এই গরমে অসহণীয় জীবনযাত্রা
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব একটা বেশি ভালো নেই। কয়েকদিন ধরেই যা গরম পড়েছে এতে করে মনে হচ্ছে এই দেশে থাকাটাই মনে হয় ভুল হচ্ছে। যাই হোক এই গরমের জন্য কিছু ঠিকভাবে করতে পারছিনা। গত কয়েকদিন আগে বৃষ্টি হয়েছিল তখন তখন একটু শীতল পরিবেশ ছিল কিন্তু বর্তমানে গরমের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বর্তমানে এল নিনোর প্রভাব আমাদের এই পুরো বিশ্বে দেখা যাচ্ছে। কিছু কিছু দেশের তীব্র খরা এবং রোদ উঠছে, যেখানে শস্য উৎপাদন করা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে। আবার পৃথিবীর কিছু কিছু প্রান্তে ভারী বর্ষণ এবং বন্যার মত প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসছে। এই সব কিছুই মূলত মানব সৃষ্ট কারণে হচ্ছে আবার প্রাকৃতিক কিছু কারণ ও রয়েছে। আর যাই হোক না কেন ভোগান্তি কিন্তু আমাদের সাধারণ মানুষের এই হচ্ছে। যাদের ঘরে এয়ারকন্ডিশনার নেই তারা বেশি ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারছে না। যারা অফিসে থাকেন অফিস থেকে বের হলেই আরো একটা যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।
কত দুদিন আগে নীলফামারী থেকে ঢাকায় এসেছি নীলফামারীতে তখন এত গরম পরছিল না। এছাড়াও নিজের রুমে থাকাতে গরম খুব একটা বেশি বোঝা যায়নি কিন্তু ঢাকায় অসহনীয় গরম। এই গরমে আবার বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে হঠাৎ করেই ঠান্ডা জ্বর কাশির মত বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে। এমতাবস্থায় অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে, কোনভাবেই অবহেলা করা যাবে না।।
আশা করা যায় আগামী সপ্তাহ থেকে আবার বৃষ্টি নামবে এবং আশেপাশের পরিবেশ আবার শীতল হয়ে যাবে। তবে এমত অবস্থায় যদি জরুরি করো কাজ না থাকে তাহলে বাসা থেকে বের হওয়াটা ঠিক হবে না। কারণ বর্তমানে প্রচুর হিট স্ট্রোকের কারণে মানুষ মারা যাচ্ছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে একটি বড় গাছ তিন জন মানুষের অক্সিজেন সর্বরাহ করতে পারে। তাহলে আপনার অংশের গাছ কোথায়? সেটা আপনাকেই চিন্তা করতে হবে। আশেপাশে যে সব ফাঁকা জায়গায় রয়েছে সেগুলোতে একটি করে হলেও গাছ লাগানোর চেষ্টা করবেন। তাছাড়া আমাদের এই মানব সভ্যতার টিকে থাকাটাই অনেকটা মুশকিল হয়ে যাবে।
গাছ লাগানোর কথা সবাই বলে কিন্তু গাছ লাগানোর পরেও আমাদের কিছু কর্তব্য রয়েছে। যেমন গাছের পরিচর্যা করা, ঠিকমতো গাছে পানি দেওয়া। এই বিষয়গুলো আমাদের সকলকেই মেনে চলতে হবে। তাহলেই হয়তো এই গরমের প্রভাব কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব তা না হলে একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলেছেন ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে গরমে তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পাবে।
এই গরমে চেষ্টা করবেন প্রতিনিয়ত স্যালাইন খাওয়ার জন্য, এছাড়াও লেবু পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। মাত্রা অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি খেতে যাবেন না। এতে করে আপনার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে এবং এমতাবস্থায় যদি ঠান্ডা লাগে তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ বর্তমানে আশেপাশের পরিবেশ ভালো নেই। যে কোন সময় যে কোন রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এই বিষয়গুলো আমাদের সকলকেই একটু গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।
বর্তমানে ঢাকায় যারা অবস্থানরত করেছেন তাদের অবস্থা গুলো আমি বুঝতে পারছি। ঢাকার আশেপাশের মানুষেরও ঠিক একই রকমের সমস্যা হচ্ছে। অফিসে যাওয়া , অফিস থেকে আসা এবং রাস্তার মধ্যে যে জ্যাম, এই গড়মে অসমীয় হয়ে যায়। যাইহোক নিজের প্রতি যত্ন নেবেন, নিজের পরিবারের প্রতি যত্ন নেবেন, আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: এই গরমে অসহণীয় জীবনযাত্রা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
গরমের কথা কি আর বলবো ভাইয়া সবার অবস্থা খুবই খারাপ। অসুস্থতা লেগেই আছে। তবে এই গরমে টিকে থাকার জন্য বেশি করে স্যালাইন খাওয়া অনেক বেশি দরকারি। আর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য এবং নিজেদের বাঁচার মতো একটি পরিবেশ তৈরি করার জন্য বেশি বেশি করে গাছ লাগানো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক তবুও প্রত্যাশা করি সবাই যেন একটু ভালো থাকতে পারি।
ঠিক বলেছেন আপু, এখন যে রকমের গরম পড়েছে এতে করে জীবন যাপন করাটাই অনেকটাই দুষ্কর বিষয় হয়ে উঠেছে।
গরম আবার নতুন করে পরতে শুরু করেছে।এই গরমে কাজ ছাড়া বাইরে না যাওয়াই ভালো। একটি বড় গাছ তিন জন মানুষের অক্সিজেন সরবরাহ করে বললেন।তবে ঢাকায় তো এতো পরিমান গাছ নেই।আমাদের কে শুধু গাছ লাগালেই হবে না।এর পরিচর্যা করে বড় করে তুলতে হবে নিজেদের স্বার্থেই।তবে আমাদের মঙ্গল হবে।সবাইকে খুব বেশী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এই গরমে।আশা করা যায় আগামী সপ্তাহে আবার বৃষ্টি হবে আর পৃথিবী কে শীতল করে দিয়ে যাবে।
ঠিক বলেছেন আপু, আমাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে যদি আমরা এই পৃথিবীতে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করি অর্থাৎ গাছ লাগাই তাহলেই হয়তো এই পৃথিবী আবার আগের মত হয়ে যাবে।
আসলেই ভাই দিনদিন যেভাবে গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে করে বাংলাদেশে থাকাটা মুশকিল হয়ে গিয়েছে। কোনো দরকারে বাহিরে গেলে শরীর ঘেমে অবস্থা একেবারেই খারাপ হয়ে যায়। এই গরমে সুস্থ থাকতে হলে নিজের বাড়তি যত্নের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের যে কি অবস্থা হবে সেটাই ভাবছি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে সবার উচিত অন্ততপক্ষে ২/১ টি করে গাছ লাগানো এবং গাছের পরিচর্যা করা। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রুমের মধ্যেও প্রচন্ড রকমের গরম আর রুমের বাহিরে গেলে তো কোন কথাই নেই। দশ মিনিটের জন্য বাহিরে গেলেও মনে হয় ঘামে গোসল করে ফেলেছি, এমন একটা অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে।