নিজেকে ছোট ভাববেন কিন্তু অন্যের সামনে নিজেকে ছোট রিপ্রেজেন্ট করবেন না।

আমরা সবাই মানুষ, সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের কাউকে বেশি দিয়েছে কাউকে কম দিয়েছে, আবার অন্য যাদেরকে বেশি দিয়েছে তারা সেই বেশি টুকু নিয়ে অনেক সময় গর্ব করে এই গর্ব করা টা আসলে ঠিক নয়। আজ আমি আমার ব্যক্তিগত কিছু মতামত তুলে ধরব। প্লিজ, কেউ এই বিষয়গুলোকে নেগেটিভ ভাবে নেবেন না।

ছোটবেলা থেকেই আমাদের পাঠ্যপুস্তক বেশি পড়া হয়। সেই পাঠ্যপুস্তক পড়েই আমাদের বেড়ে ওঠা। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বইয়ের জীবন এবং বাস্তব জীবনের মধ্যে অনেক বড় একটি পার্থক্য রয়েছে। তবে এটা সত্যিই একটি ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করতে পারত পুস্তক অনেকটা জরুরি একটি ভূমিকা পালন করে কিন্তু তারপরও জীবনে চলতে হলে আপনার অভিজ্ঞতার প্রধান হাতিয়ার হয়ে দাঁড়াবে। আমরা অনেকেই আছি সবার সামনে কথা বলতে ভয় পাই, নিজেকে ছোট মনে করি। যার সাথে আমি কথা বলব সে হয়তো আমার থেকে লেভেল একটু বেশি আছে তাই জন্য কথা বলতে সংকোচ হয়। এই বিষয়গুলো থেকে বের হয়ে আসতে হবে। জীবনে বড় কিছু হতে হলে আপনার জড়তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে।

যত তাড়াতাড়ি আপনি জড়তাকে আপনার নিজের জীবন থেকে ছুঁড়ে ফেলতে পারবেন তত তাড়াতাড়ি আপনার জীবনে সফলতা আসবে। নিজেকে সুন্দরভাবে রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে। ধরুন আপনার জড়তা নেই কিন্তু নিজেকে সঠিকভাবে রিপ্লেসমেন্ট করতে পারছেন না, তাহলে কিন্তু বিষয়টা ভালো চোখে দেখা হবে না। কিভাবে কথা বলবেন, কার সাথে কিভাবে কথা বলতে হয়, কি ধরনের কথা বলতে হয়, এই বিষয়গুলো আপনার উপস্থিত বুদ্ধি থেকেই আসে। এগুলো শেখার মত আসলে কোন পাঠ্যপুস্ত পড়ে শিখা সম্ভব নয়। কারণ সম্পূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে উপস্থিত বুদ্ধির খেলা। কোন সিচুয়েশনে কিভাবে কথা বলতে হবে এটা কোন পাঠ্যপুস্ত আপনাকে শেখাতে পারবে না, এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।

ইংরেজিতে একটি কথা আছে, ফাস্ট ইম্প্রেশনিস্ট লাস্ট ইম্প্রেশন। যখন আপনি প্রথমে একটি মানুষের সাথে কথা বলবেন তখন আপনার আচার-ব্যবহার, আপনার পোশাক-আশাক, সবকিছু যেনো সুন্দর হয় এবং আপনার কথা বলার স্টাইল যেন সুন্দর হয়। তাহলেই দেখবেন সে আপনাকে অন্য চোখে দেখবেন এবং তার বুঝতে বাকি রইবে না, আপনি কেমন ধরনের মানুষ। বেশিরভাগ মানুষ ধনী-গরীব এসব দেখে না, দেখে আপনার আচার-ব্যবহার, আপনার চলাফেরার, আপনার পোশাক, আপনার কথা বলার ধরন। নিজের কাছেই নিজেকে ছোট মনে ভাববেন কিন্তু নিজেকে অন্যের কাছে ছোট করে রিপ্রেজেন্ট করার পক্ষপাতী আমি নই।

আমরা অনেক সময় একটা বিষয় লক্ষ করি যখন আমরা কলেজে পড়াশোনা করেছিলাম তখন ১০ জন ছাত্র থাকলে সবার ক্যাটাগরি সেম লেভেলের থাকেনা। এটার প্রধান কারণ হচ্ছে নিজেকে রিপ্রেজেন্ট করার ধরনের উপর ডিপেন্ড করে। ধরে নিন আপনি খুব গরীব ঘরের সন্তান, এখন আপনি সবার মাঝে যদি এইভাবে উপস্থাপনা করেন যে, অন্যের উপর নির্ভর করে নিজে চলতে চান। সেক্ষেত্রে কারো কাছে কিন্তু আপনি মূল্য পাবেন না। কিন্তু যদি বিষয়টা আবার এমন হয় আপনি গরীব ঘরের সন্তান কিন্তু নিজের উপর কনফিডেন্স আছে যে আপনি কিছু করতে পারবেন, কারো উপর নির্ভর হয়ে আপনি চলতে চান না।

সেই ক্ষেত্রে আপনার নিজের ব্যক্তিত্ব টা অনেক সুন্দর হবে। দিনশেষে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে সত্যি নিজেকে ছোট মনে করতে হবে কারণ নিজেকে বড় মনে করলে সেটা অহংকার এর দিকে চলে যাবে। আর অহংকারের পতন নিশ্চিত ভাবেই হয় সেটা আমরা জানি তাই নিজের মনের মধ্যে কোন অহংকার না রেখে নিজেকে ছোট মনে করাই ভালো। কিন্তু কারো সামনে নিজেকে ছোট উপস্থাপনা করে নিজেকে ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা মনে করার কোন মানে হয় না।

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: নিজেকে ছোট ভাববেন কিন্তু অন্যের সামনে নিজেকে ছোট রিপ্রেজেন্ট করবেন না।

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.........