গ্রাম্য মেলায় একদিন
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে গ্রাম্য মেলা নিয়ে কিছু কথা বলব, তবে চলুন শুরু করা যাক।
সচরাচর বিভিন্ন শহরের যেসব বাণিজ্য মেলা কিংবা বড় বড় মেলা হয় সেগুলো থেকে একটু ব্যতিক্রম হয় এই গ্রাম্য মেলাগুলো থেকে। এই গ্রাম্য মেলায় খুব বেশি একটা জিনিসপত্র দেখা যায় না, কিংবা বড় বড় কোন ধরনের সার্কাস বা কোন খেলাধুলাও আসে না। তবে যাই হোক না কেন এই ছোট ছোট বিষয়গুলো এই গ্রামের মানুষদের অনেকটা বিনোদন দেয়।
বর্তমানে আমি যেখানে অবস্থানরত রয়েছি সেখানে শহর বলা যায়। তবে এখান থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটি গ্রাম্য মেলা বসেছে। এই তো ২-৩ দিন যাবত সেখানে মেলা বসেছে। কিন্তু আমার বন্ধু এবং বন্ধুর বউ কয়েকদিন আগে সেই মেলায় ঘুরতে গিয়েছিল সাথে করে আমিও গিয়েছিলাম। মেলাটা অনেক ছোট হলেও সেখানে প্রচুর ভিড় ছিল। গ্রামের বিভিন্ন পদের মানুষ সেখানে ভিড় জমিয়েছিল তাদের প্রিয়জনদের সাথে।
যেখানে মেলাটি বসেছিল সেই জায়গাটুকু বেশি বড় নয়। ছোটখাটো জায়গার মধ্যে বসেছে তবে সেখানে বেশ কয়েক ধরনের নাগরদোলা রয়েছে এবং বাচ্চাদের জন্য কয়েকটি খেলাধুলার জায়গা হয়েছে। এছাড়া প্রচুর কসমেটিক্স এর দোকান এবং খাবারের দোকান ছিল। মেলায় যাওয়ার আমার কোন ইচ্ছা ছিল না তবে আমার এই বন্ধুর বউ অনেকটা বায়না করেছিল ওই বন্ধুর কাছে তাই বাধ্য হয়ে সেই বন্ধু আমাকে নিয়েও সেখানে চলে যায়। পরবর্তীতে তারা সব ধরনের নাগরদোড়াই ওঠে। আমাকেও সেখানে উঠতে বলেছিল তবে আমি অনেক ভয় পাই এসব জায়গাতে।
তারা যখন বিভিন্ন নাগরদোলায় উঠতে ব্যস্ত তখন আমি খাবার দোকানে ভিড় জমাই। সেখানে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু অনেক খাবার তৈরি করা হচ্ছিল। এছাড়াও বিভিন্ন পদের ভাজাপোড়া তৈরি হচ্ছিলো। আমি একে একে সবগুলো খাওয়া শুরু করলাম। ইতিমধ্যেই আমি অনেক পেটুক হয়ে উঠেছি এবং পেট অনেক বড় হয়ে গেছে। এটা নিয়ে অনেক চিন্তিত রয়েছি। মেলার বিভিন্ন দোকান থাকলেও কসমেটিক্সের দোকানে প্রচুর ভির হয়েছিল এবং সেখানে প্রচুর বিক্রিও হচ্ছিল। আমার বন্ধুর বউ ও বিভিন্ন ধরনের বায়না ধরেছিলো বন্ধুর কাছে। বন্ধু বাধ্য হয়েই সেসব জিনিসগুলো তাকে কিনে দিতে বাধ্য হয়েছিল।
আমি দূর থেকে এসব কান্ডকারখানা গুলো দেখছিলাম এবং খাওয়া নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম, হাহাহা। গ্রামের মানুষগুলো অনেক সহজ সরল হয় এবং তাদের আনন্দ বিনোদনের জন্য খুব বেশি একটা ব্যবস্থা থাকে না। এই ছোট ছোট জিনিস গুলোই যাদেরকে আনন্দ দেয়। বিশেষ করে গ্রাম্য মেলাগুলোই তাদের বিনোদনের মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।সেখানে অবশ্য বেশিক্ষণ থাকা হয়নি এছাড়াও ব্যাচেলরদের জন্য সেখানে খুব বেশি একটা ব্যবস্থা ছিল না, শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়া টা আমার কাছে বিনোদনময় মনে হয়েছে।
এর আগে এভাবে কখনো গ্রাম্য মেলায় যাওয়া হয়নি। তাই গ্রাম্য মেলার বিষয়গুলো আগে আমি এভাবে জানতাম না পরবর্তীতে যখন সেখানে গেলাম তো সেখান থেকে অনেক ধরনের শিক্ষা এবং অন্য কিছু উপদেশমূলক বিষয়ও জানতে পেরেছি। অনেকের আশা-আকাঙ্ক্ষা অনেকটাই ছোট এবং কম থাকে। সেসব বিষয়গুলো পূরণ করেই তারা এসব ছোট ছোট জিনিস দিয়ে। এসব ছোট ছোট জিনিসের মাধ্যমেই তারা সুখ খুজে পায়।
সেখানে সর্বোচ্চ ২০ মিনিটের মত আমি ছিলাম। তবে সময়টা অনেকটাই উপভোগ করেছি। পরবর্তীতে আমি আমার আবার বাসায় ফিরে আসে। সব মিলিয়ে অনেক চমৎকার একটি সময় কাটিয়েছিলাম এবং গ্রাম্য মেলায় যাওয়ার অনুভূতি ও আপনাদের কাছে প্রকাশ করলাম। আজকের মত এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: গ্রাম্য মেলায় একদিন
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
ঠিকই বলেছেন গ্রাম বাংলার মেলাগুলো একটু ছোট হয়। আর সেখানে কসমেটিক্স আর খাবারই বেশি থাকে । আপনি নাগর দোলনায় উঠতে ভয় পান হি,হি। এত ভাজা পোড়া খেয়েছেন সমস্যা হয় নাই তো ভাইয়া। আপনি তো দেখছি প্রচুর খেতে ভালোবাসেন খাওয়া-দাওয়া টাই আপনার কাছে বিনোদনমূলক মনে হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে মেলায় কি কি করেছেন সেগুলো উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
খেয়ে খেয়ে তো পেট বড় হয়ে গিয়েছে, কি যে করি!
আমি তো মেলায় গেলে এসব নাগর দোলায় উঠতে অনেক ভয় পাই। আর আপনি তো দেখছি বেদম চড়ে আসলেন। তবে ছোট হলেও আপনার গ্রামীন মেলাটি কিন্তু বেশ দারুন ছিল। সব মিলিয়ে আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর মূহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
না না, আমি তো উঠি নি, আমার বন্ধু ও তার বউ উঠেছিলো।
গ্রাম্য মেলাতে ভ্রমণের মুহূর্তগুলো সত্যি অসাধারণ। বিশেষ করে নাগরদোলা থাকে আর এই নাগরদোলায় ওঠার মুহূর্তগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি গ্রাম্য মেলার অপরূপ সুন্দরময় দৃশ্যগুলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরলেন, দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।
আপনাকে ও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আমারও একটু ভয় লাগে নাগরদোলায় উঠতে তবে তারপরও সামনে পড়লে এটাতে ওঠা মিস করি না। শহরে তো এরকম মেলা দেখাই যায় না। ছোটবেলায় দেখতাম আশেপাশে তারপরও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দিবসগুলোতে মেলা বসতো তবে এখন সেটাও হয় না। গ্রাম্য মেলায় খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ছোট একটা জায়গায় মেলা বসলেও ডেকোরেশন টা বেশ ভালো লাগলো দেখে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি একবার নীলফামারীতে আসবেন, অনেক বড় বড় মেলা হয়।
গ্রাম্য মেলায় ঘুরাঘুরি করা হয় না দীর্ঘদিন হলো। কিন্তু বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম এই বছর। যাইহোক বন্ধু এবং বন্ধুর বউয়ের সাথে গ্রাম্য মেলায় গিয়ে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন ভাই। টুম্পা ভাবীর জন্য মেলা থেকে কিছু কসমেটিক্স কিনলেও পারতেন ভাই 😂। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন সেখানে। যাইহোক এতো চমৎকার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সেটা মনে হয় না কপালে আছে! টুম্পাকে নিয়ে কোন দিন ও তেমন ঘুরতে যাওয়া হয় নি।
ভাইয়া আপনার বন্ধুর অবস্থা তো তাহলে একেবারে খারাপ হয়ে গেছে। বউয়ের আবদার পূরণ করতে করতে সে তো দেখছি বেশ ভোগান্তিতে পড়েছে। তবে এটা ঠিক ছোট ছোট আবদার পূরণ করতে ভালোই লাগে। আর ছোট ছোট জিনিস পেয়েও যদি কেউ খুশি হয় তাহলে নিজের কাছেও ভালো লাগে। গ্রাম্য মেলায় কাটানো মুহূর্ত গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।
ভাইয়া আপনি আপনার বন্ধুর অবস্থা দেখে আবার ভয় পাইয়েন না। তবে ভাইয়া এই গ্রাম্য মেলাগুলোতে যেতে অনেক ভালো লাগে। আর ছোট ছোট জিনিসগুলো কিনতেও ভালো লাগে। আমিও নাগরদোলা বা এসব টাইপের কোন কিছুতেই কখনো উঠিনা।