ভার্সিটির বন্ধুরা মিলে ইফতার পার্টি।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন আজ শুক্রবার মানে অনেক ব্যস্ততম একটি দিন। সত্যি বলতে সারাদিনে দুটি পরীক্ষা ছিল এবং রোজা রেখে পরীক্ষা দেওয়া অনেকটাই কষ্ট কর। এছাড়াও আজকের গরমের তীব্রতা ছিল অত্যন্ত প্রখর।
আজ সকালে একটি পরীক্ষা ছিল এবং সন্ধ্যার দিকে একটি পরীক্ষা ছিল অর্থাৎ সন্ধ্যায় পরীক্ষা দেওয়ার পরে মাত্র ১০ মিনিট হাতে সময় দিয়েছি ইফতার করার জন্য তাই চিন্তা করলাম আজকে সব বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে একসাথেই ইফতার করবো।
মূলত বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আমাদের পরীক্ষা ছিল এবং ৬ টা ২৫ মিনিটে মাগরিবের আযান দেয় অর্থাৎ ইফতারের সময় ঠিক তখনই। আমরা পরিকল্পনা করি যে আমরা সবাই মিলে একসাথে ইফতার করব। যেহেতু চারটা থেকে পরীক্ষা সেতু পরীক্ষার আগেই আমরা একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে কথা বলে রাছি। এই দিকে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে সবাই রেস্টুরেন্টের দিকে রওয়া দেই। রেস্টুরেন্টে গিয়ে সমস্ত কিছু রেডি করে ইফতারের জন্য অপেক্ষা করি। প্রায় এক বছর পরে ভার্সিটির বন্ধুবান্ধবের সাথে ইফতার করছি, সত্যি অনেক ভালো লাগছ। সপ্তাহের সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে গেল।
ইফতার করে সব বন্ধুবান্ধবকে বিদায় জানিয়ে বাসে উঠলাম। বাসে বসে লেখা শুরু করছি। জানিনা আজ বাসা যেতে কতটা লেট হবে। এদিকে দেখছি রাস্তায় প্রচুর জ্যাম। যদিও বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে তারপর এই পোস্টটি করব তারপর বাসায় গিয়ে আর কাজ করার ইচ্ছে হবে না তাই আগে থেকে লিখতে বসেছি।
রোজার আগে থেকেই আমরা প্ল্যান করে রেখেছিলাম সব বন্ধুবান্ধবের একত্রে একদিন হলেও আমরা ইফতার একসাথে করব কিন্তু সেসময়টা হয়ে ওঠেনি কারণ আমাদের ফ্রাইডে ব্যাচে বেশিরভাগ ছাত্র চাকরিজীবী এবং চাকরি করে সপ্তাহে একটি ছুটির দিন পারে, সে ছুটির দিনে তারা ক্লাস করতে ছুটে আসে। এতটা ব্যাস্ততার মাঝে নিজেকে একটু সময় দেওয়ার মত সময় থাকে না। এটাই জীবনের বাস্তবতা এবং এই বাস্তবতাকে নিয়েই বেঁচে আছে আমার সব বন্ধু বান্ধব।
তারপরও সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে একসাথে সবাই ইফতার করতে পেরেছে এটাই আল্লাহতালার কাছে লক্ষ কোটি শুকরিয়া। তারপরও অনেকেই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে যদিও সারাদিন রোজা থেকে সারাদিন পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তীতে আরও সময় বের করা সত্যিই অনেক কষ্টসাধ্য একটি বিষয় হয়ে যায়। তাই আমি বলতে চাই সবাইকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ কারন বন্ধু ছাড়া আসলেই লাইভ কস্টকর। তারা আছে বলেই পরীক্ষা এবং সময় গুলো অনেক কাটে,।
তবে আমার বন্ধুরা যে শুধুমাত্র আমার বয়সীই তা কিন্তু নয়। আমাদের মাঝেও অনেক বড় ভাইরা রয়েছেন তার মধ্যে একজন হচ্ছে বাংলাদেশ ফকিরগ্রুপ এর ম্যানেজার এবং অনেক ভালো পজিশনে আছে তা তিনিও আমাদের সাথে ক্লাস করেন এবং একসাথেই আমরা অনেক ইনজয় করেন। বাসায় এসে যে ল্যাপটপ খুলে একটু কাজে বসব সেই শক্তিটা পাচ্ছিনা। বাসায় এসেই গোসল করেছি এবং সাথে সাথে বিছানায় শুয়ে পড়েছি। এখন দেখি কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে কারণ আজ সকালবেলা গোসল করে তারপরও ভার্সিটিতে গিয়েছিলাম এর কারণে ঠান্ডা লেগে গেছে, ঠিকভাবে কথা বলতে পারছি না এখন।
শত ব্যস্ততার মাঝেও আজকের সময়টা অনেক ভালো কেটেছে এবং আলহামদুলিল্লাহ পরীক্ষা অনেক ভালো হয়েছে।। আজ শরীরটা প্রচুর খারাপ লাগছে তাই আর খুব বেশি লেখালেখি করতে পারছিনা। তবে আজকের ইফতারের আয়োজন ছিল অনেক চমৎকার, আশা করছি পরবর্তী পর্বে আরো অন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলবো। আজকের মত এ পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: ভার্সিটির বন্ধুরা মিলে ইফতার পার্টি।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
আপনি যে বেশ পরিশ্রমী মানুষ তা বুঝি ভাই ৷ একদিনে দুই পরীক্ষা কে যে প্যারা তা বুঝি ৷ যা হোক পরীক্ষা চলাকালীন ভার্সিটির বন্ধুবান্ধবের সাথে ইফতার পার্টি দেখে ভালো লাগলো ৷ আসলে বন্ধুরা বিহীন জীবনটা শুকনো শুকনো
লাগে ৷ ভালো লাগলো ভাই সর্বোপরি শুভকামনা রইল অবিরাম ৷
বন্ধুদের নিয়ে ইফতার পার্টি করার মুহূর্ত গুলো সত্যি অসাধারণ। খুবি ভালো লাগে।আমরাও কিছু দিনের মধ্যে করবো।
বন্ধুরা মিলে ইফতার করেছেন দেখে ভাল লাগছে। অল্প সময় পেলেও আপনার অনুভুতি পড়ে বুঝেছি আপনার খুব ভাল লেগেছে। আমরাও বন্ধুরা মিলে মাঝে মাঝে এই রকম ইফতার করতাম যখন ভার্সিটিতে পড়তাম। এখন সবই স্মৃতি হয়ে আছে। আপনার পোস্ট পড়ে পুরনো কিছু স্মৃতি আমার মনে নাড়া দিয়ে গেল। সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার করে শরীর আর ভাল লাগে না তখন একটু বিশ্রাম করতে পারলে ভাল লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছাত্র জীবন কতই না সুখের হতো যদি না পরীক্ষা থাকতো। যাই হোক ভাইয়া দুইটা পরীক্ষা দিয়ে তারপর বন্ধুদের সাথে ইফতার পার্টি করেছেন। অবশ্য আজকে আমরাও বাসায় সবাই মিলে ইফতার পার্টি করেছিলাম। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি। আপনিও দেখছি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। আর এত লোভনীয় চপ দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে পড়েছে।
এই যে গরম পড়ছে আর এই গরমের দিনে রোজা থেকে দুটি করে পরীক্ষা দেয়া অনেক কষ্টের একটি ব্যাপার। সব বন্ধুরা মিলে একসাথে ইফতার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। সত্যি বলেছেন ভাই আসলে বেসরকারি ইউনিভার্সিটিগুলোতে সব ধরনের বন্ধুই থাকে ছোট-বড়। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বন্ধুরা মিলে সবাই একসাথে ইফতার পার্টি দেওয়ার মজাটাই অন্যরকম আমরাও প্রতি রমজানের শেষের দিকে সবাই বাড়িতে একত্র হয়ে ইফতার পার্টি করে থাকি।।
আপনি এবং আপনার বন্ধুরা অনেক ভালো সময় পার করেছেন ইফতার পার্টিতে এসে সাথে অনেক মজাদার মজাদার খাবারও খেয়েছেন এখন দেখেই কেমন যেন লোভ হচ্ছে।।
আসলে ভাইয়া বন্ধুদের সাথে ইফতার করার মজাই আলাদা। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে আমার এটা জানতে পেরে যে, সকল বাধা বিপত্তি কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত বন্ধুদের সাথে দারুন একটি ইফতারে ব্যবস্থা করতে পেরেছেন। আর একদিনে যেহেতু দুটি পরীক্ষা দিয়েছেন তাই আমি আপনার পরীক্ষার ভালো মানের ফলাফল প্রত্যাশা করি। ভাইয়া আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।
জীবন তো আসলেই পেরেশানীময়। এই জীবনে কোন সময় যে স্বস্থি পাওয়া যায় তা বলা মুশকিল। আর ছাত্র জীবন তো আর এক জ্বালা। পরীক্ষ পরীক্ষা আর পরীক্ষা। এত এত পরীক্ষার মধ্যে আপনারা যে ইফতার পার্টির আয়োজন করেছেন সেটাও কম কিসে। তাও আবার একই দিনে দুই দুই টা পরীক্ষা। সব মিলিযে বেশ ভালই সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া।
বন্ধু বান্ধবদের সাথে ইফতার করার মজাই আলাদা। যদিও ব্যস্ততার জন্য এই বছর এখনও সবাই মিলে ইফতার করতে পারিনি। কিন্তু প্রতিবছরই করে থাকি। যাইহোক এতো ব্যস্ততার মাঝেও আপনারা সবাই মিলে ইফতার করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার পোস্ট গুলো পড়ে বুঝতে পারি আপনি প্রচন্ড রকমের ব্যস্ততার মধ্যে থাকেন। পড়াশোনা, বাসায় নিজের কাজ করা এবং কমিউনিটির কাজ। সবমিলিয়ে অনেক প্যারার মধ্যে থাকেন অনেক সময়। তবুও বন্ধু বান্ধবদের সাথে এভাবে মাঝে মধ্যে সময় কাটাতে পারলে অনেকটা রিলাক্স লাগে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
দুটি পরীক্ষা একই দিনে। তাও রোজার মধ্যে সত্যিই খুব চাপের। অবশ্যই বন্ধু - বান্ধবদের সাথে একসাথে কিছু করলে অনেক ভালো লাগে আর এর ফলে আপনার সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে জেনে ভালো লাগলো ভাই। সত্যিই চমৎকার ছিল ইফতারের আয়োজন। তবে আপনার শরীর ভালো নেই জেনে খারাপ লাগলো ভাই। তবে আপনার পরীক্ষা অনেক ভালো হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।