ঈদের দাওয়াত || মামার বাড়ি
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আজ অনেক ব্যস্ততম দিন কাটিয়েছি। যেহেতু ঈদের দিন কোথাও যাওয়া হয়নি তাই ঈদের পরের দিনেই একটি দাওয়াত পেয়েছি।
আমাদের পরিবারে অনেকগুলো মানুষ রয়েছে। তিন মামা রয়েছে এবং একটি খালা রয়েছে। ঈদের সময় সবাই সবাইকে দাওয়াত দেয়। যদিও প্রথমটা এবার শুরু করেছে আমার বড় মামা। বড় মামা আজ আমাদের পরিবার সকলকে দাওয়াত দিয়েছিল এবং দুপুরে এবং রাতে সেখানে আমরা ছিলাম। আজ সবাই মিলে অনেক মজা মাস্তি করেছি।
বড় মামার মেয়ে হয়েছে কিছুদিন হল। এখন দেখা হয়নি, এছাড়াও ঈদের দিনও মামার বাসায় যাওয়া হয়নি। শরীরটা অনেক ক্লান্ত ছিল। এছাড়াও আমাদের হ্যাং আউট ছিল তাই অনেক কথা চিন্তা করে ঈদের দিন কোথাও বের হওয়া হয়নি। আজকে প্লান ছিল কোথাও ঘুরতে যাব কিন্তু মামা দাওয়াত দেওয়াতে আর অন্য কোথাও যেতে পারিনি। দুপুরে সবাই মিলে মামার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম, যদিও এখান থেকে হেঁটে যেতে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় লাগে।
আমাদের বাসা থেকে তিন মামার বাসা এবং খালার বাসা অনেকটাই কাছাকাছি, হেঁটে হেঁটে যাওয়া যায় এবং অনেক কম সময়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু তারপরও এই কয়দিন বাসায় আসার পরে এতটা ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম কারো সাথেই দেখা করতে পারি নি।। এছাড়াও কুরবানী ঈদ বলে কথা, কুরবানির এ কত কাজ থাকে সেই বিষয়গুলো তো আপনারা সকলেই জানেন এবং কাজের পরে কিরকম একটা ক্লান্তি ভাব আসে সেটাও আপনারা জানেন তারপরও শত কষ্টের মাঝেও গতকাল ছিলাম এবং অনেক ইনজয় করেছিলাম। গতকালের হ্যাংআউট এবং ডিজে পার্টি আমার ক্লান্তি ভাবটাকে দূর করে দেয় এবং রাতেও অনেকদিন পরে অনেক চমৎকার একটি ঘুম হয়েছে।
অনেকদিন পর মামার বাসায় গেলাম। মামার বাসায় অনেক বড় একটি জায়গা রয়েছে এবং সেই জায়গাতে তারা বিভিন্ন ধরনের ফল ফুলের গাছ লাগিয়েছে। মোটকথা মামাদের বাগানটা অনেক সুন্দর যদিও একটু পরিচর্যার অভাব রয়েছে। সবাই মিলে অনেক ইনজয় করেছি। মামার বাসায় আজ সবাই লাঞ্চ করে সবার সাথে একসাথে বসে আড্ডা দিয়েছি। প্রায় অনেকদিন পরে সব মামাতো ভাই-বোনদের সাথে নিয়ে একসাথে বসে লাঞ্চ করেছি এবং আড্ডা দিয়েছি সত্যি এই মুহূর্তগুলো অনেক ভালো ছিলো।
আড্ডা দেওয়া মুহূর্তে খুব একটা বেশি ছবি তোলা হয়নি এবং সেসব ছবিগুলো আমি পোস্ট করতে চাচ্ছি না। তবে একটু বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি সেই বাগান থেকে। সেগুলো হয়তো অন্য কোন একদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব। তারপরও আজকে কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। মামার বাসায় অনেক ধরনের লেবু গাছ রয়েছে, এছাড়াও ছোট ছোট আমের গাছ রয়েছে এবং সেগুলোতে আমও ধরেছে। সেসব ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। এছাড়াও আজ সবাই মিলে অনেক সময় ইনজয় করেছি। সবাই মিলে বাগানের মাঝে বসে অনেকক্ষণ আড্ডা দিয়েছি।
তবে আজ আমাদের সকলের বড় আপুকে অনেক মিস করছি। আপুর বিয়ে হয়ে গেছে এবং একটি বাচ্চা আছে। তার শ্বশুরবাড়ি হচ্ছে বগুড়াতে। অবশ্য তারা আগামীকাল আমাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে এবং আমরা আগে থেকেই প্লান করে রেখেছি অন্য কোথাও ঘুরতে যাব। অবশ্য আগামীকাল তারা আসলে সেই ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব।
সবাই নিজ নিজ পরিবারের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিন, সময়টাকে এনজয় করুন আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: ঈদের দাওয়াত || মামার বাড়ি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
নানা বাড়ি আনন্দটা আসলে ভুলে যাওয়া খুবই কঠিন। আজ আপনি আত্মীয় স্বজনের মাঝে একসাথে ঈদ উদযাপন করছেন। আপনার এই সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্তটা আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই আনন্দঘন মুহূর্তটা পড়ে, পরবর্তী পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ ও ঈদের শুভেচ্ছা।
ভাই অনেকসময় আত্মীয় স্বজনের বাসা কাছে হলেও, ব্যস্ততার জন্য দেখা করার সুযোগ হয়ে উঠে না। যাইহোক মামার বাসায় গিয়ে সবার সাথে আড্ডা দিয়ে এবং খাওয়া দাওয়া করে দারুণ সময় কাটিয়েছেন। ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো তো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। বাড়ির সামনে বা পাশে এমন বাগান থাকলে খুব ভালো লাগে। পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।