চুপ থাকা একটি মহৎ গুণ [10% ʙᴇɴᴇғɪᴄɪᴀʀɪᴇs ғᴏʀ @sʜʏ-ғᴏx🦊]

আমরা কমবেশি সবাই বাচাল মানুষদের পছন্দ করি না। যারা মাত্রা অতিরিক্ত কথা বলে তাদেরকে আমরা মূলত বাচাল বলি। এদের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তারা কোনো কিছু না বুঝে না শুনে শুধুমাত্র নিজের বক্তব্য অন্যের সামনে পেশ করতে ব্যস্ত থাকে তার কারণে তাদেরকে বাচাল বলা হয়, তবে বাচালদের মাথায় কিছু না, তাদের মেধা টা অনেক কম থাকে। এটা আমার কথা নয় এটা বিজ্ঞানীদের কথা। আমরা মানুষেরা জিনগতভাবে এমন ভাবে তৈরি হয়েছি, আমাদের নিজের ভূলটা সহজে আমরা নিজেরাই বুঝতে পারি না। এর কারনে আমরা বুঝতে পারি না আমার সামনে থাকা ব্যক্তিটি আমার কথায় বোরিং হচ্ছে নাকি সে একজন ভালো শ্রোতা হিসেবে আমার কথাগুলো শুনছে।।

চুপ থাকা নিয়ে অনেক মনীষীরা এবং বিজ্ঞানীরা অনেক মতবাদ দিয়েছেন এবং আমাদের ইসলাম ধর্ম রয়েছে,

চুপ থাকা একটি পরিশ্রমহীন ইবাদাত।

মূলত যারা একটু কম কথা বলে তারা কিন্তু অনেক ভালো শ্রোতা হিসেবে নিজেকে বিকশিত করে এবং একজন ভালো শ্রোতা সব কথাগুলো খুব মনোযোগ সহকারে শুনে সেই বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করে তার মতবাদ প্রকাশ করে। মূলত এই জন্যই যারা চুপ থাকেন তারা জ্ঞানী হয়। যারা অনেক কম কথা বলেন তাদের একটা কথা একশত কথার সময় মূল্যের ভার বহন করে। মূলত এটাই হচ্ছে তাদের সফলতার মূল চাবিকাঠি। আপনাকে সফল হতে হলে অবশ্যই ভালো শ্রোতা হতে হবে এবং অন্যের সাথে কমিউনিকেশন ভালো রাখতে হবে।

একজন জ্ঞানী মানুষ বোঝেন কখন তাকে কথা বলতে হবে এবং কতটুকু কথা বলতে হবে। আবার যারা সব সময় যারা চুপ থাকেন এটাও একটি খারাপ লক্ষণ কারণ মাত্রা অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। কোন প্রয়োজনীয় বিষয় হলে অবশ্যই আপনাকে আপনার মূল্যবান বক্তব্য দিতে হবে এবং কোথাও অন্যায় হলে সেটির প্রতিবাদ করতে হবে, সেক্ষেত্রে চুপ থাকলে চলবে না। আমরা সবাই একটি কথা সাথে অনেক পরিচিত,

একটি মূর্খ মানুষ ততক্ষন প্রযন্ত জ্ঞানী থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত সে চুপ থাকে।

আশা করি বিষয়টি অনেক সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন। যারা একটু কম কথা বলে সমাজের কাছে তাদের গুরুত্ব একটু বেশি থাকে কারণ তারা জানে সেই মানুষটি প্রয়োজনের বেশি কথা বলে না কিন্তু যা কথা বলে সব উচিত কথা বলে। যারা বেশি কথা বলে তারা বুঝতেই পারেনা তার সামনের মানুষ তার থেকে বোরিং হচ্ছে এবং তার সামনে থাকা মানুষ ভদ্রতার খাতিরে সেটি উপস্থাপনা করতে পারে না। এক্ষেত্রে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি কি সত্যি বেশি কথা বলছেন??

যদি আপনি এই খুব বেশি কথা বলতে পছন্দ করেন তাহলে এই অভ্যাসটি আপনাকে আস্তে আস্তে পরিবর্তন করতে হবে। এই অভ্যাসটি পরিবর্তনের জন্য কয়েকটি পয়েন্ট আপনাকে খুব বেশি সহায়তা করবে। সেই পয়েন্টগুলো আমি সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করছি।

• আপনি কেন বেশি কথা বলেন? সেই বিষয়টা আপনাকে বুঝতে হবে। আসলে আমরা সবাই সারাদিনে কতটুকু কথাগুলি এবং কেন কথা বলি সেই বিষয়টা যদি আপনি একটু ভেবেচিন্তে দেখেন তাহলে আপনার কাছে মনে হবে আপনি সত্যি হয়তো একটু বেশি কথা বলেন। যদি আপনার কাছে মনে হয়, আপনি বেশি কথা বলেন তাহলে অবশ্যই এটা কে আস্তে আস্তে কমিয়ে দিতে হবে।

• অবশ্যই আপনাকে একজন ভালো শ্রোতা হতে হবে। শ্রোতাও হলে অবশ্যই আপনার ওপর মানুষের কথাগুলো আপনাকে বেশি শুনতে হবে এবং আপনি বেশি কথা বলার সুযোগ পাবেন না। এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আপনাকে পরিবর্তনেরর জন্য।

• গুরুত্বপূর্ণ কথা হল এই কথা বলুন। আমরা অনেকেই আছি গুরুত্বপূর্ণ কথা ছাড়াই অনেক ধরনের মন্তব্য করে থাকি সেগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে এবং কোন গুরুত্বপূর্ণ কথা থাকলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে কথা বলার অভ্যাস করতে হবে।

• সচেতন থেকে কথা বলতে হবে। আপনি কি কথা বলছেন, কার সাথে কথা বলছেন, কেন কথা বলছেন, কি ধরনের শব্দ ব্যবহার করছেন, এই সবকিছু আপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং কথা বলার সময় অবশ্যই আস্তে আস্তে এবং স্পষ্ট ভাবে কথাগুলো উপস্থাপন করতে হবে।

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: চুপ থাকা একটি মহৎ গুণ

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.........