ব্যক্তি জীবনে টেক্সটাইল সেক্টর এর ভূমিকা

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভাল আছেন আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আজ টেক্সটাইল এর বিষয়ে বেশি কিছু বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব আমাদের এই ব্যক্তি আমাদের সাথে নিবিড় ভাবে জড়িত সেই বিষয়গুলো আলোচনা করার চেষ্টা করব তবে চলুন শুরু করি।

প্রতিটি দেশের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে ও কিছু আইন রয়েছে এবং কিছু অধিকার রয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে কয়েকটি মৌলিক অধিকার রয়েছে যার মধ্যে প্রথম মৌলিক অধিকার হচ্ছে খাদ্য এবং দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র। অর্থাৎ খাদ্যের পরে যে বিষয়টি আমাদের সব থেকে বেশি দরকার সেটা হচ্ছে বস্ত্র। এই বস্ত্র আমাদের সকলের জন্য মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে কিন্তু এই বস্তশিল্প বাংলাদেশ এতটা এগিয়ে কেন কিংবা এই বস্ত্র শিল্প যদি না থাকতো তাহলে আমাদের জীবনযাত্রা কি রকম হতো।

আপনারা তো সবাই কম বেশি মুভি দেখে থাকেন। কিছু কিছু মুভিতে সেই আদি মানবদের দেখানো হয় যারা পশুর চামড়া দিয়ে তাদের লজ্জায় স্থানগুলো ঢেকে রাখতো। এর পরবর্তীতে বিভিন্ন গাছের পাতা এবং ছাল দিয়ে তারা নিজের লজ্জাস্থান ঢাকিয়ে রাখত। এরপরে মানুষ যত দিন দিন বুদ্ধিমান হতে থাকে ততই তারা এই বিষয়গুলোর প্রতি সেনসেটিভ হতে থাকে। সেই আদিম যুগ থেকে এখন অব্দি আমাদের এই বিষয়টি সবাই মেনে চলা চেষ্টা করেন। কাপড় যেমনই হোক না কেন সবাই পরিধান করে, বড় হোক কিংবা ছোট।

একটি ছোট উদাহরণ দিয়ে বলার চেষ্টা করি আমি যতটুকু পর্যন্ত জানি ইলেকট্রিসিটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে পরে না কিন্তু তারপরও আপনি এক মাস ইলেকট্রিসিটি ছাড়া বেঁচে থাকার কল্পনা করে দেখুন তো! কেমন মনে হয়। কিন্তু এই ইলেকট্রিসিটি আবিষ্কার হয়েছে ২০০ বছর আগে। অপরদিকে কাপড় আবিষ্কার হয়েছে হাজার হাজার বছর আগে এবং সেই কাপড়টা এখন পর্যন্ত মানুষ পরিধান করছে এবং পৃথিবী ধ্বংসের আগ পর্যন্ত এই কাপড় মানুষ পরিধান করেই যাবে অর্থাৎ টেক্সটাইল সেক্টর পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই।

মনে করুন আপনি একদিন ঘুম থেকে উঠলেন উঠেই দেখেন পৃথিবীর সকল কাপড় গায়েব হয়ে গেছে!!! সেই কাপড়ের জায়গায় কাগজ রয়েছে, সেক্ষেত্রে আপনাদের কি কি অসুবিধা হতে পারে জাস্ট একটু কল্পনা করে দেখুন। তাহলেই আমাদের এই সমাজে টেক্সটাইল সেক্টরের গুরুত্ব টা কতটুকু সেটা ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারবেন। প্রত্যেকটি দেশের কিছু স্ট্রং পয়েন্ট রয়েছে। সেগুলোকে আইডেন্টিফাই করে সেই দিক থেকেই এগিয়ে যেতে হবে। ঠিক তেমনিভাবে আমরাও আগে টেক্সটাইল সেক্টরে খুব একটা বেশি উন্নতি সাধন করতে পারেনি। কিন্তু বর্তমান সময় টেকনোলজি এবং ম্যানপাওয়ার এর কারণেই মূলত টেক্সটাইল সেক্টর টা এতদূর এগিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের টোটাল জিডিপির প্রায় ৮৫ পার্সেন্ট এই টেক্সটাইল রপ্তানি থেকে আসে।

এর তাৎপর্য এবং কার্যপ্রণালী অনেকটাই বিস্তৃত। একবার কল্পনা করে দেখুন তো মাত্র তুলা থেকে আমাদের ইচ্ছেমতো এবং আরামদায়ক কাপড় তৈরি করা হচ্ছে এবং সেই কাপড় গুলো পড়ে আমরা বছরের পর বছর জীবন যাপন করছি। কিন্তু এর মাঝে যেসব বিষয় বস্তু রয়েছে সেসব নিয়ে কি কখনো চিন্তা করেছি? কখনোই করিনি। বস্ত্র আমাদের মৌলিক অধিকার এবং এই মৌলিক অধিকার টিকিয়ে রাখতে হলে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির বিকল্প নেই। আশা করছি বিষয়গুলো আপনাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। আজকের মত এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: ব্যক্তি জীবনে টেক্সটাইল সেক্টর এর ভূমিকা

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......