iআপেক্ষিক তত্ত্ব বা (𝐓𝐡𝐞𝐨𝐫𝐲 𝐨𝐟 𝐑𝐞𝐥𝐚𝐭𝐢𝐯𝐢𝐭𝐲 ) সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা [১ম পর্ব] 📚 @alsarzilsiam 🙋♂️
আপেক্ষিক তত্ত্ব বা (𝐓𝐡𝐞𝐨𝐫𝐲 𝐨𝐟 𝐑𝐞𝐥𝐚𝐭𝐢𝐯𝐢𝐭𝐲 ) আলবার্ট আইনস্টাইন দুই ভাগে ভাগ করে।
১. The Special Theory Of Relativity-(আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব)
২. The General Theory Of Relativity-(আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব)
The Special Theory Of Relativity-(আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব):
পৃথিবীতে সাধারণত দুই ধরণের Frame of Reference বা প্রসঙ্গ কাঠামো দেখা যায়।
১. Inertial Frame of Reference:
কোন বস্তু যদি একই নির্দিষ্ট গতি নিয়ে ট্রাভেল করে এবং ঐ পরিস্থিতিতে বস্তুর গতি ধ্রুবক হয়। যেমন আমাদের পৃথিবী সূর্যকে একটি নির্দিষ্ট গতিতে পরিক্রমণ করে আসছে।
সময়ের সাথে যে বস্তুর গতি কম বা বেশি হয় তাকে আমরা Non Inertial Frame of Reference বলতে পারি। কিন্তু এখানে গতি কনস্ট্রেনড হয় না।
একটা বিষয়ে আমাদের সবসময় মনে রাখা উচিত The Special Theory of Relativity (আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব) শুধুমাত্র Inertial Frame of Reference ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ।
এখন আমরা জানবো গতি ও সময় পরম বা নিরপেক্ষ নয়, আপেক্ষিক কিভাবে?
গতি
ধরা যাক, আপনি একটি গাড়িতে 60 কিলোমিটার পার ঘন্টা গতিতে একটি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। গাড়ির মধ্যে আপনার সাথে একজন বন্ধুও বসে আছে। এখন আপনাদের হিসাবে আপনাদের দুজনের গতি ০। কিন্তু রাস্তার পাশে কোন এক ব্যক্তির কাছে আপনাদের গতি 60 কিলোমিটার পার ঘন্টা । এখন মনে করেন আপনার সামনে থেকে একটি গাড়ি আসছে যার গতি 60 কিলোমিটার পার ঘন্টা । যেহেতু আপনার গাড়ির গতি 60 কিলোমিটার পার ঘন্টা এবং আপনার সামনে থেকে আসা যে গাড়িটি আসছে তার গতি 60 কিলোমিটার পার ঘন্টা । কিন্তু আপনার কাছে মনে হবে সামনে থেকে গাড়ি আসছে 120 কিলোমিটার গতিতে।
এটি থেকে বোঝা যায় যে গতি আপেক্ষিক এবং অবস্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে গতির ও পরিবর্তন হয়।
সময়
১৮শ শতাব্দীর শেষের দিকে মাইকেল-সন-মর্লে প্রমান করে দেন, আলোর বেগ ধ্রুব রাশি। যা কোন স্থান ও কোনা অবস্থাতেই পরিবর্তন হয় না। তার সাথে এটাও নির্দিষ্ট ছিলো যে, এই মহা বিশ্বে আলো সবচেয়ে বেশি বেগে গতিশীল। যা হল প্রায় ৩০০০০কি.মি/সেকেন্ড। পৃথিবীর কোন বস্তুর বেগ এর চেয়ে বেশি বেগ কখনোই ধারণ করতে পারবে না। মনে করা যায় এমন একটি মহাকাশযান মহাকাশে পাঠানো হলো যার গতি প্রায় আলোর গতি সমান এবং মহাকাশযানটি সামনে একটি লাইট লাগিয়ে দেওয়া হল। এই অবস্থায় সেই মহাকাশযানের বেগ এবং সামনে লাগানো লাইটের বেগ হিসাব করা যায় তাহলে আলোর বেগের দ্বিগুন গতি পাওয়া যাবে। এই সমীকরণটির মজার বিষয় এটাই যে, মহাকাশযানের ভিতরে মানুষদের বয়স পৃথিবীর মানুষের বয়সের চেয়ে অনেক ধির গতি হয়ে যাবে। এতোই ধিরে যে ঐ মহাআকাশযানের ভিতরে থাকা ১ বছর, পৃথিবীর কয়েক হাজার বছরের সমান হতে পারে।
এই থেকে প্রমান হয় সময় পরম বা নিরপেক্ষ নয়, আপেক্ষিক।
আজ আমি আপনাদেরকে আপেক্ষিক তত্ত্ব বা (𝐓𝐡𝐞𝐨𝐫𝐲 𝐨𝐟 𝐑𝐞𝐥𝐚𝐭𝐢𝐯𝐢𝐭𝐲 ) সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা দেয়ার চেষ্টা করেছি। এটি হলো প্রথম পর্ব, দ্বিতীয় পর্বে এর বাকি অংশ থাকবে। এটি আমার একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। আপনাদের ভাল লাগলে অবশ্যই সাপোর্ট করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
বিষয়: আপেক্ষিক তত্ত্ব বা (𝐓𝐡𝐞𝐨𝐫𝐲 𝐨𝐟 𝐑𝐞𝐥𝐚𝐭𝐢𝐯𝐢𝐭𝐲 )সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা [১ম পর্ব] 📚
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ💖
বেশ তথ্যবহুল পোস্ট। যাইহোক ভাল লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই। বিষয়টি অনেক বড় তাই দুটি পর্বের মধ্যে ১ টি পর্ব আজ পোস্ট করেছি। আজ রাতে বাকিটা লিখে কাল পোস্ট করবো।
Inertial flame of reference বলে কিছু হয় না। এইটা inertial frame of reference হবে। অনেকবার লিখেছ। ভুল ঠিক করে নাও। তথ্যবহুল পোস্ট। পাঠকের কথা চিন্তা করে লিখলে আরো ভাল হতো আসা করি।
সংক্ষেপে একই বিষয়ে মস্তিষ্ক অনুরনন করার মত পোস্ট করেছি। দেখলে উপকৃত হবে আাশা করি।
সময়ের তালবাহানা (time dilation) @gentleman74
আবারো ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ। ফোনে টাইপ করি তাই টাইপিং মিসটেক হতে পারে এটা স্বাভাবিক। আমার মনে হয় আপনার পোস্ট এর সাথে তুলনা না করলে ও হতো। এটি স্বাধীন প্লাটফম। আমার এই বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা গুলো তুলে ধরেছি। আপনার পোস্টটি অনেক দারুন হয়েছে। আশা করি পরবর্তিতে কারো পোস্ট নিয়ে তুলনা করবেন না। আমি ছোট মানুষ আস্তে আস্তে শিখবো। আপনার মত বড় হতে সময় লাগবে আমার ভাই।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
১.ভাইয়া বুঝতে ভুল করেছ। সহজে যাতে দেখতে পার তাই দিয়ে দিলাম।তুলনা নয়। গঠনমূলক সমালোচনা করার চেষ্টা করেছি। গ্রহন ও বর্জনের মনোভাব নিয়ে দেখবে আশা করেছিলাম।
২. তোমার পোস্টটি অসাধারণ হয়েছে 💗। অনেক তথ্যবহুল পোস্ট। পার্ট ২ দেখার অপেক্ষায়।
ধন্যবাদ ভাই 100 ভাগ ইউনিক এবং তথ্যবহুল লেখা উপহার দেয়ার জন্য। যদিও বিষয়গুলো আমার কাছে দূর্ভেদ্য মনে হয় সব সময়ই।
ধন্যবাদ ভাই। নিজের ভাষায় লেখার চেস্টা করেছি।
ভালোই লিখেছেন , বিজ্ঞানের খটমট বাদ সহজ ভাষায় সবার জন্য । দারুন !
ধন্যবাদ ভাই।