নীলফামারী টু ঢাকা
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। তবে আজকের দিনে প্রচুর ব্যস্ততম সময় কেটেছে। গতকাল রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা গিয়েছিলাম নীলফামারী হতে কিন্তু ঢাকায় আসতেই অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল এতটা জ্যাম ছিল যদিও বাসের মধ্যে বুঝতে পারেনি তবে সময় অনেক লেগেছে।
এইতো সপ্তাহে দুই এক আগে নীলফামারী গিয়েছিলাম ব্যক্তিগত কিছু কাজে যদিও তখন পরীক্ষা চলছিল পরীক্ষাটি অনলাইনে ছিল বিধায় এক সপ্তাহ আগেই আমি নীলফামারীতে চলে যাই এবং সেখানে থাকাকালীন অবস্থা এম পারিবারিক কিছু কাজ ছিল সেগুলোও সেরে ফেলি এবং আমার এক্সামটাও দিয়ে দেই। যদিও বাসায় এখনো প্রচুর কাজ বাকি আছে তবে এই দিকে আমার ভার্সিটির ক্লাস শুরু হয়েছে তাই তাড়াহুড়ো করেই আমি নীলফামারী থেকে ঢাকায় চলে এসেছি।
নীলফামারীতে নতুন একটি বাস চালু হয়েছে যেটা আসলে স্লিপার কোচ। নীলফামারীতে স্লিপার কোচ আগে ছিল না। আমি সাধারণত ট্রেনেই যাতায়াত করি তবে আম্মু বলল এবার স্লিপার কোচ ঢাকায় যেতে তাই আম্মুর কথা মতো স্লিপার ঢাকায় এসেছি। তবে বাসটি এক কথায় অসাধারণ ছিল এবং বাসের ভিতর থাকলে বুঝতেই পারা যায় না বাসটি চলছে কিনা। একদম কমফোর্ট ভাবেই ঢাকায় এসেছি। তবে ব্যক্তিগত কিছু টেনশনের কারণে রাতে ঠিকভাবে ঘুমাতে পারেনি এবং সকালবেলা সকাল দশটার সময় আমাকে নামিয়ে দিয়েছিল ঢাকার গাবতলীতে। এই দিকে ঢাকায়ও আমার বেশ কিছু কাজ ছিল সেগুলো করতে করতে বিকেল হয়ে যায়।
আজ কোন এক অজ্ঞাত কারণে ঢাকায় মেট্রো রেল বন্ধ ছিল যার কারণে ঢাকার রাস্তাঘাটে প্রচুর যানজট দেখা দেয়। বিকেল বেলা ঢাকা থেকে রওনা দিলেও আমি বাসায় এসে পৌঁছেছি রাত আটটা 30 মিনিট। প্রায় ৪ ঘণ্টার মতো এই ঢাকার জ্যামে বসে ছিলাম। যদিও গতকাল রাতে ভালোই জার্নি করে এসেছি। এরপরে এতটা ক্লান্ত লাগছিল যা বলে বোঝাতে পারবো না। এরপর আবার কমিউনিটির কিছু কাজ ছিল তাই সেটা ঢাকার মধ্যে কোন একটা জায়গায় বসেই করার চেষ্টা করেছিলাম। পরবর্তীতে বাসায় এসে ইচ্ছে করছিল না আর কোন কিছু করতে তারপরও। কোন ভাবে ফ্রেশ হয়ে রুমটাকে গুছিয়ে নিলাম পরবর্তীতে যে নাস্তা নিয়ে এসেছিলাম সেটাই ডিনার হিসাবে করে নিয়ে এখন পোস্ট লিখতে বসেছি।
তবে আজ ভালোই গরম পড়েছিল ঢাকা শহরে। এতটাই গরম যার সহ্য করার মতো নয়। তারপরও আলহামদুলিল্লাহ ঠিক ভাবেই বাসায় পৌঁছাতে পেরেছি এর জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছে সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: নীলফামারী টু ঢাকা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
আপনার পোস্ট টা দেখার পরে আমার মনে সর্বপ্রথম এই কথাটাই এসেছে আগে তো আপনি ট্রেনে যাতায়াত করতেন তাহলে হঠাৎ বাস কেন। এক্ষেত্রে নতুন কীভাবে ট্রাই করে দেখা ভালো।
ঠিক বলেছেন, ট্রেন জার্নি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। যেহেতু স্লিপার কোচ শুরু হয়েছে তাই সেখানে একটু ট্রাই করে দেখলাম।
স্লিপার কোচ সার্ভিস চালু হয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাই। আমাদের এদিকে অবশ্য এই সার্ভিস এখনো চালু হয়নি। এটা ঠিক ভাই কয়েকদিনের তুলনায় আবারো গরম শুরু হয়ে গেছে। অনেক গরম পড়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আস্তে আস্তে বাংলাদেশের সব জায়গায় স্লিপার কোচ চালু হচ্ছে, আশা করা যায় খুব দ্রুত আপনাদের এলাকাতেও চালু হয়ে যাবে।
প্রিয় শহর নীলফামারী থেকে আবারো ঢাকায় চলে গেলেন শুনে একটু মন খারাপ হচ্ছে ভাইয়া। বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর অনেক খারাপ লাগে। প্রিয় মানুষ, প্রিয় শহর সবকিছু ছেড়ে যাওয়া সত্যিই অনেক কষ্টের।
সেটাই, নিজের পরিবারের থেকে দূরে থাকাটা অনেকটা কষ্টকর একটি বিষয়।
স্লিপার কোচে চড়ে লং জার্নি করলে জার্নি একেবারেই মনে হয় না। মনে হয় যে বাসার খাটে শুয়ে আছি হা হা হা। যাইহোক ঠিকমতো ঢাকা পৌঁছে গিয়েছেন,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। তবে ঢাকায় প্রচন্ড গরম পড়েছে। আমি আজকে ঢাকার কতো জায়গায় যে গেলাম এই গরমের মধ্যে। প্রথমে বাড়িধারা,তারপর নতুন বাজার এবং এরপর উত্তরা। তারপর উত্তরা থেকে মেট্রোরেলে চড়ে মতিঝিল চলে এসেছি। সবমিলিয়ে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে। যাইহোক আপনার দুশ্চিন্তা দূর হোক,সেই কামনা করছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।
হ্যাঁ এবারের জার্নিটাও বেশ আরামদায়ক ছিল।