জানা-অজানা মহাবিশ্ব || সৌরজগৎ

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই হয়তো জেনে থাকবেন মাঝেমধ্যেই আমি মহাবিশ্বের বিভিন্ন ধরনের তথ্য নিয়ে ব্লগ লেখার চেষ্টা করি। তবে বেশ কিছুদিন যাবত এই সুযোগটা হয়ে ওঠেনি। যেহেতু আজ অনেকটাই সুযোগ রয়েছে তাই চিন্তা করলাম আমাদের এই সোলার সিস্টেম বা সৌরজগৎ বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আমাদের এই মহাবিশ্বের সূচনা হয় বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে। বৈজ্ঞানিক এর মতে আমাদের মহাবিশ্বে প্রথমে কিছুই ছিল না, একদম অনু থেকে পরমাণু ক্ষুদ্র কোন বস্তু আমাদের এই মহাবিশ্বে ছিলো না। এরপরেই হঠাৎ করে একটি বিস্ফোরণ ঘটে কিভাবে বা কেন বা কিভাবে এই বিষয়টা ঘটে সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে যতগুলো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে তার মধ্যে বিগ ব্যাং এর থিওরি সবথেকে বেশি প্রাধান্য পায়, তাই এই বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

বিগ ব্যাং সংগঠিত হওয়ার পরই মূলত হিলিয়াম এবং হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয় এবং সেই গ্যাস গুলো এত দ্রুত পুরো মহাবিশেষ ছড়িয়ে পড়ে যা আলোর গতির থেকেও কয়েকশো কোটি গুণ বেশি গতিতে হয়েছিল। যার এখনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এবং প্রমাণ নেওয়া বাকি রয়েছে, তবে বিভিন্ন থিওরি অনুযায়ী এই বিষয়টা ঠিক বিবেচনা করা হয়। বিগ ব্যাং আজ থেকে কত বছর আগে সংগঠিত হয়েছে এ নিয়ে অনেকগুলো মতবাদ রয়েছে এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন ধরনের তারিখ এবং বয়স নির্ধারণ করেছে। তবে আমরা এভারেজ ১৪ বিলিয়ন বছর ধরে নেই। কিন্তু আমাদের এই সোলার সিস্টেম কিংবা সৌরজগতের বয়স কিন্তু ৪.৫ বিলিয়ন বছর।

কিভাবে একটি সূর্য তৈরি হয় কিংবা কিভাবে একটি নতুন সোলার সিস্টেম তৈরি হয় সেই বিষয়ে জানতে ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। তাহলে পরবর্তীতে সেই বিষয় নিয়ে একটি আলাদা ব্লগ লেখার চেষ্টা করব। সাধারণত নেবুলার মধ্যে থেকেই বিভিন্ন ধরনের সূর্য কিংবা সোলার সিস্টেমের উৎপন্ন হয়। যখন মহাকাশের ধুলোবালি একত্রিত হয়ে নিজস্ব একটি মাধ্যাকর্ষণ শক্তি তৈরি করে এবং সেখানে থেকেই একটি সূর্য কিংবা পুরো সোলার সিস্টেম তৈরি হতেও বেশ কয়েক বিলিয়ন বছর সময় লেগে যায়।

Source

আপনারা জেনে অবাক হবেন, আমাদের সম্পূর্ণ সৌরজগতের যত বস্তু রয়েছে সবার ভর যদি আমরা একত্রে করি এবং সূর্যের পর যদি আমরা অন্যত্রে পরিমাপ করি তাহলে দেখা যাবে সূর্যের ভর প্রায় ৯৮% এরও বেশি এবং বাকি যত বস্তু গ্রহ, উপগ্রহ কিংবা এস্ট্ররয়েড বেল সবগুলোর ভর ২% এরও অনেক কম হবে। এ থেকেই আমরা বুঝতে পারি আমাদের এই সূর্য কত বড়। তবে আপনারা যেতে অবাক হবেন আমাদের সূর্য থেকেও কোটি কোটি গুণ বড় সূর্য রয়েছে। যেসব বিষয় আমি আস্তে আস্তে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব।

যখন সোলার সিস্টেম তৈরি হলো তখন কিন্তু সূর্যের তেজ অনেক বেশি ছিল। সাধারণত সূর্যের নিউক্লিয়ার ফ্রিকশন হয়। যেখানে হাইড্রোজেন থেকে হিলিয়ামে প্রতিনিয়ত কনভার্ট হয় এবং এটাকে একটি জলীয় দানব হিসেবেও আমরা আখ্যা দিতে পারি। সাধারণত এখন সূর্য মধ্যবয়সী যুবক এবং তার তেজ এখন আস্তে আস্তে বেড়েই চলেছে। সাধারণত যত সূর্যের বয়স বৃদ্ধি পাবে সেই সাথে সাথে সূর্যের তেজ ও বৃদ্ধি পাবে। এর আরো অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে সেগুলো আমরা পড়ে জানব। এখন আমরা আমাদের সোলার সিস্টেমের কিছু গ্রহ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।

যারা আমার বয়সী রয়েছেন কিংবা আমার থেকে একটু বেশি বয়স রয়েছে তারা আগে আমরা বইয়ে পড়তাম সৌরজগতে নয়টি গ্রহ ছিল কিন্তু এখন বইয়ে পড়ানো হয় সৌরজগতে আটটি গ্রহ আছে। তাহলে নয় নম্বর গ্রহটি কোথায় হারিয়ে গেল অর্থাৎ আমি প্লুটোর কথা বলছি। আসলে ২০০৭ সালে এই নতুন একটি আইন পাস করা হয়। সেই আইনের মধ্যে সে প্লুটোকে গ্রহ হিসাবে ধরা যায় না। তবে আরো অনেকগুলো বিষয় বস্তু রয়েছে আমাদের এই সৌরজগতের মধ্যে যেমন বামন গ্রহ হিসেবেও আমরা পাঁচটি বামন গ্রহকে চিনে থাকি। অর্থাৎ তাদের সাইজ এরকম না যে তারা নিজেকে গ্রহ হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। সাধারণত গ্রহ হতে গেলে তিনটি বিষয় আবশ্যক। আসলে সে নিয়মগুলো আমি বলতে পারছি না, যদি বলতাম তাহলে সেটা হয়তো কপিরাইট এর মধ্যেই পড়ে যেত। তবে এই বেসিক বিষয়টা জানিয়ে রাখলাম।

Source

আমাদের এই সৌরজগতে চারটি রকি প্লানেট রয়েছে এবং চারটি গ্যাসীয় প্ল্যানেট রয়েছে। রকি প্লানেট বলতে যেই গ্রহতে মাটি কিংবা পাথরের মত বিষয়বস্তু দ্বারা গঠিত সেই সব গ্রহকে আমরা রকি প্লানেট বলে থাকি যেসব গ্রহ শুধুমাত্র গ্যাস দিয়ে তৈরি এবং যে গ্রহের কোন নিজস্ব সারফেস নেই তাকে আমরা গ্যাসীয় গ্রহ বলে থাকি। বুধ, শুক্র, পৃথিবী এবং মঙ্গল হলো রকি প্লানেট এবং বৃহস্পতি, শনি, নেপচুন, ইউরেনাস এগুলো হচ্ছে গ্যাসীয় গ্রহ।

ছোটবেলা থেকে এই মহাকাশ নিয়ে যেসব বিষয়ে আমাদের শেখানো হয় তার বেশিরভাগই কিন্তু ভুল। কেন ভুল বললাম জানেন??? তার একটি ছোট্ট প্রমাণ দিয়েই আজকের আমার এই ব্লগটি শেষ করব। আমরা প্রত্যেকেই জানি আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্রে রয়েছে সূর্য এবং এই সূর্যকে ঘিরেই আমাদের এই সৌরজগতের সমস্ত বস্তু তাকে পরিক্রমা করছে। কিন্তু আমি যদি বলি এই বিষয়টি পুরোপুরি সঠিক নয়, তাহলে কি মেনে নেবেন!!

আসলে সূর্য এবং আমাদের সৌরজগতের সমস্ত বস্তু সাধারণত ব্যারি সেন্টারকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করছে। ব্যাররি সেন্টার কি এবং এটা কিভাবে কাজ করে সেটা আপনারা ইউটিউব কিংবা গুগলে সার্চ দিয়েও দেখতে পারেন। অথবা জানার ইচ্ছা থাকলে মন্তব্যে জানাতে পারেন। তাহলে সেই বিষয়ে আলাদা একটি ব্লগ লিখবো। আজকের মত এখানেই শেষ করছি, সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: জানা-অজানা মহাবিশ্ব || সৌরজগৎ

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......