আতঙ্কের আরেক নাম ভয়
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করছি আপনার সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তালার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি। তবে দেশের যা পরিস্থিতি, এতে করে মন মানসিকতা খুব একটা বেশি ভালো নেই। তারপরও ভালো থাকার চেষ্টা করছি। কোন জাতি যদি উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে হয় তাহলে সর্বপ্রথম সেই জাতির মেরুদন্ড ঠিক রাখতে হবে এবং একটি জাতির মেরুদন্ড হচ্ছে শিক্ষা।
বর্তমান পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে অবশ্যই শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এই শিক্ষার যাতে সৎ মূল্যায়ন আমরা পাই সেই দায়িত্ব কিন্তু সরকার এবং সরকার প্রধানের কাছে রয়েছে। তবে আর যাই হোক না কেন বর্তমানে এই বিষয়টি নিয়েই বাংলাদেশের বেশ রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে, এই বিষয়ে খুব বেশি কিছু বলতে চাই না। তবে এই অস্থিরতার কারণে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ অনেকটাই ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। আমারও ব্যক্তিগত অনেক কাজ পেন্ডিং রয়েছে, যেগুলো আমি এখনো কমপ্লিট করতে পারছি না এবং সেই বিষয়গুলো যে কমপ্লিট করব তারও কোন রাস্তা নেই।
আমার ব্যক্তিগত কিছু কাজ রয়েছে ঢাকায় তবে ঢাকার মধ্যে প্রবেশ করার সাহস হচ্ছে না। বর্তমানে দেশের যা চিত্র এতে করে সাধারণ জনগণের একটি ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এই সব কিছুর আগেও জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি ছিল কিন্তু তারপরও মানুষ কোনোভাবে খেয়ে পড়ে বেঁচে ছিল কিন্তু বর্তমানে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম তিন থেকে চার গুণ হয়ে গেছে। সারা দেশে যখন ইন্টারনেট ছিল না সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়েছিল আমার বাসার মধ্যেও খুব বেশি একটা বাজার ছিল না। কিভাবে যে আমরা সেই কয়েকটা দিন চলেছি, সেটা আমাদের মত সাধারন মানুষরাই বলতে পারবে।
বর্তমানে দেশ উন্নত হচ্ছে, দেশ ডিজিটালাইজড হচ্ছে তাই বেশিরভাগ মানুষই কাছে ক্যাশ টাকা রাখার প্রবণতা অনেকটাই কমে গেছে। সবাই মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করছে, বিভিন্ন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ গুলো করছে। কিন্তু হঠাৎ করে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়া তে প্রত্যেকটি মানুষেরর দূর্ভোগ হয়েছিল এবং আর্থিক একটা সংকট দেখা দিয়েছিল। বর্তমানে বিদ্যুতের মিটার থেকে শুরু করে বাসার ওয়াইফাই এর বিল, পানির বিল সবকিছুই ডিজিটালাইজড হয়েছে। এমত অবস্থায় ইন্টারনেট এবং সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় কোন কোন মানুষেরা সেসব মিটারে টাকা ভরতে পারেনি। এই গরমের মধ্যে বেশ কয়েকদিন কারেন্ট ছাড়াই থাকতে হয়েছে। ব্যাংকে লাখ লাখ টাকা পড়ে আছে কিন্তু সেটা আমরা ব্যবহার করতে পারছি না, একটু ভেবে দেখুন কি রকম ভয়াবহতার মধ্যে কেটেছে বেশ কিছুদিন।
সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। সব দিকেই সাধারণ মানুষকেই ভোগান্তি পোহাতে হয়। যাই হোক না কেন আমি আমার কাজগুলো কোনভাবেই সম্পূর্ণ করতে পারছি না, এই ছাত্র আন্দোলন কিংবা এই অস্থিরতার কারণে। এছাড়াও আমি যেখানে অবস্থান করছি এর আশেপাশে আমার ব্যাংকের কোন ব্রাঞ্চ নেই। আমার ব্যাংককে যেতে হলে ঢাকার ভিতরে ঢুকতে হবে। এছাড়াও আমার ল্যাপটপের একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে। যেটা ও ঠিক করা আমার অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয় হয়ে পড়েছে। কারণ ল্যাপটপ দিয়েই প্রতিনিয়ত আমার কাজ করতে হয়।
প্রত্যেকটি মানুষের ভিতরে ভয় থাকে। সে যাই হোক না কেন সে তার জীবনের ভয় করতে পারে, কিংবা সে যদি না থাকে তাহলে তার পরিবারকে কে দেখবে এই ভয়টা সবথেকে বড় ভয় আমি মনে করি এবং এই ভয় নিয়ে হাজারো যুবক এখন চলাফেরা করছে। তবে আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ। বর্তমানে দেশের যা পরিস্থিতি হচ্ছে আমি শুধুমাত্র একটি বিষয়ে কামনা করি যেন এই সব কিছু খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায় এবং একটি ভালো সমাধান আসে। দেখুন, এখানে ভয়ের কিছু নেই। তবে একটি বিষয় চিন্তা করে দেখেছেন। আপনার নিরাপত্তা কোথায়? আপনি যদি বেঁচে না থাকেন কিংবা আপনার যদি কোন ক্ষতি হয়ে যায় তাহলে আপনার পরিবারকে কে দেখবে? আপনার পরিবারকে কে সামলাবে? সেই বিষয়গুলো আমাদের বিবেচনা করা দরকার তাই, নিজের নিরাপত্তা সবার ঊর্ধ্বে।
আমরা রক্তে মাংসে গড়া মানুষ, আমাদের মধ্যে ভয়, আতঙ্ক, আবেগ, বিবেক সবকিছুই থাকবে। সেভাবেই আমাদেরকে আমাদের এই জীবনে এগিয়ে যেতে হবে। আজকের মত এখানে শেষ করছি আপনার সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: আতঙ্কের আরেক নাম ভয়
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
বর্তমানে ঢাকার পরিস্থিতি আসলেই খুব খারাপ। রাস্তাঘাটে বের হলে বোঝা যায়। এমনভাবে আর্মি, পুলিশ, বিজিবি দাঁড়িয়ে থাকে দেখলেই ভয় লাগে। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন প্রতিটি মানুষের জীবনের মায়া রয়েছে। কিন্তু এই ছাত্রদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে আন্দোলনে নেমেছে মনে হয়। দোয়া করি ওরা যেন সফলভাবে ফিরতে পারে। তারপরও কাজ তো করতেই হবে। সেগুলো তো আর থামিয়ে রাখলে চলবে না।
এ আসলে রাজ-অসুখ৷ এই অসুখ অনেক আগেই ছড়িয়ে গেছে। আমরা উপসর্গ এখন দেখতে পাচ্ছি৷ জানিনা কিভাবে সব শান্ত হবে তবে ম্যাজিকের মতো সব স্থির হয়ে গেলেই ভালো।
সাধারণ মানুষের সাধারণ জীবনের কথা কেউ ভাবে না। তবুও তারাই দেশ তারাই জীবন।
সাবধানে থেকো। যা যা প্রিকোয়েশন নেবার নিয়ে থেকো৷
সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া।পোষ্টের ভেতরের কথাগুলো অনেক ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন লেখাগুলো। সত্যি ভাইয়া আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? এই যে দেশেএত কিছু হচ্ছে এতে করে অসহায় মানুষগুলো বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে। ঠিক বলেছেন ভাইয়া। এখন তো সব ডিজিটাল কারেন্ট গ্যাস সবগুলো নেটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। আমরাও এ ভোগান্তিতে অনেকটাই পড়েছিলাম। আমরা কোন অশান্তি চাই না আমরাও চাই এর একটি সুস্থ সমাধান হোক। আমরা যেন পরিবার নিয়ে শান্তি মত দুবেলা খেয়ে বাঁচতে পারি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাই আতঙ্কের মধ্যে সময় কাটাচ্ছে। হয়তো অনেকেই বলছে ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু আমাদের নিরাপত্তা কোথায় এই কথা ভাবতেই মনে হচ্ছে কোন নিরাপত্তা নেই। সবকিছু মেনে নিতে হচ্ছে ভাইয়া।
বর্তমানে ঢাকার পরিস্থিতি ভালোভাবেই বুঝতে পারছি। আসলে নিজের জীবনের প্রতি মায়া প্রত্যেকটা মানুষেরই রয়েছে। তবে যে সকল ছাত্ররা এই আন্দোলনে নেমেছে, তারা সবাই নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে ফেলেছে ইতিমধ্যে। তারা শহীদ হওয়ার জন্য প্রস্তুত, তবুও সবকিছু ঠিক করতে চায়। আর কম বেশি সবাই ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিল ইন্টারনেটের কারণে। কারণ বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই সব কিছু করা হয়। খুব তাড়াতাড়ি যেন সবকিছু ঠিক হয় এটাই কামনা করি সব সময়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষেরা সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে, পাশাপাশি ভয় তো পাচ্ছেই। আমাদের চাওয়া একটাই,দ্রুত সবকিছুর সমাধান হোক এবং পুনরায় সবকিছু একেবারে স্বাভাবিক হয়ে যাক। কারণ এভাবে তো দিন কাটানো যায় না। ইচ্ছে করলে কোথাও যাওয়া যাচ্ছে না,প্রয়োজনীয় কাজ করা যাচ্ছে না। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।