অতীতের কিছু স্মৃতি

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আজ আমার ব্যক্তিগত জীবনের কিছু অতীতের স্মৃতি গুলো নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। আশা করছি এই স্মৃতিগুলো আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।

এইতো গত দুই মাস আগে আমার মা এবং ছোট ভাই আমার এই বাসায় এসেছিল এবং বেশ কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমরা সবাই একসাথে কাটিয়েছি। একসাথে খাওয়া দাওয়া করেছি, আশেপাশে ঘুরতে বেরিয়েছি এবং সব থেকে বেশি আনন্দকর বিষয় হচ্ছে পুরো পরিবার একসাথে ছিলাম।

আমার মা যখন এখানে এসেছিল তখন মা এবং ছোট ভাইকে আশেপাশের জায়গাগুলোকে নিয়ে বেরিয়ে ছিলাম আমি। তেমনি একটি জায়গা হচ্ছে বাংলার তাজমহল। নামটা হয়তো অনেকেই শুনেছেন এবং অনেকেই এই জায়গাটা ভিজিটও করে গিয়েছেন। বাংলার তাজমহল এবং পাশেই রয়েছিল পিরামিড। সেই সব জায়গাগুলো আমরা সবাই একসাথে ঘুরে বেড়িয়েছিলাম এবং সত্যি অনেক মনোমুগ্ধকর একটি সময় কাটিয়েছিলাম।

প্রতিবছরই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় এবং সেই ট্যুর হয় ১০ থেকে ১৫ দিনের। তবে এই বছরে এখন পর্যন্ত কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। এর বেশ কিছু কারণ রয়েছে। আমার ছোট ভাইয়ের এডমিশন ছিল, এছাড়াও আমি নতুন চাকরিতে জয়েন করেছি, পড়াশোনার প্রেসার, সব কাজ মিলিয়ে কেন জানি সময় হয়ে উঠছে না। এইতো গত বছরের প্রথম দিকেই এই কক্সবাজার এবং রাঙ্গামাটিতে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে বেশ কিছুদিন থাকা হয়েছিল। কখনো রাঙ্গামাটি যাওয়া হয়নি এবং রাঙ্গামাটির সেই পাহাড়, নদী সবকিছু দেখতে অনেকটাই চমৎকার ছিল। বিশেষ করে পরিবেশটা ছিল মনোমুগ্ধকর।

কক্সবাজার এবং রাঙ্গামাটিতে ঘুরতে গিয়ে অনেক ধরনের নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেসব বিষয় হয়তো কিছু কিছু শেয়ার করেছি, কিছু কিছু শেয়ার করা হয়নি। তবে মাঝ সমুদ্রে স্পিডবোট থেমে যাওয়া, এছাড়াও গভীর রাতে সমুদ্রের পাড়ে হেঁটে বেড়ানো এসব কিছু ছিল অতি সাধারণ বিষয়। এছাড়াও বেশিরভাগ রাতেই সমুদ্রসৈকতে বিভিন্ন ধরনের গানের আয়োজন করা হতো। সেই গানগুলো শুনতে অনেকটাই ভালো লাগতো, ছোটখাটো কনসার্ট বলা চলে।

সমুদ্রের গর্জন এবং জোসনার রাতে সমুদ্রের পাড়ে হেঁটে বেড়ানো অনেক চমৎকার একটি অভিজ্ঞতা হয়েছিল যা কোন ভাবেই ভোলা সম্ভব নয়। কেন জানি সেই দিনগুলো আজকে অনেক বেশি মিস করছি। ছুটে যেতে ইচ্ছা করছে কক্সবাজারের সেই সমুদ্র সৈকতে। তবে কক্সবাজারের একটি উপজেলায় গিয়েছিলাম, নাম হচ্ছে মহেশখালী। মহেশখালীতে গিয়ে অনেক ধরনের নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং পাহাড়ের উচ্চতায় বড় বড় মন্দির আমরা দেখেছি। সেই বিষয়গুলো কোনভাবেই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এছাড়াও সেখানে বিরাট বড় একটি শুটিং ব্রিজ রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের নাটক কিংবা সিনেমার শুটিং হয়। জায়গাটা দেখতে অনেকটাই চমৎকার ছিল।

আজ মনটা যেন আমার বাসায় নেই, মনে হচ্ছে সমুদ্রসৈকাতে হেরে বেড়াচ্ছি। এরকমই একটি অনুভূতি নিয়ে এই পোস্টটি লিখছি। যাই হোক আজকেই আমার ব্যক্তিগত কিছু স্মৃতি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। ভালো লাগলে অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: অতীতের কিছু স্মৃতি

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......