বেশ কিছুদিন পর হাতিরঝিলে

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা। সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সকলেই অনেক ভালো রয়েছেন। এখন প্রতিনিয়তই ঢাকায় যেতে হচ্ছে এবং আমার এখান থেকে ঢাকায় যাতায়াত করাটা অনেকটাই কষ্ট কর একটু বিষয়। সপ্তাহে তিন চার বার যেতে হচ্ছে ঠিক। তেমনি একদিনে আর ঢাকায় থেকে ফেরার সময় হাতিরঝিল এলাকাটা চোখে পড়ে গেল। যদিও সেই এলাকায় আগের বছর ছিলাম। সেই এলাকায় একটা আলাদা মায়া কাজ করে। তাই চিন্তা করলাম বাসায় একটু পরে গেলেও চলবে, একটু হাতিরঝিলের পরিবেশটা উপভোগ করে যাই।

হাতিরঝিল সম্পর্কে অন্যরা কিভাবে সেটা খুব একটা বেশি জানেনা তবে আমি যদি আমার কথা বলি তাহলে আর ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র বললেও ভুল না। এই হাতিরঝিল এলাকাটা বিশাল জায়গা নিয়ে অবস্থিত। একদম ঢাকা শহরের মাঝ বরাবর এবং এই হাতিরঝিলকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে হাতিরঝিলের বিভিন্ন স্পটে এবং নৌকায় করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ট্রাভেল করার সুযোগ হচ্ছে। এই হাতিরঝিলের মধ্যে ঢাকা শহরে প্রতিনিয়তই যারা বাসে যাতায়াত করেন হাতিরঝিলে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত, তাদের জন্য কিন্তু একটু অস্থির জায়গা হচ্ছে এই নৌকার।

ব্যক্তিগতভাবে আমিও বহুবার এই নৌকায় যাতায়াত করেছিলাম। আমি যখন আগে খুব একাকিত্বের মধ্যে থাকতাম কিংবা কোন ধরনের সমস্যা গ্রাস করতো কিংবা ভালো লাগতো না তখন আমি এই হাতিরঝিলের নৌকায় করে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতাম আবার সেখান থেকেই আমি আমার গন্তব্যে ফিরে আসতাম। যেই জার্নিটা সত্যিই অসম্ভব সুন্দর। এছাড়াও হাতিরঝিলের চারিপাশে হাঁটাহাঁটি করার জন্য প্রচুর পরিমাণে জায়গা রয়েছে। বসে গল্প করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্লেস রয়েছে। হাতিরঝিলে বেড়াতে এসে আপনার যদি ক্ষুধা লেগে যায় সে ক্ষেত্রেও হাতিরঝিলের আশেপাশে প্রচুর পরিমাণে রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

রামপুরা ব্রিজ হয়ে হাতিরঝিলে প্রবেশ করলাম। হাতিরঝিলে প্রবেশ করার পরেই সেই জায়গাগুলোতে হাঁটতে শুরু করলাম। বেশ ভালোই লাগছিল। তবে সেদিন কিন্তু প্রচণ্ড গরম পড়ছিল। হাতিরঝিলের সেই স্থানগুলোতে প্রচুর পরিমাণে গাছ রয়েছে যার কারণে পরিবেশটা অন্যান্য জায়গায় তুলনায় বেশ ঠান্ডা ছিল। এছাড়াও হাতিরঝিলে প্রায় সব সময় বাতাস বইতে থাকে যদিও গরমের সময় মাঝে মাঝে গরম বাতাস থাকে তবে বেশিরভাগ সময়ে ঠান্ডা বাতাস অনুভব করা যায়।

বেশ খানিকটা হাঁটার পরে হাতিরঝিলেই বিভিন্ন ধরনের বসার জায়গা রয়েছে সেখানেই বসে পড়লাম এবং ঠান্ডা বাতাস এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুভব করতে থাকলাম। আসলে ঢাকার মধ্যে এরকম জায়গা পাওয়া খুবই দুষ্কর। যেখানে বেশি বেশি গাছপালা রয়েছে প্রাকৃতির সাথে সুন্দরভাবে মেশার একটা সুযোগ রয়েছে, এরকম জায়গা হাতে গোনা ঢাকা শহরে কয়েকটা রয়েছে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ বসার পরে বুঝতেই পারি নাই সময় কিভাবে এত দ্রুত অতিবাহিত হয়ে গেল। সময়টা বেশ ভালই উপভোগ করেছিলাম। ঠান্ডা বাতাস এবং আশেপাশে প্রচুর গাছপালা ছিল, সেই সাথে হাতিরঝিলের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করা সেই নৌকাগুলো দেখছিলাম, বেশ ভালো লাগছিলো।

একা একাই যে এভাবে ইনজয় করা যায় সেটা আসলে আগে জানা ছিল না। সেদিন অনেক চমৎকার একটি সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সন্ধ্যার ঠিক আগেই হাতিরঝিল থেকে বেরিয়ে আমি আবার বাসে করে আমার গন্তব্যের দিকে যেতে শুরু করলাম। হাতিরঝিলের জায়গাটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আপনারা কি কখনো হাতিরঝিল যে এভাবে করে সময় অতিবাহিত করেছেন? যদি করে থাকেন তাহলে অবশ্যই মন্তব্যে জানাতে পারেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি, সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: বেশ কিছুদিন পর হাতিরঝিলে

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......