আম্মুর জন্মদিন উপলক্ষে নিউ মার্কেটে শপিং || [10% ʙᴇɴᴇғɪᴄɪᴀʀɪᴇs ғᴏʀ @sʜʏ-ғᴏx🦊]
আম্মুকে নিয়ে যত কথা বলি ততোই কম হবে। মায়ের ঋণ কখনো শোধ করা যায় না, সেটা আমরা সকলেই জানি কিন্তু মায়ের একটি বিশেষ দিনে ছেলে হিসেবে কিছু হলেও গিফট দেওয়া যায়। সেই সুবাদেই আমি গতকাল বিকেলে নিউ মার্কেটে গিয়েছিলাম। আগামী ১৮ তারিখ আম্মুর জন্মদিন উপলক্ষে কিছু ড্রেস গিফট করার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম। কাল থেকে খুব বেশি গরম পরেছে। মোহাম্মদপুর থেকে নিউ মার্কেট যেতে অনেক সময় লেগেছিল। গতকাল ছিল রবিবার, রবিবারে ঢাকায় তুলনামূলক অনেক বেশি জ্যম থাকে এবং যে পরিমাণ গরম পড়েছে নিউ মার্কেট যেতে যেতেই আমার অবস্থা একদম খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
মেয়েদের ড্রেস আমি কখনো কিনি নি এবং মেয়েদেরকে কথনও গিফট করার প্রয়োজন পরেনি কিন্তু মাঝে মাঝে আম্মুর জন্য জামা কিনতাম এবং গিফট করতাম সেই সুবাদে টুকটাক কেনাকাটা করা হতো কিন্তু তারপরও আমি এখানে মেয়েদের জন্য কোন কিছু কিনতে গেলেই ঠকে যাই। যে জিনিসের দাম ১০০০ টাকা সেই জিনিসটা ১৫০০ টাকায় কিনে বাসায় ফিরতাম. সেজন্য বাসায় অনেক কথা শুনতে হয়।তাই এবার খুব তাড়াতাড়ি গিয়ে আম্মকে ভিডিও কল দেই এবং আম্মুকে বিভিন্ন ধরনের ড্রেস দেখিয়ে আম্মুর পছন্দের দুটি ড্রেস কিনে ফেলি।
গতকাল একটি মজার ঘটনা ঘটেছিল, যেই মার্কেটে গিয়েছিলাম সেখানে প্রায় সবগুলো দোকান গুলোতে মেয়েদের ড্রেস বিক্রি হয় এবং সেখানে মনে হয়না দোকানদাররা ছাড়া অন্য কোন ছেলে ছিল, শুধুমাত্র ঐ শপিংমলে আমি মনে হয় একজন ছেলে ছিলাম যে মেয়েদের ড্রেস কিনতে সেই শপিংমলে ঢুকেছি। বিষয়টা আমার কাছে অনেক লজ্জাজনক লেগেছিল এবং যখন আমি জামা গুলো দেখছিলাম তখন কয়েকটা মেয়ে আমার দিকে অন্যভাবে তাকিয়ে ছিল যা আমার কাছে ভীষণ লজ্জা দায়ক একটি বিষয় ছিল। তারপরও আমি খুব তাড়াতাড়ি সেখান থেকে ড্রেসগুলো কিনেছি এই মার্কেট থেকে বেরিয়ে পরি। পরবর্তীতে সেই ড্রেসগুলো সাথে কালার ম্যচিং করে আম্মুর জন্য তিনটা ওড়না আমি কিনে ফেলি। সে সব করতে করতে দেখি মার্কেটে রেস্টুরেন্ট গুলো থেকে প্রচুর বিরিয়ানির গন্ধ আসছিল। আমি একটু পেটুক প্রকৃতির মানুষ তাই আমার সহ্য হয়নি।
এখানে একটি রেস্টুরেন্ট থেকে ঢুকে পড়লাম এবং সেখানে অনেক ধরনের বিরিয়ানি ছিল। তার মধ্যে একটি বিরিয়ানি অর্ডার করলাম। মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সেই বিরিয়ানি নিয়ে আমার সামনে চলে আসে। সেগুলো খেয়ে নিজেকে একটু স্বস্তি করে তারপরে আমি নিউ মার্কেট থেকে বেরিয়ে পরলাম। নিউমার্কেট থেকে বেরিয়ে বাসে ওঠার কোন ইচ্ছে ছিল না তখন একটি পাঠাও কল দিলাম। সে আমাকে শ্যামলী কুরিয়ার সার্ভিসে নিয়ে গেল। সেখান থেকে সরাসরি সেই ড্রেস গুলো আমি নীলফামারীতে পাঠিয়ে দেই।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: আম্মুর জন্মদিন উপলক্ষে নিউ মার্কেটে শপিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
এত কষ্ট করে জন্মদিনের গিফট পাঠানোর জন্য তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।সত্যিই জামা গুলো অনেক সুন্দর ছিল এবং আমার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে। যা বলার ভাষা নেই আমার মুখে।। এত অগ্রিম জন্মদিনের গিফট সর্বপ্রথম তোমার কাছ থেকেই পেলাম। এভাবে আস্তে আস্তে শপিং করার অভ্যেস হয়ে যাবে।অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা অফুরন্ত সেইসাথে আরো বেশি সমৃদ্ধিশালী হোক এই প্রত্যাশা করি সবসময় আল্লাহ যেন তোমাকে সবসময় হেফাজতে রাখুন আমিন।♥♥
অসংখ্য ধন্যবাদ, এভাবেই সারা জীবন পাশে থাকতে চাই।
আপনার আম্মুর জন্য আপনি জন্মদিনের উপহার স্বরূপ জামা-কাপড় কিনেছেন। এটা সত্যিই সাহসিকতা সম্পন্ন একটি কাজ। আমি যখন প্রথম প্রথম আমার মায়ের জন্য কিছু কিনতাম আমি অনেক বেশি ভয় থাকতাম আমার মা সিটি পছন্দ করবে কিনা কিন্তু সত্যিই আমি যাই কিনতাম না কেন আমার মা ভীষণ খুশি হতো। সত্যিই মায়েদের কাছে এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর নেই। আন্টির জন্য অগ্রিম জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল আর আমি মনে করি অবশ্যই আন্টি আপনার কাপড় গুলো অবশ্যই পছন্দ করবে। শুভ কামনা রইল দুজনের জন্য 💌
প্রতিবারেই গিফট দেওয়া হয় কিন্তু এবার আমি একটু দূরে আছি তাই আগেভাগেই কিনে পাঠিয়ে দিলাম আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।।
আপনি তবুও যে সাহস করে মেয়েদের জামাকাপড় কিনতে শপিং মলে ঢুকে গেলেন, সেটাই কম কিসে! সন্তান হিসেবে মায়ের জন্মদিন যেভাবে পালন করতে হয় সেটাই আপনি করছেন। হাতে আর মাত্র তিনদিন। ভালো ভাবে প্ল্যান করুন। দরকার হলে @saifulraju ভাইকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যান 😁।
হ্যাঁ ভাই ছোটখাটো একটি প্লান করে রেখেছি, দেখি কতটা কী করা যায়। আর সেদিন অনেক লজ্জা মুখে পরে গিয়েছিলাম। এতগুলো মেয়ের মাঝে শুধুমাত্র একটি মাত্র ছেলে আমি।
মা কে কিছু দেওয়ার আনন্দই আলাদা। আমার মাকে আমি বিভিন্ন জিনিস কিনে দেই এখনও। তবে জন্ম দিন ওভাবে পালন করা হয় না। আপনার অভিজ্ঞতা পড়তে পড়তে মাঝখানে হাসি পেল এটা পড়ে যে কিছু মেয়ে আপনার দিকে তাকিয়ে ছিল আর আপনি লজ্জা পাচ্ছিলেন। হা হা হা । দারুন একটি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলেন। ভাল লাগলো মায়ের জন্মদিনে কিছু উপহার কিনে দিয়েছেন দেখে । সারাজীবন মায়ের পাশে থাকবেন । ধন্যবাদ ভাই । শুভেচ্ছা রইল।
চেষ্টা করি ভাই আমি প্রতিবারই কিছু একটা করার জন্য সেই সুবাদেই শপিং করা।।
প্রথমে আন্টিকে শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আসলেই ঢাকায় অনেক জ্যাম থাকে। আসলে ভাইয়া মেয়েদের জিনিসের দাম গুলো বুঝা যায় না সত্যি বলতে। যাক মোটামুটি শপিং করে পাঠিয়ে দিলেন ভালোভাবে।
মেয়েদের একটা ছোট দুলের দাম যদি দুই তিন হাজার টাকা হয়ে যায়, সেটা কিভাবে হয় সেটা বুঝতে না পারা আমি।।। মেয়েদের জিনিসের দাম গুলো সত্যি বোঝা প্রায় অসম্ভব আমার কাছে।।
মাকে যদি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সামান্য কিছু ও দেয়া যায় তাহলে নিজের কাছে বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে আমিও আমার আম্মুর জন্মদিনে কিছু না কিছু গিফট করতাম ।কিন্তু এইবার আমি দূরে থাকার কারণে কিছু গিফট করতে পারিনি। এর জন্য আমি খুবই দুঃখ অনুভব করি ।তবে চেষ্টা করব এই সময়টা পূরন করে দেয়ার ।আপনার মায়ের প্রতি ভালোবাসা টাই যথেষ্ট ।খুব ভালো লাগলো ভাইয়া,ভালো থাকবেন।
মায়ের প্রতি ভালোবাসা আছে বলেই এত কিছু করা। আপনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।।।
মায়ের প্রতি ছেলের ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এমনই হওয়া উচিত মা ছেলের সম্পর্ক। আপনাদের মা ছেলের সম্পর্ক এভাবেই ভালোবাসায় ভরপুর থাক এই দোয়াই করি। আপনার মা আমাদের কমিউনিটির একজন গুনী কবি। তার জন্মদিনে একটা ছোটখাটো আয়োজন করলে খারাপ হবে ন। যাইহোক, ঠিক সময়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবো। ❣️❣️❣️✌️
সবসময় চেষ্টা করে মায়ের প্রতি সংবেদনশীল থাকার এবং মাকে সবসময় সুখে রাখার জন্য।। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।।।
মায়ের জন্মদিনে গিফট দেয়া আসলেই একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা। আমার এখনো এই অভিজ্ঞতা হয়নি। অনেক সময় অনেক পরিকল্পনা করি কিন্তু তা কখনোই বাস্তবে পরিণত করা হয় না। সত্যি বলতে কি আমরা সকলেই মাকে ভালোবাসি কিন্তু সে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ আমরা কখনই দেখাতে পারিনা। মাঝে মাঝে এই বহি প্রকাশ প্রয়োজন বলেই আমার মনে হয়। যাই হোক শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আমরা সবাই মা বাবাকে অনেক ভালোবাসি কিন্তু কখনোই সেভাবে প্রকাশ করা হয় না। সেটা সবারই মধ্যেই রয়েছে ভাই।।
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিকই বলেছেন, আমরা সবাই জানি মায়ের ঋণ শোধ করা যায়না। মায়ের একধার দুধের দাম
কাটিয়া গায়ের চাম, পাপোশ বানাইয়া তো রিণ শোধ হবে না। এমন দরদী ভবে কেউ হবেনা আমার মা। তবে আপনি যে মায়ের জন্য একটা গিফট করতে পারছেন এটা সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমাদের মাঝে এমন আছে হয়তো মায়ের জন্য আজ পর্যন্ত কিছু গিফট করা সম্ভব হয়নি। তাই বলব আপনি অনেক ভাগ্যবান। আর আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
আমি মাঝে মাঝে মাকে কিছু দেওয়ার চেষ্টা করি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী।।
বাহ্ ভালোই মার্কেট হলো দেখছি। তবে পছন্দ আছে আপনার বলতে হবে। কখনো কারো জন্যে কিছু কিনেন নি তা কিন্তু আপনার মার্কেট করা দেখে বুঝা যায় না ,হা হা , তবে আপনার পছন্দ ভালো ,,,এটা না দেখে বলতে পারি। অনেক দোয়া রইলো ভাইয়া আপনার আম্মুর জন্যে। আর এভাবেই নিজের মায়ের সকল চাওয়া পাওয়া পূরণ করে যান। ধন্যবাদ ভাইয়া।