বেকারত্ব
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। আমাদের এই সমাজ বেকার যুবক বলতে শুধুমাত্র তাদেরকেই বুঝায় যারা কোন চাকরি কিংবা ব্যবসা করে না শুধুমাত্র বাবা-মার টাকায় চলাফেরা করে তাদেরকেই সাধারণত বেকার যুবক বলা হয়ে থাকে। কোন ছেলে নিজের ইচ্ছায় বেকারত্বের স্বীকার হতে চায় না বরঞ্চ তারা সবসময় চায় সে যেন কঠোর পরিশ্রম করে তার পরিবার ও প্রিয়জন সবাইকে যেন খুশি রাখতে পারে। এই প্রচেষ্টাই তারা করে যায় তবে অনেকেই এই প্রচেষ্টায় করেও বারবার ব্যর্থ হয়।
একটি ছেলের যখন জ্ঞান হয় তখন থেকেই তাকে শেখানো হয় তাকে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে এই সমাজে চলতে গেলে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। এর জন্য সেই ছেলেটা সেই ছোটবেলা থেকেই কঠোর পরিশ্রম করে বড় হতে থাকে। হাজারো বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে পড়াশোনা শেষ করে কিন্তু চাকরি আর হয় না। চাকরি করতে গেলেও মোটা অংকের ঘুষ দিতে হয় এবং মেধা এবং মামা চাচা তো লাগবেই। আমাদের এই সমাজ বড়ই অদ্ভুত। যেই ছেলেটা উদ্যোক্তা হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে তাকে এই সমাজ মেনে নিতে পারে না বরঞ্চ যেই ছেলেটা লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে স্বল্প বেতনে চাকরি করে তাকেই এই সমাজ প্রতিষ্ঠিত বলে দাবি করে।
কোন ছেলেই নিজে থেকে বেকারত্বের স্বীকার হতে চায় না। বরঞ্চ আমাদের এই সমাজ ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং চাকরির স্বল্পতার কারণেই এই বোঝা মাথায় নিয়ে বইতে হয়। বর্তমানে এখনো উদ্যোক্তাকে অনেকটাই ছোট করে দেখা হয়। ব্যক্তিগতভাবে আমিও কখনো চাকরি করতে চাইনি বরঞ্চ ছোটখাটো একটা ব্যবসা দিয়ে শুরু করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমাদের এই সমাজের কাছে সেটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না বলেই এখন চাকরি করছি। প্রতিটা দিন কিভাবে যে কাটাচ্ছি সেটা শুধুমাত্র আমি শুধুমাত্র জানি। চাকরি, পড়াশোনা, কমিউনিটির কাজ, রান্নাবান্না ঘুমানো সবকিছু মিলিয়ে মনে হয় না দশ মিনিটও আমি নিজের জন্য সময় বের করতে পারি। তারপরও কারো কারো কাছে আমি বড্ড অলস প্রকৃতির মানুষ। যতই মানুষের মনের মত হওয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু দিনশেষে তার বিপরীত তাই হচ্ছে, এত কষ্ট, এত পরিশ্রম কারো নাকি চোখেই পরে না, হাস্যকর বিষয়?
যাইহোক কথায় কথায় অনেক কথাই বলে ফেললাম। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী চাকরির বাজার খুব একটা বেশি ভালো নয়। দেশের প্রত্যেকটা জিনিসের দাম ঊর্ধ্বগতি। এমত অবস্থায় একটি চাকরি পাওয়া যেন সোনার হরিনের মত। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে বিশাল সংখ্যক যুবক ছেলে মেয়ে বেকারত্বের শিকার রয়েছে তারা যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠে তাহলে কিন্তু আমাদের এই দেশের জনসংখ্যা জনশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে উঠবে। বেকার বসে না থেকে নিজে নিজে কিছু করার চেষ্টা করতে হবে। চাকরির করার পাশাপাশি অন্য কোন একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কারণ চাকরিটা অনেক বিপদজনক একটা বিষয়। আপনার বস যদি আপনাকে বলে কালকে থেকে আপনাকে আর আসতে হবে না তারপরে আপনি কি করবেন? আপনার ফ্যামিলি নিয়ে কোথায় যাবেন?
একটি স্ট্যাটিসটিকস অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখের মতো বেকার যুবক যুবতী রয়েছে যদিও এ বাস্তবে এর সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। এমন অনেক ব্যবসা করা যায় যেগুলোতে খুব বেশি একটা মূলধন লাগে না। যদি আপনি টিউশনি করেন সে ক্ষেত্রে আপনার কোন মূলধনের এই প্রয়োজন হবে না। এছাড়াও ছোটখাটো ব্যবসা দিয়েও শুরু করতে পারেন। আসলে সমাজ কিংবা মানুষের কথায় আপনার পেট চলবে না। মানুষ কিংবা সমাজ তারা প্রতিনিয়তই কোন না কোন কথা বলবেই আপনাকে নিয়ে। সেই বিষয়গুলো মেনে নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন, দেখবেন তারাই একদিন আপনার প্রশংসা করছে।
আজ আমি শুধুমাত্র আমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এ বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এই বিষয়গুলো যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: বেকারত্ব
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
আসলে প্রতিটা মানুষকে যে চাকরি করতে হবে এমনটা তো নয়। নির্দিষ্ট একটা ইনকাম সোর্স থাকতে হবে যেটা দিয়ে পরিবারের সদস্যকে নিয়ে স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করা যাবে সেটা চাকরি থেকে বা ব্যবসা থেকে হোক। তবে হ্যাঁ আপনার মত আমারও চাকরি করার কোন ইচ্ছা নেই এজন্যই ব্যবসার দিকেই একটু আগ্রহ বেশি।
ধন্যবাদ ভাই, তবে সমাজ বড়ই নির্মম।।
আপনি বেশ বাস্তব সম্মত কিছু কথা বলেছেন আপনার পোষ্ট এ। মনে হলো, উপরের দিকে যে লে গুলো লিখেছেন, নিচের প্যারাতে নিজেই সেই কথার উত্তর গুলো দিয়ে দিয়েছেন। আপনার যদি অনেক আগে থেকেই ইচ্ছে থাকে উদ্যোক্তা হওয়ার, তবে সেটার পেছনেই শ্রম দিন। লোকের কাজই নানারকম কথা বলা! তবে যখন আপনি সফলতার দেখা পাবেন, তখন সেইসব লোকজন আপনার ই গুণগান করবে!
বাংলাদেশে তো ৫০ লাখের মতো বেকার যুবক যুবতী, তাহলে চিন্তা করেন ভারতে কত বেকার মানুষ পড়ে রয়েছে ভাই। আর এখনকার বাজার আসলে এরকম হয়ে গেছে, মামা কাকা না থাকলে তারপরে আবার ঘুষ না দিলে চাকরি হওয়াটা বেশ মুশকিল। এইদিকে আবার পুরুষ মানুষের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার যে প্যারাটা ওটা তো আছেই। তবে ভাই আপনি যেহেতু ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন, সেটা তো করতেই পারেন। লোকের কথায় কান দিলে তো আর হবে না। লোকে তো আর আমাদের খেতে দিতে আসে না। নিজের ডিসিশন নিজেই নিতে হবে, লোকে যা ই বলে বলুক। তবে আপনি এখন যেহেতু চাকরি করছেন তাহলে তো কিছুটা হলেও সমস্যার সমাধান হয়েছে ভাই।
বেকারত্ব আসলে একটি অভিশাপ। এতো পড়াশোনা করে ভালো রেজাল্ট করার মাধ্যমে সার্টিফিকেট অর্জন করার পরও, চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না। দিন দিন বেকারত্বের হার প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে আমাদের দেশে। অনেক যুবক চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে আত্মহত্যা পর্যন্তও করে। তবে আমার মতে, মানুষের কথায় কান না দিয়ে, চাকরির পিছনে এতো না ঘুরে, ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করা ভালো। এতে করে নিজেও স্বাবলম্বী হওয়া যায়, আবার অনেক সময় অন্যের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করা যায়। যাইহোক এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
যদিও গত দুই এক বছর আগে আমাদের দেশের মধ্যে চাকরির হার অনেক বেড়ে গেছিল। কিন্তু কোভিদ 19 এর পর থেকেই আবারো বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কারণে মানুষ খরচ বহন করতে পারছে না। তাছাড়াও বিভিন্ন দেশের যুদ্ধবিগ্রহ অশান্তির কারণেই বিভিন্ন সহযোগিতা গুলো সংকোচন করে দিচ্ছে। আসলে বেকারত্ব আমাদের সমাজের জন্য একটি অভিশাপ । যতই পড়ালেখা করে ব্যবসা-বাণিজ্য করেন না কেন। কিন্তু মানুষ শেষমেশ একটা কথাই বলে পড়ালেখা করে কি হল একটা ভালো চাকরি নাই। আমাদের আশে পাশের মানুষ আমাদের সমাজের মানুষের হচ্ছে এই রীতি রেয়াজ।
বাস্তব কিছু চিত্র আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কথাগুলো একদম ঠিক। সবাইকে চাকরি করতে হবে,ভালো কোন কাজ ছাড়া চলবে না এ অভ্যাসগুলো আমাদের বাদ দিতে হবে।পাছে লোকে তো কিছু বলবেই।তারা বলতে থাকুক।আমাদের উচিত হবে মূলধন ছাড়া কোন কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।এতে নিজে ভালো থাকা যায়। আবার পরিবারকেও সাপোর্ট করা যায়।