফোন দিতাম। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় যে দিনে একবার ফোন দিলেই আম্মু রাগ করতেছে।

প্রত্যেকটা মানুষের কাছে কিছু না কিছু শিক্ষা গ্রহণ করার আছে। তাই আমি সবসময় প্রত্যেকটি মানুষের ভালো দিক গুলো সবসময় নেওয়ার চেষ্টা করি। জানিনা কতটুকু করতে পারিনি তবে সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে যাই হোক না কেন এখনো কিন্তু আমি অনেক অলস প্রকৃতির মানুষ। কোথাও যে ঘুরতে বেরোবে সেটা ও ইচ্ছা হয় না।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, জীবনে যে রকম কাজের গুরুত্ব রয়েছে তেমনই এন্টারটেনমেন্টের গুরুত্ব রয়েছে। আপনি আনন্দ ছাড়া কোন কিছু করতে পারবেন না। কাজ বা পড়াশোনা করতে করতে একঘেয়েমি হয়ে গেলে অবশ্যই আপনার দরকার একটু এন্টারটেনমেন্ট। তাই আমি নিজেকে সময় দেবার জন্য মাঝে মাঝে একটু ঘুরে বেড়াই বা বিভিন্ন ধরনের মুভি দেখি।

_{Image Source}

আমাদের জীবনটা অনেক ক্ষুদ্র তাই। এই ক্ষুদ্রতর জীবনকেই আমাদেরকে উপভোগ করতে হবে কাজ করতে হবে এবং সত্যের পথে চলতে হবে। তাহলেই দেখা যাবে যে এই ছোট্ট জীবনে আপনি অনেক কিছু অ্যাচিভ করতে পারবেন। এই ছিলো হ-য-ব-র-ল গল্পের পঞ্চম পর্ব। পরবর্তীতে পর্বে আমি অন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: হ-য-ব-র-ল জীবনের গল্প (৫ম পর্ব) ✨

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......