ঈদ মোবারক
আজ ঈদের দিন তুলনামূলক অনেক ভালো গিয়েছে. গতকাল রাতেও তো আমার শরীরটা বেশ খারাপ ছিল। যাই খাচ্ছিলাম না কেন বমি হয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীদেরকে ঘুমিয়ে ছিলাম সকাল বেলা উঠে অনেকটাই সুস্থ লাগছিল। তারপরও আল্লাহর নাম নিয়ে ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য বেরিয়ে পরেছিলাম।
আজ ঘুম থেকে উঠতে অনেক লেট হয়ে গিয়েছে যার কারণে আমার আমাদের ঈদগাহ ময়দানে যেতে অনেকটাই বিলম্ব হয়েছে। যার কারণে সবার শেষের কাতারে নামাজ পড়তে হয়। এইদিকে গরম অন্যদিকে রোদের প্রকোপ সবমিলিয়ে অবস্থা একদম নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল। তারপরও আমার মাথা ঘুরছিল প্রচুর। কোনমতে দুই রাকাত নামাজ পড়ে কবরস্থানের দিকে যেতে শুরু করলাম।প্রতিবারই ঈদের নামাজ পড়ে আমার দাদু দাদি এবং নানুর কবর জিয়ারত করি এবং প্রতিবারেই জিয়ারত শেষে তবেই বাড়ি ফিরি। এটা আসলে আর ঈদের দিনে খুশির দিনেরর একটি অংশ। এই খুশির দিনে কাছের মানুষ যখন কাছে থাকে না তখন সত্যি অনেক কষ্ট হয়।
বাসায় তখন বাহারি ধরনের রান্না চলছে। এত সুন্দর সুন্দর রান্না এবং সুন্দর সুন্দর খাবার সব কিছুই খেতে ইচ্ছে করছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় কোনকিছুই খুব একটা বেশি খেতে পারছি না খেলেই বমি হয়ে যাচ্ছে তারপরও একটু সেমাই খেয়ে শুয়ে পড়ি। পরবর্তীতে দুপুর বেলা ঘুম থেকে উঠে আমার দুই মামার বাসায় যাই পরবর্তীতে সেখান থেকে বের হয়ে আবার আন্টি এবং বড় মামার বাসায় যাই। প্রতিবারই তাদের বাসায় যাওয়া হয় যদিও তাদের ববাসা গুলো অনেক কাছাকাছি কারণ। আমার নানু বাসা নীলফামারী সদর এই অবস্থিত। যার কারণে যেতে রিকশাও লাগেনা হেঁটে হেঁটে যাওয়া যায় যদিও। তাদের বাসায় যাওয়া আসা হয় খোঁজখবর নেওয়া হয় তবে ঈদ স্পেশাল ভাবে যাওয়া যায়। এটাই হচ্ছে মনের আনন্দ। এ ছাড়াও অনেক ছোট ছোট মামা ভাগ্নে রয়েছে যার কারণে আরও যেতে ইচ্ছে করে। তাদের হাতে সালামি তুলে দিলাম, তাদের মুখে হাসি সে কোনভাবেই প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
আমার এক চাচা, আমাদের পাশের বাসায় তাদের অবস্থান তারা দুপুরে দাওয়াত দিয়েছিল। যদিও বাসায় বেশ ধরনের রান্না হয়েছে। তারপরও তাদের বাসায় গিয়ে দুপুরে দাওয়াত খেয়ে আসলাম এবং কালকে তাদেরকে দাওয়াত দিয়ে আসলাম। এই ছিল মোটামুটি ঈদের আনন্দ।। তারপরে খাওয়া-দাওয়া করে এসে শুয়ে পড়েছি আর কোন উপায় নেই। কারণ যেসব ওষুধ গুলো দেয় এই ওষুধগুলো অনেকটা ঘুমের মতো কাজ করে খেলেই মনে হয় ঘুমের ঝুলছি।
পরবর্তীতে সন্ধ্যার সময় ঘুম থেকে উঠে আম্মু বলল একটু ঘুরে আসতে কিন্তু মাথাটা এত ঘুরছিল একটু দাঁড়াতে পারছি না। তারপরও আম্মুর কথার উপর ভিত্তি করেই একটি রিকশা নিয়ে আমাদের বড় মাঠের দিকে গেলাম এবং বড় মাঠের কিছু দৃশ্য উপভোগ করলাম। যদিও বসার মতো কোন জায়গা ছিল না চারিদিকে মানুষের ঢল নেমেছে। সবাই ঈদ উদযাপন করছে। পরবর্তীতে সেখান থেকে কিছু ছবি তুলে আমি আবার বাসার দিকে রওনা দেই। কারণ বেশিক্ষণ বাইরে থাকতে পারছিনা মাত্রা অতিরিক্ত মাথা ঘুরছিল তাই এ আধা ঘন্টার মত থেকে আমি সেখান থেকে চলে আসি। এই ছিল আমার ঈদ এবং বাসায় এসে তো এই পোষ্ট লিখতে বসে পড়লাম।
এই ছিল আমার ঈদের দিন। আসা করছি আপনারাও এই ঈদ অনেক ভালোভাবে কাজে আছেন ভালো দলের কাছে অশেষ রহমতে এখন একটু সুস্থ বোধ করছি। ধন্যবাদ ও ঈদ মোবারক।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: ঈদ মোবারক
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
ঈদ মোবারক সিয়াম ভাই। হয়তো একটু অসুস্থ থাকার কারণে এই ঈদের আনন্দটা পুরোপুরি উপভোগ করতে পারেননি তারপরেও যতটুকুই ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পেরেছেন সেটা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। দোয়া করি যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যান ভাইয়া।
ঈদের দিনেও যখন শরীর অসুস্থ থাকে তখন সত্যি অনেক খারাপ লাগে। তবে আগের তুলনায় এখন অনেকটা ভালো আছেন বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু খাবার খেতে পারলে হয়তো আরো তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যেতেন। যেহেতু বমি হচ্ছে তাই তো শরীর ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়ছে। যাইহোক ভাইয়া ভালো মন্দ মিলিয়ে ঈদ উজ্জাপন করেছেন জেনে ভালো লাগলো। ঈদ মোবারক ভাইয়া।
ভাইয়া প্রথমে আমি আপনার সার্বিক সুস্থতা কামনা করি। আসলে ভাইয়া এরকম অসুস্থ থাকলে সহজে খাবার খাওয়া যায় না। আবার একটু জোর করে খাবার খেতে গেলেই বমি বমি ভাব চলে আসে। ভাইয়া আপনার যখন অতিরিক্ত মাথা ঘুরবে তখন আপনি বাসার বাইরে যাবেন না। যাক ভাইয়া, আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যাতে আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন। ভাইয়া, আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।
ঈদের দিন সকালে নামাজ পড়ে মজার মজার খাবার খাওয়া। আত্মীয় স্বজনের বাসায় গিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া। ছোটদেরকে ঈদ সালামি দেওয়া। ঈদের দিন বিকেলে আশেপাশে একটু হাঁটাহাটি করা। সবমিলিয়ে বেশ ভালো লাগে ঈদের দিনটা। আর সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তবে আপনি ঈদের দিনও কিছুটা অসুস্থ ছিলেন বিধায় হয়তো তেমন উপভোগ করতে পারেননি। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।