ছোটবেলার এক ভৌতিক ঘটনা (শেষ পর্ব)

তখন আনুমানিক রাত দুটা হবে এতটাই অন্ধকার ছিল যা ভাবাও যায় না। তবে আমরা হাঁটতে হাঁটতে যখন আর একটু সামনে গেলাম তখন আমরা একটি টর্চ লাইটের আলো দেখলাম। যে টর্চলাইট টি আমাদের সেই বন্ধুর হাতে ছিল। আমরা তৎক্ষণিক দ্রুত এগোতে থাকলাম। দেখি সেই জায়গায় যাওয়ার আগেই অজ্ঞান হয়ে পরে আছে। আমাদের কারো মাথায় কাজ করছিল না। আমরা সকলেই অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম এবং এতটাই আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম যা বলার মত নয়। কারণ তখনও আমরা অনেক ছোট ছিলাম এবং এরকম পরিস্থিতিতে কি করতে হবে তা সঠিক সিদ্ধান্ত হয়তো আমরা তখন নিতে পারতাম না।

তো আমি আগেই বলেছি আমাদের গ্রুপে অনেকেই সাহসী। শুধুমাত্র আমি হয়তো একটু ভীতু। বাকিরা ভয় পেয়েছিল ঠিকই কিন্তু তারা পরিস্থিতিটা ঠিক সামলে নিয়েছিল। এক বন্ধু তাকে চড় থাপ্পর মারা শুরু করল। যেন তার জ্ঞান ফিরে আসে। বিষয়টা অনেকটা হাস্যকর ছিল। যাই হোক পরবর্তীতে অনেক মারামারি করার পরে সেই জ্ঞান ফিরে পায় এবং তাকে আমরা কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করেই আগে সেই শ্মশান থেকে বের করে নিয়ে আসি।

এর মাঝে একটি বিষয় বলে রাখা বাহুল্য যেহেতু ঘটনার সাথে সেই বিষয়টিও সম্পর্কযুক্ত। সেটা হচ্ছে যখন আমরা শ্মশান ভিতরে প্রথম প্রবেশ করলাম তখন সেখানে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের পাখি ছিল। যেগুলো আসলে বিকট ধরনের শব্দ করছিল। অনেকটা প্যাচা কিংবা বাদুরের মত হবে। তো সেই বিষয়গুলো অনেকটা স্বাভাবিকই মনে হয় যদি, দিনের বেলা সেই শব্দগুলো শুনি কিন্তু রাতের বেলা সেই শব্দগুলি কেন জানি ভয়ানক হয়ে ওঠে।

Source

তো আমার সেই বন্ধুকে বাইরে করে নিয়ে আসার পরে আমরা অনেকেই ভয় পেয়েছিলাম। আবার আমাদের মধ্যে তো শয়তানের কমতি ছিল না। অনেকেই আবার হাসাহাসি শুরু করেছিল দেখ সাহস দেখাতে গিয়ে নিজেই বেহুশ হয়ে পরে যায়। সেইসব নিয়ে অনেক ধরনের কথা হয়েছিল, অনেক ধরনের মজার মস্তি হয়েছিল পরবর্তীতে তার কাছে শুনলাম যে ঘটনা কি হয়েছিল। যাই হোক তার ভাষ্যমত এসে যখন শ্মশানের ভিতর ঢুকলো বিভিন্ন ধরনের আওয়াজটা কানে থাকলো, বেসিক্যালি সেই আওয়াজগুলো ছিল পাখির কিন্তু সে এতটাই আতঙ্কের মধ্যে ছিল যা বলা বাহুল্য। একপর্যায়ে সেই শব্দগুলো ক্রমশ বাড়তে থাকে অর্থাৎ তার আশেপাশে পাখির ডাক গুলো বেশি হতে থাকে। তাই সে এক পর্যায়ে সহ্য করতে না পেরে ওইখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।

তো এই ছিল ঘটনা। পরবর্তীতে আমরা কখনোই আর এরকম কাজ করিনি। আসলে সেটাও এক ধরনের অভিজ্ঞতা কিংবা শিক্ষা বলতে পারেন। এসব ছোট ছোট ভুল থেকেই তো আমরা শিখি। পরবর্তীতে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি তখন এরকম কোন সাহসিকতা দেখাই নি তবে এরকম আরেকটি বিষয় ঘটেছিল তবে এটা চ্যালেঞ্জ ছিলো। সেটা অন্য কোনদিন অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজকের মত এখানে শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: ছোটবেলার এক ভৌতিক ঘটনা (শেষ পর্ব)

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......