বাজারে আগুন
বর্তমানে ঈদের আমেজ চলছে, এতে করে সকলেই বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাকাটা করছে। এছাড়াও কাঁচা বাজারের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাসায় অনেক আত্মীয় স্বজন আসে এছাড়াও নিজেদের খাওয়ার জন্য ভালো মন্দ কিছু বাজার করতেই হয়। বাসায় আসার পর থেকেই মোটামুটি প্রতিদিনই ছোটখাটো বাজার করা হচ্ছে তবে গতকাল গিয়েছিলাম কাঁচা বাজারে এবং কাঁচা বাজারে গিয়েই মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল।
এইতো এই মাসেই আমাদের ২০২৪- ২০২৫ এর বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। বাজেট হওয়ার পর থেকেই প্রত্যেকটি জিনিসের দাম মনে হয় অনেকটাই বেড়ে গেছে। কিন্তু যে সকল জিনিসের দাম কমার কথা ছিল সেগুলো কিন্তু কমেনি, এইটাই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি। বাসায় আসার পরে আমাদের বিদ্যুতের মিটারে টাকা ঢুকিয়েছি কিন্তু টাকা ঢোকানোর পরেই প্রায় ২৫০ টাকার বেশি টাকা কেটে নিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের চার্জ, ডিমান্ড চার্জ, ভ্যাট ট্যাক্স, মিটার ভাড়া সহ আরো অন্যান্য আনুষঙ্গিক অনেকগুলো বিষয়। এতে করে আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরা অনেক ভোগান্তির মধ্যে পরছে। না এসব দেখার মত কেউ আছে, না কোথাও কমপ্লেন করলে কাজ হয়।
ঈদের যেহেতু খুব বেশি একটা সময় ছিল না তাই গতকাল এই টুকটাক বাজার করার চেষ্টা করেছি। প্রাথমিকভাবে বাসায় আনুষঙ্গিক যেসব বিষয়গুলো লাগে সেসব বিষয়ে একটি গালামালের দোকান থেকে কিনেছি। পরবর্তীতে কাঁচা বাজার এ গিয়েছি কাঁচাবাজারে গিয়েই তো অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। বেগুন প্রায় ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, পেয়াজ ৯০ টাকা, আলু ৬০ টাকা.......... এমন কোন সবজি নেই যে সবজির দাম ৫০ টাকার নিচে, সবকিছুর দামেই এত বৃদ্ধি দেখেই অনেকটা খারাপ লেগেছে।
এদিকে কিছুদিন আগে আম্মু একটি কথা বলেছিল যে, অনেকদিন থেকে ইলিশ মাছ খাওয়া হয় না এবং ইলিশ মাছের ডিম আমাদের সকলেরই অনেক প্রিয়। আম্মু অনেক খেতে ভালোবাসে। আম্মু সাধারণত অন্য কোন মাছ খায় না শুধুমাত্র ইলিশ মাছ এই ভালোভাবে খেতে পারে। ভাই পরবর্তীতে মাছের সেকশনে গেলাম এবং সেখানে গিয়ে মাছের দাম শুনেই তো অবাক হয়ে যাই কিন্তু তারপরও যেহেতু আম্মু খেতে চেয়েছিল যত দামেই হোক না কেন মাছ তো নিতেই হতো। একটি বিষয় বলে থাকি আমাদের বাসাটা বাজারের অনেক কাছাকাছি এবং বাজারটাও বেশ বড়সড়ো এবং এই বাজার থেকেই নীলফামারীর সব হাটে জিনিসপত্র যায়।
মাছের সেকশনে ঢোকার পরে বেশ কয়েক জায়গায় ইলিশ মাছ দেখতে পারি, প্রত্যেকটা দোকানে গিয়েই দামাদামি করলাম। তারা সাধারণত তিনটা ক্যাটাগরিতে মাছ বিক্রি করছে। একেবারে ছোট মাছ সেগুলো ১৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে, মাঝারি সাইজের যে মাছটি রয়েছে সেগুলো দুই হাজার টাকা কেজি এবং একদম বড় সাইজের মাছ যেগুলো ২ কেজি উপরে সেগুলো ৩০০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে। তবে মাছগুলো অনেক টাটকা ছিল। সেখানে কোন সন্দেহ ছিল না এবং একটি পরিচিত দোকান থেকেই নিয়েছি। সাধারণত আমি মাছ খুব একটা বেশি কিনতে পারি না, যখন হোস্টেলে ছিলাম তখন মাঝে মাঝে মাছ কিনতাম।
তারপরও মাঝারি সাইজের একটি মাছ ভালো হবে দেখে নিয়েছি। সেখানেই কেটে নিয়ে এসেছিলাম এবং সেখান থেকেই দুটো বড় বড় ডিমও পেয়েছি। মাছের ডিম যেহেতু অনেক প্রিয় তাই ডিমওয়ালা মাছ দেখেই নিয়েছে। সব মিলিয়ে বাজার করতে গিয়ে বাজারের মধ্যে যেরকম আগুন লেগেছে এতো করে খুব বেশি একটা কেনাকাটা করতে পারিনি। তারপরও যতটুকু পেরেছি করার চেষ্টা করেছি। দেখি আজ আবারও একটু বেরোতে হবে বাজারের দিকে। আজকের মত এখানে শেষ করছি, সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ.
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: বাজারে আগুন
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
এটা ঠিক বলেছেন বাজারের সবকিছুতেই আগুন।আগে থেকেই দাম বাড়তি।আর আজ দুই দিন ধরে ঈদের কারনে সবকিছুর দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৪০/৫০ টাকার কোন সবজিই বাজারে নেই।কিছুদিন আগে শসা ৬০ টাকা কেজি এনেছিলাম।আর আজ দেশী শসা এনেছি ১১০ টাকা কেজি। কি করবো বলেন খেতে তো হবে।আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য খুবই কষ্টকর বেঁচে থাকাটা।আপনি আপনার মায়ের পছন্দের ইলিশ মাছ নিলেন।ইলিশ মাছ সবাই ভীষণ পছন্দ করে।জাতীয় মাছ বলে কথা।ইলিশ মাছের ডিম হয়েছিল। কারন ডিম দেখেই মাছ নিলেন আপনি আপনার মায়ের জন্য।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
সেদিন বাজার করতে গিয়ে মেজাজটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল সব কিছুর এত দাম শুনে অবস্থায় খারাপ।
যখনই কোন উৎসব শুরু হয় তখনই বাজারে দ্রব্যমূলের দাম অনেক বেড়ে যায় মনে হয় যেন সব কিছুতেই আগুন লেগেছে। তবে এত টাকা দিয়ে ইলিশ মাছ কেনার পর ডিম পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। মাছের ডিম খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে ভাইয়া।
এসব আসলে সাধারণ মানুষদের জন্য অনেকটাই প্রেসার হয়ে যায়। এত এত জিনিসের দাম বাড়ছে কিন্তু কোন জিনিসেরই দাম কমছে না।
বাজারে জিনিসপত্রের যা দাম তা বাজারে আগুন লাগার সামিল। বর্তমান বাজারদর নিয়ে খুব সুন্দর পোস্ট দিয়েছেন ভাইয়া। আপনি ঠিকেই বলেছেন, ৫০ টাকার নীচে কোন সবজি নেই। আজ কাঁচামরিচ কিনতে যেয়ে দাম শুনে অবাক হয়েছি, হাফ কেজি কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা!! কি আর করা। এই নিয়েই আমাদের চলতে হবে। বাজারদর নিয়ে পোস্টটি করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সাধারণ মানুষের বেতন দিন দিন বৃদ্ধি পায় না কিন্তু দিন দিন এই সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে।
পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনাদের ওদিকে দ্রব্যের বেশ ভালই দাম। আমাদের এদিকেও দ্রব্যের বেশ ভালোই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি বাজারে যাই না তবে বুঝতে পারি বিষয় গুলো। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাংলাদেশের সব জায়গায় জিনিসের দাম অনেক বেশি ভাই।
এই বিদ্যুৎ মিটার গুলো যে মাসে মাসে কত টাকা কেটে নিয়ে যায়। কিছু কিছু চার্জ মাসে যতবারই ঢুকানো হোক না কেন ততবারই কেটে নিয়ে যায়। এইজন্য একসাথে বেশি টাকা ঢুকানো টাই ভালো। কাঁচা বাজারের সব কিছুরই দাম অনেক বেশি। কাঁচা মরিচের কেজি নাকি ৪০০ টাকা। বর্তমান সময়ের সবকিছুই ঊর্ধ্বমুখী।
আমরা মনে হয় বর্তমানে এমন একটা জায়গায় বসবাস করছি যেখানে নিজের ইনকামের প্রায় সবটুকুই সরকার নিয়ে যাচ্ছে, এসব বলতে গেলেই গুম হয়ে যাবো।
ভাইয়া আপনার আম্মু ইলিশ মাছ খেতে চেয়েছিলেন আর আপনি আপনার আম্মুর পছন্দের ইলিশ মাছ কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো। তবে এটা ঠিক ভাইয়া বর্তমানে সবকিছুর দাম অনেক বেড়ে গেছে। বাজারে গেলেই আসলে দ্রব্যমূলের এই উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যায়। কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম অনেক বেশি বর্তমানে।
এমনিতেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেশি। আর ঈদের আগে তো দাম আরও বেড়ে যায়। আমি তো প্রায় প্রতি সপ্তাহে বাজারে যাই,তাই দ্রব্যমূল্যের দাম সম্পর্কে বেশ ভালোই ধারণা রয়েছে। যাইহোক বাজারে গিয়ে মাছ এবং সবজি কিনেছেন, দেখে খুব লাগলো ভাই। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। আসলে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধগতি তার জন্য বাজারে গেলে মাথা এমনিতেই গরম হয়ে যায়। প্রতিটি দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশচুম্বি। সিন্ডিকেটের ব্যবসায়ীরা প্রতিটা দ্রব্যের দামই বাড়িয়ে দেয়। অবাক হলাম তিন ক্যাটাগরির ইলিশের বিষয়টি জেনে। একদম ছোট ক্যাটাগরির ইলিশটির কেজি ১৬০০ টাকা, সত্যিই আশ্চর্যজনক। মাঝারি ইলিশের কেজি ২০০০ টাকা, এবং সবচেয়ে বড়টি ৩০০০ টাকা কেজি। যা মধ্যবিত্তদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে একটি পোস্ট লিখার জন্য।
বাংলাদেশের অবস্থা টা এমন যখন কোন পণ্যের দাম বাড়ানোর কথা বলে সঙ্গে সঙ্গে সেটার দাম বেড়ে যায় কিন্তু যখন কোন পণ্যের দাম কমানোর কথা বলা হয় তখন গিয়ে তারা বলে সেই পণ্য এখনও আমরা পাইনি হা হা হা। এই তো অবস্থা ভাই। গতকাল আমি গিয়েছিলাম বাজারে অবস্থা টা খুব ভালোভাবে জানি। সেজন্য এটা নিয়ে আর বেশি কিছু বলতে চাই না।