আজ বিকেলে ফুটবল খেলা
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সবাই অনেক ভালো আছেন। আজ অনেকদিন পরে সেই ছোটবেলার বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেললাম। সেই খেলার বিবরণ নিয়েই আজকের এই পোস্টটি সাজিয়েছি। আশা করছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে তবে চলুন শুরু করছি।
ছোটবেলায় যেসব বন্ধু-বান্ধবের সাথে একসাথে পড়াশুনা করতাম তাদের সাথে এখন দেখা হয় না বললেই চলে। শুধুমাত্র গ্রুপের মধ্যে চ্যাটিং হয় এবং ঈদের মধ্যে মাঝে মাঝে সবার সাথে দেখা হয়। গতকাল রাত থেকে আমাদের এখানে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে এবং কালকে রাতেও আমরা সেই বন্ধুর গ্রুপে অনেকক্ষণ চ্যাটিং করেছি। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজ বিকেলে ফুটবল খেলবো।
আমাদের আবার কথা কাজে মিল থাকে, সব বন্ধুরা মিলে একটি খেলার মাঠ ঠিক করলাম এবং সেখানে দায়িত্ব দিয়েছিলাম আমার এক পরিচিত বন্ধুকে। পরবর্তীতে ফুটবল কিনে সবাই যথা সময় মাঠের মধ্যে উপস্থিত। আমাদের নীলফামারীতে যে স্টেডিয়াম রয়েছে সেখানে দায়িত্ব বর্তমানে আমার একটি বন্ধুর রয়েছে কিন্তু আমরা সবাই চাইছিলাম গ্রাম্য পরিবেশে খেলব। তাই নীলফামারী শহর থেকে একটু দূরে একটি গ্রাম রয়েছে এবং সেই গ্রামেই একটি ফুটবল লিগ চলছিল। সেখান থেকেই তাদের কাছ থেকে ফুটবল মাঠটি একদিনের জন্য চেয়ে নিয়েছিলাম।
সবার সাথে প্রায় এক বছর পরে দেখা, দেখা করে সবার ভালই লাগলো। কিন্তু সবার অবস্থা অনেকটাই খারাপ। আমার যেমন ভুড়ি বেড়েছে তেমনি সবারই পেট বেড়েছে। আগের মত কেউ আর খেলতে পারে না। সবার মাঝে কেমন যেন বয়সের ছাপ পরে গেছে। কেউ কেউ তো আবার হয়ে গিয়েছে। তাই অনেক টেনশনের পরও সবাইকে জোর করেই আজকে খেলার মাঠে নিয়ে আসতে পেরেছিলাম।
আমাদের বন্ধুর গ্রুপটা ছিল অনেক বড় কিন্তু সবাই তো আজকে আসতে পারেনি। যেহেতু আগামীকাল ঈদ তারপরও আমরা যারা ফ্রি ছিলাম, যারা এই নীলফামারীর বাহিরে থাকি তারাই মূলত আর সেখানে গিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে ১৪ জনের মত হয়েছিল তাই ৭ জন করে ভাগ করে খেলেছিলাম।
যেহেতু গতকাল রাত বৃষ্টি হয়েছে এবং দিনের অনেকটা সময়ও বৃষ্টি হয়েছে কিন্তু বিকেলবেলা বৃষ্টি অনেকটা কমে গিয়েছিল, মাঠ একদম পানি পানি এবং কাদাকাদা অবস্থা। খেলা শুরু হয়ে গেল। প্রায় এক ঘণ্টা খেলাধুলা করার পরে সবাই অনেক ক্লান্ত। এর মাঝে অনেক ধরনের মজা মাসতি করেছি। এমনও কিছু বন্ধু আছে পাঁচ মিনিট দৌড়ানোর পরে তাদের অবস্থা একদম খারাপ। যেহেতু তারা প্রায় অনেক কয়েক বছর পরেই এই খেলাধুলায় নেমেছিল, তাই আমি এমনটা হয়েছে।
যাইহোক খেলাধুলা শেষে সবার অবস্থা একদম খারাপ, কাদা মাটিতে সবার দেহ একাকার অবস্থা। পরবর্তীতে সেখানের পাশে একটি গ্রাম্য পুকুর ছিল। সেখানে গিয়ে মূলত আমরা একটু নিজের শরীরটাকে পরিষ্কার করে নিয়েছি এবং পরবর্তীতে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। অনেকটা ছোটবেলার ফিল আসছিল। ছোটবেলা যেরকম গ্রামের পরিবেশে খেলেছিলাম এবং খেলাধুলার পরে পুকুরে গোসল করেছিলাম, সেই ফিলটা আজকে পেলাম।
এই ছিল মোটামুটি আজকের ঘটনা। আশা করছি আপনারাও এরকম ইনজয় ছোটবেলায় করেছেন। যাই হোক পরবর্তীতে ঈদ পার হলে যে কয়দিন নীলফামারীতে আছি এরকম খেলাধুলার প্লানিং করব, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: আজ বিকেলে ফুটবল খেলা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
খুবই ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টটি দেখে। যদিও বৃষ্টিতে খেলায় বাধাগ্রস্থ করছে তারপরও বৃষ্টি হয়েছে বলে কিন্তু গরমের পরিমাণটা কমে গিয়েছে আর এজন্য ফুটবল খেলতেও মজা লাগছে। আর বৃষ্টির পরের এইভাবে পুকুরে গোসল করার মজাটাই অন্যরকম।
ভাইয়া পোস্টটি পড়ে ক্ষনিকের জন্য আমি ছোটবেলায় হারিয়ে গিয়েছিলাম। এক সময়ে বৃষ্টির দিনে প্রায়ই ফুটবল খেলতাম এবং মাঠের পাশেই শীতলক্ষ্যা নদীতে জামা কাপড় পরিষ্কার করে বাসায় চলে আসতাম। অনেকদিন পর পুরনো বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলেছেন এবং পুকুরে নেমে জামা কাপড় পরিষ্কার করেছেন। আসলে এই ছোট ছোট কাজগুলো আমাদের মনের মধ্যে অন্যরকম প্রশান্তি যোগায়।
ভুঁড়ি আরো বেড়ে যাওয়ার আগেই, টুম্পা ভাবীকে বিয়েটা করে ফেলেন ভাইয়া 😂।
ভাইজান আপনার এই পোস্ট যে আমার এতটা ভালো লেগেছে তা বলে বোঝাতে পারবো না। অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে দেখা হলে বেশ ভালো লাগে। আর বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন কারণে ভুরি বাড়তেই পারে এটা স্বাভাবিক। তবে প্রতি মনমুগ্ধকর সুন্দর একটি পোস্ট যে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এতে আমি অনেক খুশি। অনেক আগে ফুটবল খেলার এমন সুন্দর অনুভূতিগুলো হারিয়ে ফেলেছি তবে আজও স্মরণ করি আর স্মরণ করিয়ে দেন আপনাদের এই জাতীয় পোস্টগুলো।