পরিবারের সাথে কিছুটা মুহূর্ত
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। গত ২ দিন আগে পরিবারের সাথে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। নীলফামারী শহরের মধ্যে ঘুরার মত তেমন কোন জায়গা নেই কিন্তু নীলফামারীতে বর্তমানে বাণিজ্য মেলা হচ্ছে। তাই বেশিরভাগ পর্যটক সেই বাণিজ্য মেলায় ভিড় করছে এবং বাণিজ্য মেলার সৌন্দর্য উপভোগ করার চেষ্টা করছে। ঠিক তেমনটাই আমরা সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়েছিলাম।
নীলফামারী একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জেলা এবং এই জেলার নিজস্ব কিছু ঐতিহ্য এবং কিছু কারুকার্য রয়েছে। যেগুলো সময়ের সাথে সাথে আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে কিন্তু এই মেলাগুলো হলে সে সব কারুকার্য এবং ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্র দেখা যায়। বর্তমানে আমরা এত উন্নত হয়েছি আমরা মাটির জিনিসপত্র ব্যবহার করাটাই ভুলে গিয়েছি। শুধুমাত্র গ্রামগঞ্জেই মাটির তৈরি খেলনা কিংবা আসবা প্রাপ্ত ব্যবহার করা হয়। কিন্তু শহরের দিকে সেই বিষয়গুলোর প্রচার নেই, সবাই এখন আমরা প্লাস্টিকের জিনিসের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে।
আমার এখনো ঠিক মনে আছে আমি যখন অনেক ছোট ছিলাম তখন বাবা-মায়ের সাথে মেলায় ঘুরতে আসতাম এবং মাটির তৈরি খেলনা নিয়ে যেতাম। আগে মাটির তৈরি অনেক কিছু পাওয়া যেত এবং সেগুলো দিয়ে হাড়ি পাতিল বানিয়ে অনেক ধরনের খেলা খেলতাম। আমরা কিন্তু বর্তমানে প্রজন্মের সেই জিনিসগুলো বাচ্চারা জানেই না। মেলায় ঘুরতে ঘুরতে সেই শৈশবের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। একটি মাটির তৈরি খেলনা এবং আসবাবপত্রের দোকান দেখতে পেলাম। সত্যি, দোকানটি দেখার সাথে সাথেই সেই অতীতে স্মৃতিগুলো আমার মনে পড়ে গেল। যদি আমার বাসায় ছোট ছোট বাচ্চা থাকতো তাহলে অবশ্যই খেলনা গুলো নিয়ে আসতাম।
সেখান থেকে একটু সামনে যেতেই চোখে পড়ল সেই ছোটবেলার একটি খেলার দৃশ্য। খেলাটা হয়তো আপনারা সবাই খেলেছেন এবং সেটা ছোট থেকেই অনেক জনপ্রিয় একটি খেলা ছিল। বন্দুক দিয়ে বেলুন ফাটানো। আমি যেখানেই যাই না কেন যদি এই খেলাটি দেখতে পাই তাহলে অবশ্যই বন্দুক দিয়ে বেলুন ফাটানো চেষ্টা করি। যদিও এবারও এটা করেছি এবং দশটার মধ্যেই নয়টা বেলুন ফাটাতে পেরেছি। প্রথমটা একটু মিসটেক হয়ে গিয়েছিল কারণ বন্দুকের বিষয়টি বুঝার জন্য।
পরবর্তীতে আমরা অনেক এনজয় করি এ ছাড়াও একটু সামনে এগোতে দেখতে পারলাম ভূতের বাড়ির নামের একটি শো এসেছে। সেই শো তে অনেক ভয়ঙ্কর ভয়ংকর জিনিস দেখানো হয় এবং অনুভব করানো হয়। আমি ভীতু প্রকৃতির মানুষ তাই আর সেখানে যাওয়ার সাহস হলো না। পরবর্তীতে আরো অনেক ঘুরাঘুরি করেছি, টুকটাক কেনাকাটা হয়েছে। এছাড়াও আমাদের এই মেলার মধ্যে সার্কাস এসেছে। যদিও সার্কাস অনেক ছোটতে দেখতাম পরবর্তীতে আর কখনো দেখা হয় নি। তবে এই কয়েকদিনের মধ্যে যদি সময় সুযোগ হয় তাহলে অবশ্যই গিয়ে দেখে আসবো।
প্রতিটা মানুষের জীবনে আনন্দময় কিছু মুহূর্ত আসে। সেসব মুহূর্তগুলো উপভোগ করা উচিত কারণ সব সময় ভালো সময় থাকে না মাঝে মাঝে খারাপ সময়ের মাঝেও আমাদের অতিক্রম করতে হয়। তখন সেই খারাপ সময়ের মাঝে এই ভালো সময় গুলোই আমাদের বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকে। তেমনি অনেক ভালো একটি সময় কাটিয়েছি এবার।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। এই মজাটা সবসময় পেতে চাই এবং প্রতিবারই আমার পরিবারকে নিয়ে আমি ঘুরতে যেতে চাই। যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ সবাইকে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: পরিবারের সাথে কিছুটা মুহূর্ত
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Twitter link
পরিবারের সাথে আনন্দে সময় কাটিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। পরিবারের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিলে মনের মাঝে প্রশান্তি লাগে।আপনি বানিজ্য মেলায় গিয়ে বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। এটা খুব সত্যি আজকাল মাটির জিনিসপত্র অনেকেই পছন্দ করেন না।কিন্তু আপনার মতো আমিও ছেলেবেলায় ঢাকার মেলাতে গিয়েই প্রথমে মাটির খেলনার দিকে আমার চোখ পরতো।আর আমি কিনতেও চাইতাম।আমার খুব ভালো লাগতো,এখনও ভালো লাগে।আপনি ১০ টি বেলুনের মধ্যে ৯ টি পেরেছেন, খুব ভালো লাগলো জেনে। সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আর অনুভূতি গুলো শেয়ার করলেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া প্রতিটি মানুষের জীবনেই এমন কিছু মুহূর্ত আসে যেই মুহূর্তগুলো সঠিকভাবে উপভোগ করা উচিত। আমরা অনেক সময় সেই সময় গুলো উপভোগ করি না। কিন্তু সময় চলে গেলে কখনো ফিরে আসে না। এখন যেমন শৈশবের সময় গুলো ফিরে আসবে না তেমনি সময়ের সাথে সাথে এই দিন গুলোও ফিরে আসবে না। মাটির তৈরি খেলনাগুলো দিয়ে আমি অনেক খেলতাম। তবে বন্দুক দিয়ে বেলুন ফাটানো হয়নি কখনো। ভাইয়া আপনি আপনার পরিবার নিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
সত্যি বলেছেন ভাইয়া পরিবারের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আর মাটির জিনিস পত্র আসলে এখন তেমন আর কেউ ব্যবহার করে না তবে আমি ব্যবহার করি শুধু ভেঙে যায়। যাইহোক ভাইয়া আপনি কিন্তু সুন্দর সময় পার করেছেন পরিবারের সাথে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পরিবারের সাথে কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বর্তমানে আমরা এত উন্নতি করেছি যে এখন মাটির জিনিস গুলো ব্যবহার করতে ভুলে গিয়েছিল। নীলফামারী একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা সেখানকার এই মাটির কারু কাজ গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। পরিবারের সাথে ঘুরতে গিয়ে আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন তা দেখে বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
ছোটবেলায় এই ধরনের মাটির জিনিসপত্র দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতাম। আপনার মতো আমিও বন্দুক দিয়ে বেলুন ফাটাতে খুব পছন্দ করি। তবে প্রায় ২/৩ বছর আগে বন্দুক দিয়ে বেলুন ফাটিয়েছিলাম। আমার স্পষ্ট মনে আছে তখন আপনার মতোই ১০ টা থেকে ৯ টা বেলুন ফাটাতে পেরেছিলাম। তবে আমি ১০ নম্বরটা মিস করেছিলাম ভুল করে। যাইহোক সব মিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনি তো দেখছি বেশ ভালোই নিশানা বাজ। একেবারে নয়টি বেলুন ফুটিয়ে দিলেন। আসলে পরিবারের সাথে সময় কাটাতে কিন্তু আমাদের সবারই বেশ ভালো লাগে। মেলায় যেয়ে মাটির জিনিস ও অন্যান্য বেশ কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলে সত্যি বলতে কি আগের দিনের মানুষগুলো মাটির জিনিস ব্যবহার করতো বলেই তাদের রোগ ব্যাধি কম হতো। আমার এখনও মনে আছে আগের বাবা সাথে মেলায় যেতাম। তারপর ছোট ছোট মাটির হাড়িপাতিল কিনে নিয়ে আসতাম খেলার জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার আনন্দ ঘন সময় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমি তো সেদিন আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম।তুমি দশ টি বেলুনের মধ্যে নয়টি বেলুন নিশান লাগিয়ে ফোটাতে পেরেছো।তুমি যখন বেলুন গুলো ফোটালে,আমি তো খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম।♥♥
আসলে ভাইয়া পরিবার নিয়ে এরকম বাণিজ্য মেলায় ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা। আর এরকম বাণিজ্য মেলায় আমরা মাটির তৈরীর অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র দেখতে পায়। এছাড়াও আরো অন্য ধরনের সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখতে পাই। তবে এ ধরনের মেলায় বন্দুক দিয়ে বেলুন ফোটানোর খেলায় আপনার অংশগ্রহণের কথাগুলো জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর একটি বাণিজ্য মেলায় পরিবার সাথে কাটানো মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।