রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের সাথে খাওয়া দাওয়ার অভিজ্ঞতা || 10% Beneficiaries @shy-fox

বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো অনেকটা সর্গে থাকার মতই হয়ে যায় কারণ বন্ধুরা সব সময় হাতের কাছে পাওয়া যায় না। যখন আমি স্কুলে ছিলাম তখন সেই স্কুলের বন্ধুদের সাথে চলাফেরা করতাম কিন্তু যুগের বিবর্তনে সেই স্কুলের অনেক ফ্রেন্ড হারিয়ে গিয়েছে। এমনকি অনেকে সাথে এখন যোগাযোগ প্রযন্ত নেই। তাই এই বন্ধুত্ব সম্পর্কটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক। আর যখন বন্ধুদের সাথে আমরা কোথাও ঘুরতে যাই, সেটার কথা আর নাই বললাম। মাঝে মাঝে আমার ভার্সিটির বন্ধুদের নিয়ে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খেতে যাই, তবে নরসিংদীর একটি বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট রয়েছে, ""গ্যালাক্সি রেস্টুরেন্ট"" নরসিংদীরর বুকে একটি বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট। এই রেষ্টুরেন্টে কমবেশি সব ধরনের খাবারে পাওয়া যায়।

আজকের বাসায় তেমন রান্না হয়নি, নামাজ পড়ে এসে সবাই বলছিল যে কোন একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করবে। যেমন কথা তেমন কাজ, আমরা সবাই বেরিয়ে পড়লাম সেই গ্যালাক্সি রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে। আমাদের বাসা থেকে খুব বেশি দূরে নয় সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় লাগে। বাহিরে থেকে দেখলে বুঝার কোন উপায় নেই যে ভিতরে তো অন্য ধরনের একটি পরিবেশ বিরাজ করছে। নরসিংদীর বুকে অনেক রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম তবে আমার কাছে সবচেয়ে বেস্ট মনে হয়েছে গ্যালাক্সি রেস্টুরেন্ট।

আজ শুক্রবার ছিল, রেস্টুরেন্টের প্রচুর ভিড় কোন রকমের জায়গা পাচ্ছিলাম না। পরবর্তীতে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পরে একটি জায়গা পেলাম। এখন হচ্ছে অর্ডার দেওয়ার পালা, এসময় একটি মজার বিষয় হয়েছে আমরা চারজন বন্ধু চার ধরনের আইটেম সাজেস্ট করেছিলাম কিন্তু পরবর্তীতে সবকিছু মিলিয়ে প্রায় কাচ্চি বিরিয়ানির অর্ডার করলাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে এখানকার সার্ভিসে সন্তুষ্ট কারণ এখানকার যেমন পরিবেশ সেরকম তাদের সার্ভিস গুলো, খুবই তাড়াতাড়ি তারা সবকিছুই করে। অর্ডার দেওয়ার প্রায় পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আমাদের খাবার আমাদের টেবিলে পরিবেশন করা হয়।

আমি অনেক জায়গার কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছি কিন্তু এখানকার বিরিয়ানির স্বাদটি সম্পূর্ণ আলাদা এবং ঠিক যেন আমার মনের মতো করে তৈরি করা হয়েছিল। খাসির মাংস গুলো প্রায় হালকা গলে গিয়েছে যা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগছিল। সবাই প্রায় খাওয়া-দাওয়া করছিল তারপর ও আমাদের এক্সট্রা কিছুর রাইস নিতে হয়েছিল কারণ এতো সুস্বাদু ছিল তারা কোনোভাবেই এক প্লেটে সন্তুষ্ট হতে পারছিলো না।

এই রেষ্টুরেন্টের একটি ভালো দিক হচ্ছে, এখানে ফটোসেশন করার জন্য আলাদা কিছু প্লেস রয়েছে এবং বাচ্চাদের খেলার জন্য একটি ছোট পার্কের মতো করে দেওয়া হয়েছে যা আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে খুবই ভালো লেগেছে। তবে এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য করার মত আছে, প্রত্যেকটি টেবিল আলাদা আলাদা ডিজাইনের আছে, একটি টেবিল সেট এর সাথে অন্য কোন টেবিল সেটের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। এ বিষয়টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এরকম ভিন্নতা সত্যি অনেক ভালো লাগে। মোটকথা বন্ধুদের সাথে সময়টা বেশ ভালো কাটিয়েছি তবে কিছুদিন ধরে অনেকটা ব্যস্ততা এবং টেনশনের মধ্যে ছিলাম, আজ অনেকটাই হালকা লাগছে।

তবে বন্ধুদের সাথে এরকম মাঝে মাঝে ঘুরতে যাওয়া আমাদের সকলের দরকার, আবহাওয়া পরিবর্তন করলে নিজের মনটা পরিবর্তন হয়ে যায়। মন খারাপ থাকলে খুব দ্রুত ভালো হয়ে যায় আর সেটারই প্রমাণ পেলাম আজ। খাওয়া-দাওয়া শেষে ভাবছিলাম কোথাও ঘুরতে যাব কিন্তু দুপুরবেলা ঘুরার মত কোন পরিবেশ বা ইচ্ছে কোনটাই হলো না, পরবর্তীতে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তবে আপনারা কেউ নরসিংদী আসলে অবশ্যই এই রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে দেখতে পারেন, এই রেস্টুরেন্টের খাবার সত্যিই অনেক মজাদার হয়।

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের সাথে খাওয়া দাওয়ার অভিজ্ঞতা

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......