অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি। গতকাল শুক্রবারে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করে এটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে এখন এই সেমিস্টারটা অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে।
এর আগেও একবার অনলাইন পরীক্ষা দিয়েছিলাম যদি সেটা মিডট্রাম ছিল। তবে সেবারের তুলনায় এবার একটু অন্যরকম ভাবেই অনলাইন পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। একেক স্যারের একেক ধরনের নিয়ম এবং সেগুলো সব কিছু পালন করেই আজকে পরীক্ষা দিতে হলো। আপনারা বিশ্বাস করবেন না আজকে একদিনে তিনটা পরীক্ষা দিয়েছি। সকাল বেলা, বিকেল বেলা, ও সন্ধায়। সাধারণত আমি ফ্রাইডে ব্যাচের একজন স্টুডেন্ট এবং ফ্রাইডে ব্যাচের যতগুলো সাবজেক্ট থাকুক না কেন দুই সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে হয়। এবার আমাদের পাঁচটা সাবজেক্ট রয়েছে থিওরির। এক সপ্তাহে তিনটি এবং অন্য সপ্তাহের দুটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ইতিমধ্যে গতকাল তিনটি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। বিশ্বাস করবেন না প্রায় আট ঘণ্টার মতো একটানা বসে পরীক্ষা দিয়েছি। এছাড়াও পিডিএফ বানানো এবং বিভিন্ন ধরনের আনুষাঙ্গিকতা বেশ হয়রানি হতে হয়েছে। তারপরও অনলাইন পরীক্ষার্থী সুবিধা রয়েছে সেটা আপনারা সকলেই জানেন। স্যার যতই ভিডিও ক্যামেরায় অন রাখুক না কেন ছাত্ররা একটু তো চিটিং করবেই যেহেতু অনলাইন পরীক্ষা ছিল। সব মিলিয়ে আজ অনেক এনজয় করেছি এবং বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। এছাড়াও বর্তমানে আমাদের কমিউনিটিতে অনেকটাই এক্সাইটিং এর হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এর কারণ আপনার সকলেই জানেন। নতুন কয়েন কে ঘিরে আমাদের উদ্দীপনার কমতি নেই।
প্রথম পরীক্ষাটা ছিল আমাদের টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টের সাবজেক্ট এর উপর। সাবজেক্ট এর নাম ছিল টেক্সটাইল টেস্টিং এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল পার্ট টু। এই সাবজেক্ট এর ক্লাস টিচার ছিলেন একজন ম্যাডাম। তিনি যথেষ্ট ভালোভাবেই ক্লাসগুলো করিয়েছিলেন এবং এই পরীক্ষাটি ও অনেক ভালো। এরপরে দুপুরে দুইটার সময় আমাদের দ্বিতীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় সেটা ছিল ফেব্রিক স্ট্রাকচার অ্যান্ড ডিজাইন। এখানে মূলত কাপড়ের বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনগুলো করানো হয় হয়েছে। সেই পরীক্ষা শেষ হতে না তো এই দশ মিনিট পরেই আরেকটি পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। সেটা অবশ্য নন ডিপার্টমেন্টের সাবজেক্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানেজমেন্ট।
সব পরীক্ষায় মোটামুটি অনেক ভালো হয়েছিল তবে একটানা এভাবে করে পরীক্ষা দেওয়াতে মাথা অনেক ব্যথা করছিল। যার কারণে বেশ ক্লান্ত লাগছিল। আবার আজকের রাতে নীলফামারী যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারি। সব মিলিয়ে অন্যান্য দিনের মতোই আজকেও অনেক ব্যস্ততম শুক্রবার কেটেছে যাই হোক পরবর্তীতে আবারো দেখা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। আজকের মত এখানেই শেষ করছি, ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: অনলাইন পরিক্ষা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
TTQC, FSD, & IM ৩ টাই বেশ পছন্দের এবং মজার সাবজেক্ট! ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানেজমেন্ট নন- ডিপার্টমেন্ট এর সাবজেক্ট হলেও, আমাদের সেক্টর টার সাথে ইন্ডাস্ট্রি ওতোপ্রোতো ভাবেই জড়িয়ে আছে! তাই এটাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তবে একনাগাড়ে ৩ টা পরীক্ষা দেয়া বেশ বিরক্তিকর বিষয় অবশ্যই! এতক্ষণ কি আর মনোযোগ ধরে রাখা যায় নাকি! তবুও পরীক্ষা যে ভালো হয়েছে, সেটাই খুশির খবর!
কালকে লেভেল ফোরের ভাইভা ছিল, সেখানে রূপক ভাই একটা ভালো কথা বলেছিলেন যে যেহেতু অনলাইন পরীক্ষা তাই সময় বলার কনফিডেন্স এবং বলার ধরণের উপর নির্ভর করে উত্তরটা নেয়া হবে কি হবে না। আজকে তোমার এই ব্লকটা পরে ভাবছি যে অনলাইন পরীক্ষায় চিটিং অনেকেই করতে পারে। বিশেষ করে লিখিত পরীক্ষায় চিটিং করে লিখলে তো দেখার উপায় নেই। যাই হোক পরীক্ষা দেওয়াটা খুবই কষ্টকর সেখানে অস্বীকার করিনা । আশা করি পরীক্ষাগুলোর ফলাফলও খুবই ভালো আসবে তোমার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া। বর্তমানে আমাদের কমিউনিটি ঘিরে নতুন কয়েন এর হাওয়া বইছে। তবে ভাবছি একাধারে আট ঘন্টা বসে আপনি কি করে পরীক্ষা দিলেন। তবে এমন পরীক্ষায় কিন্তু চুরি করা যায় অনায়াসে। বেশ সুন্দর করে গুছিযে আপনার অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
একদিনে তিনটা পরীক্ষা দেওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। যাইহোক কষ্ট হলেও পরীক্ষার ঝামেলা শেষ করতে পেরেছেন তাহলে। শুক্রবারে আপনার সবসময়ই ব্যস্ত সময় কাটে। আশা করি পরীক্ষার রেজাল্ট খুব ভালো হবে। যাইহোক আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।
এক দিনে তিনটে পরীক্ষা দেওয়া সত্যি অনেক কঠিন ব্যাপার। পড়াগুলো তো ঠিকই কভার করতে হয়। অনলাইন পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা আমার একদমই নেই ভাইয়া। আপনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পেরে ভালো লাগলো।