ব্যস্ততম জীবন
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। বর্তমানে দেশের হাওয়া অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা চলছে এবং দেশের প্রায় সবকিছুই বর্তমানে খোলা আছে। আমাদের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল এই মাসের শুরুতে কিন্তু দেশের যে অবস্থা ছিল এতে করে কোন ধরনের ক্লাস কিংবা পরীক্ষা হয়নি। কিন্তু এখন হুট করেই সেই পরীক্ষাটি নিয়ে নেয়া হবে এটাই ভার্সিটি থেকে জানিয়েছে।
ভার্সিটির ক্লাস এবং পরীক্ষা নিয়ে যত ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ ছিল সবার সাথে স্যারেরা মিটিং করেছেন এবং মিটিং করে দুই সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে আমাদের সকলকে। এর পরবর্তীতে এই ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় মিড হওয়ার পরে কোন ক্লাসেই হয়নি। এখন মাত্র দুইটা ক্লাসের মধ্যে সকল প্রেজেন্টেশন, অ্যাসাইনমেন্ট, ল্যাব রিপোর্ট এগুলো জমা দিতে হবে। অনেকটাই চাপের মধ্যে পড়ে আছি। গতকাল শুক্রবার ছিল শুক্রবার সকাল আটটা থেকে একটানা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ক্লাস হয়েছে। মাঝখানে শুধুমাত্র নামাজের সময়টা বিরতি পেয়েছিলাম।
প্রায় একমাস ধরে তেমন কোন পড়াশোনা করা হয়নি এবং ভার্সিটি ও বন্ধ থাকাতে কোন স্যারদের সাথে পড়াশুনো রিলেটেড কোনো কথাবার্তা হয়নি। যেহেতু দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক ছিল তাই সবকিছুই বন্ধ ছিল। এখন হুট করে সবকিছু খুলে গেছে এবং পরীক্ষাটা খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে নেওয়া হবে তা না হলে আমাদের যে কোর্স রয়েছে সেটা আবার সময়ের মধ্যে পূরণ হবে না। আমাদের সাধারনত সপ্তাহে দুদিন ক্লাস হয় শুক্রবার এবং শনিবার। শুক্রবারে ভার্সিটিতে গিয়ে ক্লাস করতে হয় এবং শনিবার সন্ধ্যা থেকে একদম রাত এগারোটা পর্যন্ত ক্লাস চলে অনলাইনে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার থাকায় একটানা ক্লাস হওয়াতে সবগুলোর সাবজেক্টের, অ্যাসাইনমেন্ট, ল্যাব রিপোর্ট এমনকি পরবর্তী ক্লাসে ক্লাস টেস্টে হবে সেটার ডেট দিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে পরবর্তী শুক্রবারে একসাথে এতগুলো কিভাবে কমপ্লিট করব সেটাই বোধগম্য হচ্ছে না।
বিভিন্ন ক্লাস টিচারের সাথে কথা বলেছি এবং আগের তুলনায় এক দুইটা করে অ্যাসাইনমেন্ট কমিয়ে দিয়েছে কিন্তু তারপরও প্রত্যেকটা সাবজেক্ট এই এভারেজে প্রায় পাঁচটা করে এসাইনমেন্ট এবং ল্যাব রিপোর্ট রয়েছে। এই সেমিস্টারের টোটাল ছয়টা সাবজেক্ট রয়েছে আবার আলাদাভাবে ৩ টি সেশনাল সাবজেক্ট রয়েছে। আগামী দুই তিন সপ্তাহ হয়তো অনেকটাই প্রসারের মধ্যে থাকতে হবে এবং আর সব ধরনের পড়াশোনা কমপ্লিট করতে হবে। যেহেতু ফাইনাল পরীক্ষা, এর আগে তেমন কোনই পড়াশোনা করা হয়নি। মাঝে মাঝে একটু পড়েছিলাম কিন্তু অধ্যাবসায় না থাকার কারণে ম্যাক্সিমাম কিছুই আবার ভুলে গেছি।
আমি আবার আমাদের ক্লাসের ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং আমার কাঁধেই সব ধরনের দায়িত্ব চলে আসে। স্যারদের সাথে কমিউনিকেশন করা, কোন কোন সাবজেক্ট পড়ানো বাকি রয়েছে কি না, কিংবা এখন পর্যন্ত কোন কোন সাবজেক্ট এর সিলেবাস শেষ হয়নি এই সব কিছু আবার আমাকেই দেখাশোনা করতে হয়। এদিক থেকে প্রেসারটা একটু দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে আমার জন্য। আবার মাঝখানে যেহেতু এক মাস কোন ক্লাস হয়নি অনেকগুলো সাবজেক্ট এর সিলেবাস এখনো শেষ হয়নি এবং সেসব ক্লাসের এক্সট্রা ক্লাস স্যার ম্যাডামের নিতে চেয়েছেন। সবার সাথে কথা বলে একটি টাইম ফিক্সড করাটা সত্যি অনেক কষ্টসাধ্য বিষয়। যদি ছাত্ররা বলে যে কোন এক সময় ফ্রি আছে তখন আবার টিচার ওই সময় ফ্রি থাকে না। এসব সত্যি একটা মেন্টাল হেরাসমেন্ট বলতে পারেন।
দুই-তিনবার চেষ্টা করেছিলাম আমি এই ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ এর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিব কিন্তু স্যারেরা কোন ভাবেই চায় না আমি এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেই। ক্লাসের সবাই আমাকে আর ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবেই দেখতে চায়। কিন্তু আমি তো জানি তারা সবাই এসব কাজ থেকে একটু বাঁচতে চাচ্ছে। কারণ ক্লাসের প্রেজেন্টেটিভ হওয়ার কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। যাইহোক জীবনে যতই ব্যস্ততা কিংবা সমস্যা আসুক না কেন সেটাকে মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হবে এবং আশা করা যায় এই কিছুদিনের মধ্যেই ফাইনাল পরীক্ষার প্রিপারেশন সঠিকভাবে নিতে পারব। ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: জেনারেল রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
দেশের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। প্রায় সকল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়েছে। হুট করে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া ভালো হয়নি। রিপ্রেজেন্টেটিভ সবার সাথে স্যারেরা মিটিং করেছেন। সকাল আটটা হতে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ক্লাস অনেকটাই চাপের মুখে ছিলেন। যাইহোক ভালো করে পরীক্ষার প্রিপারেশন নেন। আশা করছি আপনি সমস্যার মোকাবেলা করতে পারবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
দেখি ভাই কি হয়।
ক্লাসের প্রেজেন্টেটিভদের দায়িত্বটা অনেক বেশি। এত কিছু সামলানোর পরেও নিজের পড়াশোনা করা সত্যিই অনেক কঠিন। যেহেতু পরীক্ষা চলে এসেছে প্রায় তাই প্রেসারটা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কি আর করার ভাইয়া সব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে আর সবকিছু মেনে নিতেই হবে।
ঠিক বলেছেন ভাই, জীবনে যতই সমস্যা আসুক না কেনো,সবকিছুর মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হবে। যাইহোক হঠাৎ করে যদি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়,তাহলে মেজাজটা একেবারেই খারাপ হয়ে যায়। আর আপনি যেহেতু ক্লাসের রিপ্রেজেন্টেটিভ,তাহলে তো নিঃসন্দেহে আপনার উপর চাপটা অনেক বেশি। তবুও আশা করি ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন এবং পরীক্ষার রেজাল্টও খুব ভালো হবে। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইলো ভাই।