বিকেলের হাতিরঝিল

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি ভালো নেই। কারণ গতকাল রাতে ঘুমাতে পারেনি এছাড়াও ঢাকায় মাত্রা অতিরিক্ত গরম পরছে এবং কারেন্ট এর লোডশেডিংয়ে জীবন একদম দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে।

আজ সারাদিন মনে হয় না যে ৪-৫ ঘন্টা কারেন্ট ছিলো। বাকি সময়ে অন্ধকারে কাটাতে হয়েছে এবং গরমে কাটাতে হয়েছে। গতকাল রাতেও ঠিক কখন কখন কারেন্ট গেছে স্পষ্ট মনে আছে। রাত ১ টায় এক ঘণ্টা লোডশেডিং আবার মাঝ রাত তিনটার সময় এক ঘণ্টা লোডশেডিং ভোর ছয়টার সময় এক ঘণ্টা লোডশেডিং। এভাবে করে সারারাত ঘুমাতে পারেনি। যখনই ঘুম আসছিল বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছিল এবং অসহনীয় গরমের কারণে সবকিছু অসহ্য লাগছিল।

গতকাল কাজ শেষ করে ঘুমানোর সময় ল্যাপটপ চার্জে দিয়ে ঘুমাইনি তাই ল্যাপটপের সকাল থেকে চার্জ ছিলোনা কারেন্ট আসলে অল্প অল্প করে চার্জ দিয়ে রেখেছি। ভেবেছিলাম বিকেলবেলা কাজ করতে বসবো কিন্তু সেটা হয়নি কারণ বিকেলবেলা আরও এক ঘণ্টা লোডশেডিং হয়ে গেল! কি করব ভাবতে পারছিলাম না। পরবর্তীতে চিন্তা করলাম হাতিরঝিল থেকে একটু হেঁটে আসি হয়তো হাতিরঝিলের পরিবেশটা একটু ঠান্ডা কিন্তু যখনই হাতিরঝিলে গেলাম তখন আমার চিন্তা ভাবনা টা একদম পুরো পরিবর্তন হয়ে গেল... কারণ হাতিরঝিলে কোন গাছের পাতায় নড়ছে না এতটা গরম লাগছিল যা বলার মত নয়।

তারপরও হাতির ঝিলে গিয়েছিলাম সেখানে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম এবং বেশ কিছু ছবি তোলার চেষ্টা করেছি। যেটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন তবে হাতিরঝিল এভাবে করে এত গরম একটা পরিবেশ সেটা আমি আগে কখনো দেখিনি। হাতিরঝিলে যতবারেই গিয়েছিলাম ততবারেই শীতল পরিবেশ পেয়েছি, বাতাস পেয়েছিলাম কিন্তু আজকের পরিবেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন মনে হচ্ছে, মনে হচ্ছে মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে আছি এবং বাতাস আমার শরীরের স্পর্শের সাথে সাথে প্রচন্ড গরম অনুভব হচ্ছে।।

একসময় হাতিরঝিলে ব্রিজের উপরে গিয়ে দাঁড়ালাম কিন্তু মনে হচ্ছে পানি থেকে তাপ বের হয়ে আসছে এবং সেই বিষয়টা ভালোভাবেই অনুভব করা যাচ্ছে। এইদিকে বাতাস নেই যদিও হালকা বাতাস মাঝে মাঝে বইছে সেই বাতাসের আদ্রতা এতটাই উষ্ণ যা বলে বোঝানো যাবে না। দেশের পরিস্থিতি দিন দিন কোথায় যাচ্ছে সেটাই চিন্তা করছি। বাংলাদেশের কাছে কয়লা কাছে টাকা নেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না। এই সমস্যার সমাধান হতে নাকি আরও এক মাস সময় লাগবে। এই দিকে ১ ঘন্টা কারেন্ট থাকছে অন্য ঘন্টা কারেন্ট থাকছেনা। দিনরাত কোন কিছুই মানছে না। মানুষ একটু শান্তি ভাবে ঘুমাবে সেটাও পারছেনা, কিভাবে মানুষ বেঁচে থাকবে প্রশ্ন রইলো জাতির কাছে।

এরকম পরিবেশেই বেশিক্ষণ হাতিরঝিলে থাকতে পারেনি। আধা ঘন্টা পরে বাসায় চলে এসেছিলাম বাসায় এসে একটু ফ্রেশ হয়ে এই পোস্ট লিখতে বসলাম। ভাবলাম পোস্টটি লিখে আনুষাঙ্গিক কাজ করব এবং পড়াশোনায় বসবো কিন্তু সেই কপাল কি আমার আছে বলুন! এসে দেখি একটু পরে আবার কারেন্ট চলে গেছে। এভাবে করে চলতে থাকলে সত্যি বলছি মানুষের মৃত্যু হতে দেরী লাগবে না, এই গড়ম সহ্য করার মতো নয়।

প্রথমত বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচন্ড গরম চলছে এবং প্রচণ্ড তাপদাহে পুরো বাংলাদেশ জ্বলছে তার উপর যদি ১০-১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হয় তাহলে মানুষ কিভাবে বেঁচে থাকবে বলুন!

একটা দেশের পরিস্থিতি কতটা খারাপ হলেই দেশের রাজধানীতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়! সেটা আসলে চিন্তা করার বিষয়। যাইহোক এসব নিয়ে বেশী কিছু বলব না। কারন এই অভ্যান্তরীন বিষয়গুলো আমরা সকলেই জানি শুধুমাত্র উপরে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই।।

ভেবেছিলাম হাতিরঝিলে গেলে হয়তো একটু ভালো পরিবেশে একটু সময় কাটাতে পারব কিন্তু সেই বিষয়টা হলো না বাসায় এখন কারেন্ট নেই অন্ধকারে বসে বসেই পোস্ট লিখতে বসেছি। জানিনা পরবর্তীতে কি হবে! তবে যাই হোক পরিবেশ যেমনই হোক না কেন বেঁচে থাকতে হবে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। মুখ বুঝে সবকিছু সহ্য করা ছাড়া আর কিছৃই বলার নেই।

গতকাল রাতে এক ঘন্টা ঘুমাতে পারেনি জানিনা আজ রাতে কি হবে! আবার কালকে সকাল থেকে সারাদিন ক্লাস সবকিছু মিলিয়ে অনেক টেনশন এর মধ্যে আছি। আবার সামনে পরীক্ষা একটু পড়াশোনা করলে রেজাল্ট খারাপ হয়ে যাবে। যাইহোক আজ আর বেশি কিছু লিখছি না অন্ধকারে বসে বসে লিখতে ইচ্ছা করছে না, আজকের মত এখানেই বিদায় জানাচ্ছি ধন্যবাদ।।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: বিকেলের হাতিরঝিল

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......