আবহাওয়ার বীরূপ প্রভাব
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জ থেকে বলছি, নারায়ণগঞ্জের একটি ছোট্ট উপজেলায় বর্তমানে আমি বসবাস করছি। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে এই উপজেলার আবহাওয়াটি আমার কাছে মোটেও ভালো লাগছে না, কেন জানি একটি অসুনী সংকেত মনে হচ্ছে আমার কাছে।
আপনারা অনেকেই জানেন বর্তমানে আমি একটি টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে জব করছি এবং এই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতি সপ্তাহ পর পর আমার শিফট চেঞ্জ হয় অর্থাৎ ডিউটির টাইম পরিবর্তন হয়। এইতো গত সপ্তাহে এ শিফট ডিউটি ছিল অর্থাৎ সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত। তাই খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেই আমাকে অফিসে যেতে হয়েছিল, কিন্তু এই শনিবার থেকে ডিউটি করছি নাইট শিফটে অর্থাৎ রাত দশটা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত। টাইম সিডিউলটা বলার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভিন্ন সময়ে আমাদের অফিসে যাওয়া হয়। বিশেষ করে ভোরবেলা কিংবা রাতের বেলা সব সময় আবহাওয়াগুলো আমরা ভালোভাবে অনুভব করতে পারি। ঠিক গত এক সপ্তাহ ধরে এখানকার আবহাওয়ার পরিবর্তন লক্ষ্য করছি।
গত দুদিন ধরেই আমাদের এই দিকে প্রচন্ড বজ্রপাত এবং বৃষ্টি হচ্ছে যা বলে বোঝানো যাবে না। বৃষ্টি একটু কম থাকলেও কিন্তু বজ্রপাতের তীব্রতা কেন জানি খুব দিন দিন বেড়েই চলেছে। সাধারণত ফ্যাক্টরির ভিতর থাকলে বাইরে কোন কিছুই শোনা যায় না মেশিনের এত শব্দ কিন্তু গত রাতেও এত জোরে জোরে বিদ্যুৎ চমক দিয়েছিল যা ফ্যাক্টরির ভিতর থেকে স্পষ্ট জোরে জোরে শোনা যাচ্ছিল।
এইতো কয়েকদিন আগের কথা শনিবার কিংবা শুক্রবার হবে ডিউটি শেষ করে যখন মেনগেট থেকে বেরোলাম তখন কেন জানি মনে হল মেঘের ভিতর ঢুকে পড়েছি এমন সময় এত কুয়াশা ছিল যা বলে বোঝানোর মত না একমত কনকনে ঠান্ডা লাগছিল এছাড়াও বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম এটা হয়তো মনের ভুল কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম যে না আসলে মনের ভুল নয় এটা বাস্তবে এমন কুয়াশা এবং বজ্রপাত হচ্ছে। আমার এই ছোট্ট জীবনে কখনো এরকম দৃশ্য আমি দেখিনি। আমি ব্যক্তিগতভাবেই অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু তারপরও অনেকটা স্বাভাবিকভাবেই বাসায় চলে গেছি। বাসার বারান্দা থেকেও কয়েকটি ছবি তোলার চেষ্টা করেছি। যদি এই ছবির মধ্যে বজ্রপাতের দৃশ্যটি ফোনে ক্যাপচার করা সম্ভব হয়নি কিন্তু তারপরও কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
বর্তমানে আমরা মানুষেরাই এই পৃথিবীতে সবথেকে বড় ধ্বংসের কারণ হয়ে যাচ্ছি। জলবায়ু প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে করে আমাদের সামাজিক ভারসাম্যতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলো আমাদের সকলের দেখা দরকার এবং সকলকে একটু সচেতন হওয়া দরকার। আরো কিছুদিন আগের কথা যদি বলি হয়তো ৫-৬ দিন আগের কথা হবে। সেক্ষেত্রে রাতের বেলা শুয়ে ছিলাম রাত দুইটা কিংবা তিনটা হবে। এত জোরে বজ্রপাত হচ্ছিল যার কারণে আমি অনেকটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম এবং বিদ্যুৎ সাথে সাথে চলে গিয়েছিল এবং পরবর্তীতে সেই বিদ্যুৎ এসেছে ৬ ঘন্টা পরে।
ঢাকার অদূরে ছোট্ট একটি শহরে এত কিছু হয়ে যাচ্ছে, তাহলে চিন্তা করুন সমগ্র পৃথিবী তে প্রত্যেকটি জায়গায় কত কিছুই না হচ্ছে যা আমাদের অজানা। তাহলে সেসব জায়গার কি অবস্থা হচ্ছে, কেন হচ্ছে? আসলে আমাদের সকলের উচিত এই বিষয়ে একটি সতর্ক হওয়া? আমাদের পরিবেশ প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধি বাড়ছে। এই বিষয়ে আমাদের সকলের সচেতনতা একান্তই কাম্য। আজকের মত এখানেই শেষ করছি, ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: আবহাওয়ার বীরূপ প্রভাব
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই কাল বৈশাখী ঝড় হচ্ছে। বৈশাখ মাস আসার আগেই কাল বৈশাখী ঝড় হচ্ছে। হয়তো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এমনটা হচ্ছে। আসলে এসব কিছুর আমরা নিজেরাই দায়ী। আবার মাঝে মাঝে এমন পরিমাণ ঠান্ডা নেমে আসছে মনে হচ্ছে পৌষের শীত আবার ফিরে আসতেছে।
ঠিক বলেছেন ভাই, আজ কাল আবহাওয়ার কিছুই বুঝতে পারছি না।
ভাই যদি ভুল না বলি বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা হলো নারায়ণগঞ্জ৷ যা হোক আপনি কাজের শিপট প্রতি সপ্তাহে চেন্স বিষয়টা এক রকম যেমন ভালো তেমনি একরকম হয়রানি ৷
দিনশেষে চাকরি বলে কথা ৷
তবে কদিন সারা বাংলাদেশ আবহাওয়া যেন অনকেটা চেন্স তা বলতেই হবে ৷ মনে হয় বর্ষাকাল চলে এসেছে ৷ আবহাওয়া যেনো ঠিক নেই ৷ তবে আমাদের মানুষের কর্মকাণ্ডের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন প্রধান কারন ৷
ঠিক বলেছেন ভাই, তবে আমাদের নিজ জায়গা থেকে সতর্ক হাওয়া উচিত।
আমাদের এখানেও কয়েকদিন যাবৎ প্রচন্ড বৃষ্টি আর বজ্রপাত হচ্ছে। আবার কিছু কিছু সময় শিলা বৃষ্টি ও হচ্ছে। যেভাবে জোরে জোরে বজ্রপাত হয় এখন আমিও রীতিমতো ভয় পেয়ে যাই।
এখানেও একই অবস্থা।
আমি নিজেও কখনো কুয়াশা এবং বজ্রপাত একসঙ্গে দেখিনি। কথাটা শুনে বেশ অবাক হলাম। আপনার জায়গা আমি থাকলে হয়তো অনেকক্ষণ ঘোরই কাটত না। যেহুতু দিনের প্রতিটা শিফটে আপনার ডিউটি করা লাগে সেজন্য আপনি প্রকৃতির বিভিন্ন অবস্থায় দেখেন কিন্তু আমার সেই ভাগ্য আর হয় না। পৃথিবীর এই জলবায়ু পরিবর্তন খারাপ আবওহাওয়া এর পেছনে আমরা মানুষই
আমিও আগে কখনও এমনটা দেখিনি।
আসলেই কিছুদিন ধরে আবহাওয়ার বীরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে ।আপনি গত সপ্তাহে সকাল ছয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ডিউটি করেছিলেন। এই সপ্তাহে রাত সাতটা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত ডিউটি করছেন ।আসলে যারা চাকরি করে তাদের যে সময়ে ডিউটি থাকে সেই সময়ে করতে হয়। আমাদের এদিকেও বৃষ্টি কম হচ্ছিল কিন্তু অনেক বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল রমজান মাসে একটু বৃষ্টি হলে ভালো তাহলে একটু ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া আবহাওয়ার বীরূপ প্রভাব আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকেও ধন্যবাদ।।
আসলেই ভাই এবারের রমজান মাসে ইতিমধ্যেই ৭/৮ দিন বজ্রপাত হয়েছে। প্রচন্ড বাতাস হয়েছে, কিন্তু বৃষ্টি খুব বেশি হয়নি। তবে চৈত্র মাসে এমন ওয়েদার কোনো ভাবেই আশা করা যায় না। ওয়েদার দেখে মনে হচ্ছে এখন বর্ষাকাল। গতকাল বিকেলেও প্রচুর বজ্রপাত হয়েছে। তবে একটা ব্যাপার ভালো লাগছে যে,বৃষ্টি হওয়ায় রোজা রাখতে একেবারেই কষ্ট হচ্ছে না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সেটাই তো, দেখে মনে হচ্ছে বর্ষাকাল চলে আসছে।
বর্তমান সময়ে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব এবং পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে চলেছে। যা আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনে অনেকটা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পরিবেশ মূলত আমরাই নষ্ট করছি ভাইয়া বৃক্ষ নিধন করে। নারায়ণগঞ্জের বর্তমান সময়ের বেশ কিছু আবহাওয়া খবর আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলে এখনো যে এরকম কুয়াশা হচ্ছে এটা আপনার পোস্ট টা দেখলেই বোঝা যেত না। আর এরকম বজ্রপাত হলে এমনিতেই অনেক বেশি ভয় লাগে ভাইয়া যেটা আপনার ক্ষেত্রেও হয়েছিল।
জি ভাই, জীবনের প্রথম এমন ঘটনা দেখেছি তাই এমটা মনে হচ্ছে।
আমাদের এদিকেও বেশ বজ্রপাত এবং বৃষ্টি হচ্ছে কয়েক দিন ধরেই। হঠাৎ করে মনে হচ্ছে আবার শীতের তীব্রতা। এই সময়গুলোতে তুমি একটু সাবধানে থেকো বাবা তোমাকে নিয়ে আমার অনেক বেশি টেনশন হয়। যদিও আল্লাহ তাআলার উপর আমার অনেক ভরসা রয়েছে। তিনি যেন তোমাদেরকে সবসময় হেফাজতে রাখেন।পরিশেষে আবারও বলবো সাবধানে থেকো।