নীলফামারী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা ২০২৩
বাসায় এসেছি বেশ কয়েকদিন হল কিন্তু বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি! তাই গতকাল বিকেলে আম্মু ও ছোট ভাইয়ের সাথে বেরিয়ে পরলাম মেলার উদ্দেশ্যে। প্রতিবছরই নীলফামারীতে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রত্যেকবারেই নতুন নতুন আকর্ষণ নিয়ে আসে।
বিকালের আমরা সবাই মিলে বেরিয়ে পড়লাম মেলার উদ্দেশ্যে। মেলার দরজা দিয়েই দূর থেকে দেখেই মনে হচ্ছে রাজপ্রাসাদের মত। দেখেই অনেক ভালো লাগলো পরবর্তীতে আমার ছোট ভাইকে বললাম মেলার টিকিট নিয়ে আসতে। মেলাতে প্রবেশ করতে হলে ২০ টাকা করে টিকিট কাটতে হয়।
মেলায় ঢুকার সাথে সাথে মনে হল অন্য একটি জগতে চলে এসেছি। সব জায়গায় অনেক মানুষ এর ভিড় এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের দোকান বসেছে। ছোট বাচ্চাদের জন্য খেলাধুলার জন্য আলাদা জায়গায় এছাড়াও বড়দের জন্য রয়েছে অনেক ধরনের দোকানপাট।
প্রথমেই আমিও বিভিন্ন ধরনের দোকান ভিজিট করতে থাকলাম। এমন আম্মু নিজের জন্য কিছু কানের দুল কিনে নিল। এখানে অনেক কম দামে ভালো ভালো দুল পাওয়া যাচ্ছিল। এরপর গেলাম কিডস সেকশনে। সেখানে ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক ধরনের খেলনা এবং রাইটস রয়েছে। যদিও দেখতে দূর থেকে ভালই লাগছিল। কিন্তু আমাদের বাসায় তো আর কেউ ছোট বাচ্চা নেই যে এসব রাইডে উঠতে পারবে।
দূর থেকে বাচ্চাদের আনন্দ দেখে ভালই লাগলো পরবর্তী সেখান থেকে বের হয়ে দেখতে পারলাম মেলার মধ্যে সার্কাস এবং মোটর বাইক রাইড চলে এসেছে। যদিও ছোটবেলায় এসব অনেক দেখেছি কিন্তু এখন আর দেখা হয় না।
এরপরে মেলায় ঘুরতে ঘুরতে একটি নতুন জিনিস আবিষ্কার করলাম। সাধারণত বাণিজ্য মেলায় গাছের দোকান থাকে না। নার্সারি আমার অনেক প্রিয়। সেখানে দেখলাম নতুন নতুন কিছু গাছ রয়েছে। নতুন একটি জাতের আম দেখতে পেলাম। সেই জাতের নাম দিয়েছে ব্যানানা ম্যানগো ট্রি। আম গুলো দেখতে অনেকটা কলার মত লম্বা।
সবথেকে ভালো জিনিস যেটা লেগেছে সেটা হচ্ছে খাবারের দোকান। খাবারের দোকান এত পরিমান ছিল এবং দেখেই জিপে জল চলে আসলো। আমি এবং ছোট ভাইয়ের মিলে সেখান থেকে বেশ কিছু ধরনের খাবার খেয়ে নিলাম এবং পেট শান্তি করলাম। চটপটি এবং ফুচকা আমার অনেক প্রিয় তাই গতকাল আর চটপটি খেয়েছিলাম।
আমার কিছু ঐতিহ্যবাহী দোকানও দেখতে পেয়েছি। মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের খেলনা এছাড়াও পাঠের তৈরি বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র এবং ব্যাগ দেখতে পেয়েছি। এসব বিষয় নিয়ে অন্য একদিন আলোচনা করব। অনেকদিন পরে পরিবারের সকলের সাথে সময় কাটিয়ে অনেক ভালো লাগলো। কারণ পরিবারের সবাই একত্রিত হতে পারি না। সবাইকে কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকি, এছাড়াও এই ঈদের সময়ে সবাই একত্রিত হয় এবং একসাথে ঘুরতে যাই। এবারের ঈদেও একটি প্ল্যান করে রেখেছি। ঈদের পরে পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাব, দেখি কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারি।
মোটামুটি সময়টা অনেক ভালো কেটেছে। এরই মাঝে অনেক ধরনের আনন্দ উপভোগ করেছি। যেগুলো আগামী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব। আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি, ধন্যবাদ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: নীলফামারী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা ২০২৩
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
মেলার দরজাটাতো আসলেই রাজপ্রাসাদের মত লাগছে দেখতে। মেলার এরকম ডেকোরেশন এর আগে কখনো দেখিনি। মেলার ভিতর তো বেশ কিছু রাইড রয়েছে দেখছি। বাচ্চাদের রাইড গুলো বেশ সুন্দর। আম টা দেখে তো অবাক হয়ে গেলাম। আসলেই কলার মত লম্বা। মেলার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালোই লাগলো। সবাই মিলে ভালো কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন।
জি আপু, অনেক ইনজয় করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাণিজ্য মেলায় গাছের দোকান এর আগে আমিও কখনো দেখিনি ভাইয়া। আজকে প্রথম দেখলাম। আমাদের শহরেও কিছুদিন আগে বাণিজ্য মেলা হয়েছে। তবে মোটরসাইকেল খেলা এবং সার্কাস খেলার আড়ালে বেশ কিছু জুয়ার আসর শুরু হয়েছিল। তাই প্রশাসন মেলা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। যাই হোক ভাইয়া পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
তবে আমি যতদুর জানি এদিকে সে সব কিছু হচ্ছে না। সব কিছু ভালো ভাবেই হচ্ছে।
ভাইয়া আপনাদের নীলফামারীর শিল্প ও বানিজ্য মেলাটি কিন্তু সত্যিকারের অর্থে একটি রাজপ্রাসাদের মতই মনে হচেছ। আর ভিতর তো আরও সুন্দর। বাচ্চাদের সব রকমের রাইডস রাখা হয়েছে ভিতরে। ফুচকা আর চটপুটি কিন্তু আমারও অনেক প্রিয়। ও আর একটি কথা আপনাদের ওখানকার বাণিজ্য মেলার টিকেটের দাম তো বেশ কম মাত্র ২০ টাকা। তবে ভাইয়া ঈদে পরিবার নিয়ে যেখানেই যান আমাকে একটু নিয়েন তো। নাকি টুম্পা কে নিবেন?
হাহাহা, টুম্পাকে কোথায় পাবো!
এ ধরনের শিল্প ও বাণিজ্য মেলা ভ্রমণের মজাই আলাদা। আর এ ধরনের মেলায় বাচ্চাদের আনন্দ দেয়ার জন্য খুবই সুন্দর ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি এ ধরনের মেলায় খুবই ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকান গড়ে ওঠে। আর শিল্প বাণিজ্য মেলায় গিয়ে ফুচকা ও চটপটির সাথে অন্যান্য খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। নীলফামারী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা উপভোগ করে চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পরিবারের সাথে নীলফামারী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা ভ্রমণ করে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন দেখছি। দুই ভাই মিলে তো ভরপুর খাওয়া দাওয়া করেছেন তাহলে। এতো লম্বা আমটি দেখে তো লোভ লেগে গেল ভাইয়া। কারণ আম আমার খুব পছন্দের একটি ফল। বাচ্চাদের রাইড গুলো দেখতে বরাবরই আমার ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।