ফিরে এলাম মাতৃভূমিতে

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার, আপনারা সবাই কেমন আছেন? যদিও এই গরমের অতিষ্ঠতায় কেউ ভালো নেই। তারপরও জিজ্ঞাসা করলাম। যাইহোক আজ আমি নেওয়ার মাতৃভূমিতে আবারও ফিরে আসলাম। আসলে ঢাকায় যে পরিমাণে গরম পরেছে এর মত অবস্থায় ঢাকায় টিকে থাকাটা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়ে হয়ে পরেছে। এছাড়াও বাসায় আসার পিছনে বেশ কিছু কারণ আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব।

প্রথমত আমার ভার্সিটির ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষাগুলো দিয়েছিলাম। এখন মোটামুটি ভার্সিটি এক সপ্তাহের মত বন্ধ থাকবে। এছাড়াও আমি যেখানে থাকি সেখানে প্রচন্ড গরম পরে। যার কারণে সেটা থাকাটাও অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। আরো একটি মূল কারণ রয়েছে। আম্মু আগামী ১০ তারিখে ভারতে যেতে পারে। তাই আম্মুকে বিদায় দেওয়ার জন্যই নীলফামারীতে আসা। আসবো আগে থেকে তেমন কোন প্ল্যানিং ছিল না হঠাৎ করেই প্লানিং করা হয়েছিল এবং ট্রেনে উঠে চলে আসলাম।

একদিন আগে ট্রেনের টিকিট কেটেছিলাম নরমাল টিকিট গুলো ৭০০ টাকা করে এবং এসিতে করে আসলে প্রায় 200 টাকা বেশি লাগবে তাই চিন্তা করলাম সারারাত এসিতে করেই আসবো। দুইশ টাকা বেশি লাগলে সমস্যা নেই। এছাড়া অনেক দিন ট্রেন জার্নি করা হয় নি। তাই এবার ভাবলাম ট্রেনে করেই বাসায় উদ্দেশ্যে রওনা দেই। কমলাপুর থেকে ট্রেন বিকেল পাঁচটার সময় ছাড়ার কথা ছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অনেক ট্রেন ছাড়তে দেড় ঘন্টা লেট করে। আমি অবশ্য ট্রেন ছাড়ার আরো এক ঘন্টা আগে এসেই বসে ছিলাম অর্থাৎ প্রায় আড়াই ঘণ্টার মতো আমাদের স্টেশনে বসে থাকতে হয়েছিল ট্রেনের জন্য।

আমাদের এই উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলো কখনই সময় মত পাওয়া যায় না। এর অনেকগুলোই কারণ রয়েছে। উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলোকে বাংলাদেশ রেলওয়ে তেমন কোন গুরুত্ব দেয় না বলে আমার মনে হয়। আবার এই ট্রেনগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্ট ক্রসিং এ দাঁড়িয়ে থাকে। সিডিউল অনুযায়ী বিকেল পাঁচটার সময় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা এবং রাত আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে আমাদের নীলফামার দিয়ে নামিয়ে দেওয়ার কথা কিন্তু ট্রেন প্রায় আড়াই ঘন্টা লেট চলছিল। এদিকে তো ট্রেন দেড় ঘন্টা পরে কমলাপুর থেকে ছেড়ে গেছে, এটা একটা সমস্যা ছিল এবং আমাদের এই ট্রেনটা প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি ক্রসিং নিয়ে আটকে ছিল, যার কারণে এই সময় গুলো অতিবাহিত হয়েছে।

তবে ট্রেন চালকের জন্য আমাদের কিছু সময় বেঁচে গিয়েছিল। কারণ যমুনা সেতু পার হওয়ার পরে ট্রেনের গতি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছিল, প্রায় ১২০ এর কাছাকাছি ছিল। সাধারণত আমি যতদূর জানি এই ট্রেন একশোর বেশি গতিতে কখনোই চলাচল করে না আমাদের রুটে তবে আজকে 120 প্লাস গতি হয়ে গিয়েছিল যা অনেকটাই গতি সম্পন্ন। ট্রেনে বসে বসে কোন কাজ ছিল না, এদিকে ট্রেনে নেটওয়ার্ক খুব একটা বেশি পাওয়া যায় না। তাই বসে বসে এই হিসাবগুলোই করছিলাম, হাহাহা।

নীলফামারীতে নামিয়ে দিল ঠিক ভোর পাঁচটার সময়, অনেকটা বেলা হয়ে গিয়েছে এবং আলো হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে আর দুই ঘন্টার মত লেটে আমাদের এই ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছালো। আমাদের নীলফামারীতে আসার জন্য আগে একটি ট্রেনেই ছিল কিন্তু বর্তমানে আরো একটি ট্রেন দেওয়া হয়েছে, সেই নতুন ট্রেনে করেই আজ বাসায় ফিরলাম। ট্রেন যাত্রা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে হাঁটাহাঁটি করা যায়, ওয়াশরুমে যাওয়া যায়। সব মিলিয়ে লং জার্নির জন্য ট্রেন বেস্ট সলিউশন বলে আমি মনে করি।

সব মিলিয়ে আজকের যাত্রাটা অনেক উপভোগ করেছি। আমি সেই সাথে ট্রেনের মধ্যে একটি ছোটখাটো একটু ঘুম দিয়ে দিয়েছিলাম। যেহেতু এসি কেবিনে ছিলাম প্রচন্ড ঠান্ডা লাগছিল এবং ঘুম ও আসছিল প্রচন্ড। তাই রাত বারোটার পর থেকে প্রায় তিনটা পর্যন্ত ঘুমিয়ে কাটিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে নিজের মাতৃভূমিতে আসতে পেরে অনেকটাই ভালো লাগলো। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে ভাবলাম একটা ঘুম দেব আবার পরক্ষণে চিন্তা করলাম আমার আজকের পোস্টটা করে তবেই ঘুম দিই, তাহলে একটি কাজ এগিয়ে থাকবে। যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ সবাইকে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: ফিরে এলাম মাতৃভূমিতে

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......