সাধারণ জনগণের ওপর দ্রব্যমূল্যের বিরূপ প্রভাব

আজ সকালে একটি কাজে রংপুরে উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম আমি এবং আম্মু। নীলফামারী রংপুর ভাড়া খুব একটা বেশি নয় সব মিলিয়ে ৯০ টাকার মত হয়। কিন্তু আজ একজনের ভাড়া লাগলো প্রায় ১৮০ টাকার উপরে অর্থাৎ ১০০ গুন বেড়ে গিয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে রংপুরে একটি জমি কিনেছিলাম কিন্তু রংপুরের জমিতে কাগজপত্র ঠিক না থাকায় বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। যেখানে গিয়েছিলাম, সেখানে লেখা ছিল ঘুষ দেওয়া এবং নেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু সেই অফিসে একটি কাগজ সই করাতেও ঘুষ দিতে হয়। এরপরে গেলাম একটি ফটোকপির দোকানে। আগে প্রতি কপি এক টাকা করে নিত কিন্তু বর্তমানে তিন টাকার নিচে কোন ফটোকপির দোকানে ফটোকপি করতে রাজি নয়। সেখানে প্রায় ২০০ গুন বেড়ে গিয়েছে। এমত অবস্থায় সাধারণ জনগণ কোথায় যাবে??

আমি কোন রাজনৈতিক বা দেশবিরোধী কোন কথা বলছি না। এই পোষ্টে শুধুমাত্র মনের আক্ষেপ থেকে লিখছি। আসলে আমাদের জীবনযাত্রার মান বাড়ছে শুধুমাত্র আমাদের বেতন বাড়ছে না। আমাদের অর্থপার্জনের যে কেন্দ্রবিন্দু গুলো রয়েছে, চাকরির বেতন এসব কিছুই আগের অবস্থানে রয়েছে কিন্তু প্রতিনিয়ত অল্প অল্প করে দ্রব্যমূল্যের দাম যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাহলে এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে সাধারণ জনগণের ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে এসব পণ্য।। বেশ কিছুদিন আগে জ্বালানি তেলের দাম রাতারাতি বাড়ানো হয় ৫০%। এই থেকেই মূলত সব দ্রব্যমূল্যের দাম প্রায় আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। গতকাল ডিম কিনতে গিয়েছিলাম কিন্তু ১০০ টাকার ডিম ১৭০ টাকা করে কিনতে হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরে একটি বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চা বাগানের শ্রমিকরা আন্দোলন করছে,, তাদের প্রতিদিনের হাজিরা ১৩০ টাকা মাত্র কিন্তু দ্রব্যমূল্যের যে দাম রয়েছে সেই টাকা দিয়ে তারা দুবেলা-দুমুঠো ভাত ও খেতে পারবে না। মাস খানিক আগেও ৫০ কেজির একটি চালের বস্তা আমি ২৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম কিন্তু আজ তার বাজারমূল্য ৩৭০০ টাকা. ভাবা যায়!! এক মাসের ব্যবধানে প্রায় বারোশো টাকা প্রতি বস্তা বেড়েছে। তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? আমি শুধুমাত্র আমার কথা বলছি না , বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা এবং চাকরিজীবী যারা রয়েছে তাদের বেতন তো বাড়েনি। ঢাকায় যারা অফিস করে তাদের প্রত্যেকটি খরচের হিসাব করে রাখতে হয়। তারা যে মাইনে পায় তা দিয়ে কিন্তু তাদের সংসার চলে না। বর্তমানে ৩০০০০ টাকার বেতন ঠিকমত ভাত খেয়ে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব, তার উপর ২০ টাকার ভাড়া হয়ে গেছে ৪০ টাকা।

গতকাল রাতে আড্ডা ঘরে দাদা কিছু কথা বলেছিলেন। যেগুলো আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে শিক্ষায় হচ্ছে জাতির মেরুদন্ড, কোন জাতিকে নষ্ট করার জন্য সেই সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে দুর্নীতি ঢুকিয়ে দিলেই সেই জাতি আস্তে আস্তে অকেজো হয়ে পরবে। সেই বিষয়টি আমাদের দেশে হচ্ছে। মনের মধ্যে অনেক রাগ অনেক ক্ষোভ কিন্তু তারপরও কোন কিছু বলা বারণ। কেউ মুখ ফুটে কিছু বললেই পরেরদিন সকালে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এই হচ্ছে আমাদের স্বাধীন দেশ। গতকাল আড্ডাঘরে দাদা ঠিক বলেছিলেন,, আমরা এখনও স্বাধীন হতে পারেনি।

_{Image Source}

আজ এ ধরনের পোস্ট করতাম না কিন্তু আজ বাসে থাকা অবস্থায় দুজন বৃদ্ধা একে অপরের সাথে এসব বিষয়ে কথা বলছিল। মনে হচ্ছিল তারা খুবই কষ্ট আছেন। তাদের চোখ দিয়ে বারবার পানি পড়ছিল, সৃষ্টিকর্তার কাছে আকুল আবেদন এই সব হতদরিদ্র মানুষের কষ্ট গুলো দূর করে দাও।

অনেক কিছুই বলার ছিল কিন্তু আসলে সেভাবে বলে উঠতে পারছিনা কারণ দেশের পরিস্থিতি ভালো না। তবে একটি বিষয় বলব এই বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ না খেতে পেয়ে মরবে। যাই হোক আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, আমার কোন কথায় যদি কারো কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে অবশ্যই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব 🌍

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......